ব্রেইন ক্যান্সার (Brain cancer)

শেয়ার করুন

বর্ণনা

এ রোগটি ব্রেইন ক্যান্সার এবং ম্যালিগন্যান্ট নিওপ্লাজম অব ব্রেইন (malignant neoplasm of brain) নামেও পরিচিত।ব্রেইনের কোষসমূহের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি থেকে ব্রেইন ক্যানসারের সূত্রপাত হয়ে থাকে। যখন ব্রেইন ক্যান্সারের মাত্রা বাড়তে থাকে তখন তা ব্রেইনের আশেপাশের টিস্যুর উপর চাপ তৈরি করে। এর ফলে কিছু লক্ষণ দেখা দেয় যেমন - মাথাব্যথা, বমিবমি ভাব এবং ভারসাম্য বজায় রাখতে সমস্যা হওয়া।

কারণ

ব্রেইন ক্যান্সারের সঠিক কোন কারণ জানা যায় নি। ব্রেইন ক্যান্সার হবার সম্ভাব্য কারণগুলি নিচে দেওয়া হল:

(ক) মাথা রাসায়নিক তেজস্ক্রিয়তার সংস্পর্শে আসা।

(খ) বংশগত কারণে ব্রেইন ক্যান্সার হতে পারে।

(গ) এইচআইভি/এইডস (HIV) ইনফেকশনের কারণে এই ক্যান্সার হতে পারে।

(ঘ) ধূমপানের কারণে এই ক্যান্সার হতে পারে।

(ঙ) দীর্ঘদিন ধরে পরিবেশ দূষণ করে এমন রাসায়নিক পদার্থের সংস্পর্শে থাকা।

লক্ষণ

এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে চিকিৎসকেরা নিম্নলিখিত লক্ষণগুলি চিহ্নিত করে থাকেন:

চিকিৎসা

 চিকিৎসকেরা এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের নিম্নলিখিত ঔষধগুলি গ্রহণ করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন: 

dexamethasone mannitol
vincristine vinblastine

চিকিৎসকেরা এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের নিম্নলিখিত টেস্টগুলি করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন: 

ইলেক্ট্রোলাইটস, সেরাম (Electrolytes, serum)
সি-বি-সি (কমপ্লিট ব্লাড কাউন্ট) (CBC, Complete Blood Count)
লাম্বার পাংচার (এল-পি) (Lumber Puncture (LP))
সিটি স্ক্যান অফ হেড (CT scan of head)
ম্যাগনেটিক রেজোনেন্স ইমেজিং (এম-আর-আই) (Magnetic resonance imaging (MRI))

ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়

যে যে বিষয়গুলোর কারণে আপনার ব্রেইন ক্যান্সার হবার সম্ভাবনা বেড়ে যায় সেগুলো হলো-

(ক) পরিবারে কারো ক্যান্সার থাকা: কোনো ব্যক্তির পরিবারে কারো ব্রেইন ক্যান্সার থাকলে তারও রোগটি হোয়ার ক্ষীণ সম্ভাবনা রয়েছে।

(খ) বয়স বৃদ্ধি: বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে ব্রেইনক্যান্সার হবার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। মেডুলোব্লাসটোমা (Medulloblastomas) সাধারণত শিশুদের হয়ে থাকে।

(গ) রাসায়নিক পদার্থের দূষণ: কর্মস্থানে রাসায়নিক পদার্থের ব্যবহারের কারণে ব্রেইনক্যান্সার হবার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।

(ঘ) জাতিগত কারণ: শ্বেতাঙ্গদের ব্রেইনক্যান্সার হবার সম্ভাবনা বেশি। শ্বেতাঙ্গদের তুলনায় আফ্রিকান ও আমেরিকানদের মেনিনজিওমা (meningiomas) বেশি হয়।

যারা ঝুঁকির মধ্যে আছে

লিঙ্গঃ পুরুষদের মধ্যে এই রোগ নির্ণয়ের গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে। মহিলাদের মধ্যে এই  রোগ নির্ণয়ের সম্ভাবনা ১ গুণ কম।

