পোকামাকড়ের কামড় (Insect bite)

শেয়ার করুন

বর্ণনা

বেশিরভাগ ক্ষেত্রে পোকামাকড় আত্মরক্ষা করার জন্য মানুষ বা অন্যান্য জীব-জন্তুকে কামড় দিয়ে থাকে। কিছু পোকামাকড়ের কামড়ের জন্য শরীরে ফরমিক এসিড প্রবেশ করে, যার ফলে তাৎক্ষণিকভাবে ত্বকে প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় এবং যে স্থানে পোকা কামড় দিয়েছে বা হুল ফুটিয়েছে সে স্থানটি লাল হয়ে যায় এবং ফুলে উঠে। বিষাক্ত পিঁপড়া, মৌমাছি, বোলতা এবং ভ্রমর হুল ফুটালে যন্ত্রণা হয়, এবং এর ফলে অ্যালার্জির তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিলে তাকে অ্যানাফাইল্যাক্সিস (Anaphylaxis) বলে। মশা এবং মাছি কামড় দিলে ব্যথার চেয়ে বেশি চুলকানি হয়ে থাকে।

কারণ

পোকা কামড় দেওয়া ও হুল ফোটানোর মাধ্যমে দেহে বিষ ঢুকিয়ে দেয়। এই বিষ ব্যথার সৃষ্টি করে এবং বেশিভাগ ক্ষেত্রেই ত্বকে অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। এই প্রতিক্রিয়ার তীব্রতা নির্ভর করে ঐ স্থানে কতবার পোকামাকড় কামড় দিয়েছে বা হুল ফুটিয়েছে তার উপর।

চিকিৎসা

 চিকিৎসকেরা এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের নিম্নলিখিত ঔষধগুলি গ্রহণ করার পরামর্শদিয়ে থাকেন:  

calamine, topical hydrocortisone acetate, topical
mupirocin, topical permethrin, topical
diphenhydramine ibuprofen
paracetamol

চিকিৎসকেরা এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের নিম্নলিখিত টেস্টগুলি করার পরামর্শদিয়ে থাকেন:  

উন্ড ম্যানেজমেন্ট (Wound care management)

ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়

নিম্ললিখিত বিষয়ের কারণে এর সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়ঃ

  • ঘরের বাহিরে কাজ করা বা বেশি সময় ধরে বাইরে থাকা।
  • উষ্ণ এলাকায় বাস করা।
  • অসাবধান থাকা।
  • শখের বশে পোকা মাকড়ের সংস্পর্শে যাওয়া।

যারা ঝুঁকির মধ্যে আছে

লিঙ্গঃ  পুরুষদের মধ্যে এই রোগ নির্ণয়ের গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে। মহিলাদের মধ্যে এই রোগ নির্ণয়ের সম্ভাবনা ১ গুণ কম।

জাতিঃ শ্বেতাঙ্গদের মধ্যে এই রোগ নির্ণয়ের সম্ভাবনা ১ গুণ কম।  কৃষ্ণাঙ্গ, হিস্প্যানিক এবং অন্যান্য জাতির মধ্যে এই রোগ নির্ণয়ের গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে।

সাধারণ জিজ্ঞাসা

উত্তরঃ বিভিন্ন ব্যাধি যেমন ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু জ্বর, ওয়েস্ট নাইল ভাইরাস (West Nile Virus), এবং পীতজ্বর হওয়ার সবচেয়ে বড় মাধ্যম বা ভেক্টর হলো মশা। মশা কামড় দিলে এর লালা শরীরে প্রবেশ করে। এদের লালার উপাদান অনুভূতিনাশক হিসেবে কাজ করে এবং রক্ত জমাট বাঁধতে বাধা দেয়। রক্ত ও লালা আদান-প্রদানের মাধ্যমে বিভিন্ন জীবাণু বা প্যাথোজেন মশা থেকে মানুষের শরীরে ছড়িয়ে পড়ে।

উত্তরঃ  সূর্যাস্ত থেকে সূর্যোদয় পর্যন্ত হলো মশা কামড়ানোর প্রধান সময়। তাই এই সময়ে বাইরের কাজ এড়িয়ে চলতে হবে বা মশার কামড় থেকে বাঁচার জন্য প্রতিরক্ষামূলক পোশাক পরতে হবে।