জাতিঃ শ্বেতাঙ্গদের মধ্যে এই রোগ নির্ণয়ের গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে। কৃষ্ণাঙ্গদের মধ্যে এই রোগ নির্ণয়ের সম্ভাবনা ১ গুণ কম। হিস্প্যানিকদের মধ্যে এই রোগ নির্ণয়ের সম্ভাবনা ১ গুণ কম। অন্যান্য জাতির  মধ্যে এই রোগ নির্ণয়ের সম্ভাবনা ১ গুণ কম।

সাধারণ জিজ্ঞাসা

উত্তরঃ ব্রেইনক্যান্সারে আক্রান্ত খুব কম রোগীই দুই বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে।

উত্তরঃ ব্রেইনক্যান্সার হলে রোগীকে প্রাথমিকভাবে অপারেশন, রেডিয়েশন এবং কেমোথেরাপির (chemotherapies) মাধ্যমে চিকিৎসা করা হয়।

হেলথ টিপস্‌

ব্রেইন ক্যানসার প্রতিরোধের জন্য নিম্নলিখিত বিষয়গুলি অনুসরণ করা যেতে পারে-

  • তেজস্ক্রিয় পদার্থের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলা। 
  • ধূমপান ত্যাগ করা।
  • বেশি পরিমাণে শাক-সবজি ও ফলমূল খাওয়া।
  • দূষণমুক্ত পরিবেশ এড়িয়ে চলা।

বিশেষজ্ঞ ডাক্তার

ডাঃ শফিকুল ইসলাম

নিউরো সার্জারী ( স্নায়ু) ( Neuro Surgery)

এমবিবিএস, পিএইচডি(জাপান), এমএস(নিউরো সার্জারো)

ডাঃ মোঃ রাশেদুল ইসলাম

নিউরোলজি ( স্নায়ুতন্ত্র) ( Neurology)

এমবিবিএস , , এফসিপিএস(মেডিসিন গোল্ড মেডালিষ্ট) , এমআরসিপি (ইউকে), এমএসিপি (ইউএসএ )

ডাঃ মোঃ মাসুদ হাসান

নিউরোলজি ( স্নায়ুতন্ত্র) ( Neurology)

এমবিবিএস(মেডিসিন), এমডি(নিউরোলজী), এফসিপিএস

ডাঃ মোঃ ইসমাইল চৌধুরী

নিউরোলজি ( স্নায়ুতন্ত্র) ( Neurology)

এমবিবিএস, এফসিপিএস (মেডিসিন), এমডি (নিউরোলোজি), এ্যাভান্স ট্রেনিং ইন নিউরোলোজি (টোকিও)

ডাঃ মোঃ জাহেদ হোসেন

নিউরো সার্জারী ( স্নায়ু) ( Neuro Surgery)

এমবিবিএস, , এফসিপিএস(সার্জারী), , এমএস(নিউরোসার্জারী), , ট্রেনিং ইন নিউরোসার্জারী(ভারত), ট্রেনিং ইন নিউরোএন্ডোসকপি(জা

অধ্যাপক ডাঃ সফিক উদ্দিন আহমেদ

নিউরো সার্জারী ( স্নায়ু) ( Neuro Surgery)

এম বি বি এস (ঢাকা), , এম এস, , পিএইচডি,ফেলো ইন নিউরোসার্জারী(অস্টোলিয়া),নিউরোসার্জন (ব্রেইন

ডাঃ মোঃ রুস্তম আলী(মধু)

নিউরো সার্জারী ( স্নায়ু) ( Neuro Surgery)

এমবিবিএস, এমএস, নিউরো সার্জন

ডাঃ মোঃ রেজাউল আমিন (টিটু)

নিউরো সার্জারী ( স্নায়ু) ( Neuro Surgery)

এমবিবিএস (ঢাকা), এমএস (নিউরোসার্জারী)