হেলথ টিপস্‌

মৃদু প্রতিক্রিয়ার ক্ষেত্রেঃ

  • যে স্থানে পোকামাকড় বেশি সেসব জায়গা এড়িয়ে চলতে হবে।
  • ত্বকে হুল আটকে থাকলে তা তুলে ফেলতে হবে। ঐ স্থানটি সাবান এবং পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।
  • ব্যথা ও ফোলাভাব কমাতে কাপড়ে বরফ পেঁচিয়ে ঐ স্থানে লাগাতে হবে।
  • ব্যথা কমাতে ব্যথা নাশক ঔষধ যেমন ইবিউপ্রোফেন (Ibuprofen) এ্যাসিটামিনোফেন ( Acetaminophen) ব্যবহার করতে হবে।
  • ব্যথা ও চুলকানি কমাতে বিভিন্ন ক্রিম বা মলম ব্যবহার করতে হবে। ব্যথা কমানোর জন্য হাইড্রোকোর্টিসোন (Hydrocortisone), লিডোকেইন (Lidocaine), প্রামোক্সিন ( Pramoxine) নামক মলম ব্যবহার করতে হবে। যেসব ক্রিম বা লোশনে বেকিং সোডা বা আঠাল ওটমিল (Colloidal oatmeal)  আছে বা ক্যালামাইন (Calamine) লোশন ব্যবহারে চুলকানিতে আরাম বোধ হয়।
  • যেসব অ্যান্টিহিস্টামিনে ডাইফেনহাইড্রামিন (Diphenhydramine) অথবা ক্লোরফেনিরামিন ম্যালেট (Chlorpheniramine maleate) আছে তা ব্যবহার করতে হবে।

তীব্র প্রতিক্রিয়ার ক্ষেত্রেঃ

  • ঢিলেঢালা পোশাক পড়তে হবে এবং ঐ ব্যক্তিকে কম্বল দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে। এই সময় ব্যক্তিকে তরল জাতীয় খাবার না দেওয়াই ভালো।
  • যদি ব্যাক্তি বমি করে বা তার মুখ দিয়ে রক্ত পড়ে তবে তা প্রতিরোধ করতে ব্যক্তিকে উপুড় করে শোয়াতে হবে।
  • আক্রান্ত ব্যক্তি যদি শ্বাস-প্রশ্বাস না নেয় বা নড়াচড়া না করে তবে তাকে জরুরি ভিতিত্তে হাসপাতালে নিতে হবে।

বিশেষজ্ঞ ডাক্তার

অধ্যাপক ডাঃ পরিতোষ কুমার বড়াল

মেডিসিন ( Medicine)

এমবিবিএস, এফসিপিএস, এমডি

ডাঃ রাশিমুল হক(রিমন)

মেডিসিন ( Medicine), নিউরোলজি ( স্নায়ুতন্ত্র) ( Neurology)

এমবিবিএস(ডিএমসি), এফসিপিএস(মেডিসিন), এমডি(নিউরোমেডিসিন)

Mahfuzur Rahman

মেডিসিন ( Medicine), কার্ডিওলজি ( হার্ট) ( Cardiology)

এমবিবিএস, ডি-কার্ড (এনআইসিভিডি), এমসিপিএস (মেডিসিন), এমডি (মেডিসিন)

ডাঃ সাঈদ হাসান

মেডিসিন ( Medicine)

এমবিবিএস, এফসিপিএস,(মেডিসিন), এমডি(নিউরোমেডিসিন)

ডাঃ মোঃ আবু শোয়েব তালুকদার

মেডিসিন ( Medicine)

এমবিবিএস,, এমআরসিপি(ইউকে)

ডাঃ মোঃ সাইফুল ইসলাম

মেডিসিন ( Medicine), পেডিয়াট্রিকস ( Pediatrics)

এমবিবিএস, এমপিএইচ, এমসিপিএস

অধ্যাপক ডাঃ মতিয়ার রহমান

পালমোনোলজি ( ফুসফুস) ( Pulmonology), ডায়াবেটোলজিষ্ট ( Diabetologist), মেডিসিন ( Medicine)

এম বি বি এস (ডি এম সি), ডি টি সি ডি (ডি ইউ), সি সি ডি (বারডেম)

ডাঃ মোঃ জাহাঙ্গীর আলম সরকার

মেডিসিন ( Medicine)

এমবিবিএস (ঢাকা), , এফসিপিএস (মেডিসিন)