লাইপোমা (Lipoma)

শেয়ার করুন

বর্ণনা

রোগটি ফ্যাটি টিউমার নামেও পরিচিত।

লাইপোমা একটি চর্বিযুক্ত ফোলা অংশ যা খুব ধীরে ধীরে বড় হয়। এটি সাধারণত ত্বক ও মাংসপেশীর মাঝে সৃষ্টি হয়। আঙ্গুল দিয়ে সামান্য চাপ দিলে এটি নড়াচড়া করে, তাই সহজেই একে শনাক্ত করা যায়। এটি সাধারণত বেশ শক্ত হয়। একজন ব্যক্তির একাধিক লাইপোমা হতে পারে। যেকোনো বয়সে লাইপোমা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, তবে মধ্য বয়সীদের এটি বেশি হয়ে থাকে।

লাইপোমা কোনো ক্যান্সার নয় এবং সাধারণত এর ফলে বিশেষ কোনো ক্ষকি হয় না। এর জন্য কোনো চিকিৎস নেওয়ার প্রয়োজন হয় না। তবে যদি এটি বিরক্তিকর মনে হয় বা বড় হয়ে যায় এবং এর কারণে যদি ব্যথার সৃষ্টি হয় তাহলে অপারেশন করা প্রয়োজন।

কারণ

লাইপোমা কেন হয় তার সঠিক কারন অজানা। তবে বংশগত কারনে এটি হতে পারে।

লক্ষণ

এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে চিকিৎসকেরা নিম্নলিখিতলক্ষণগুলি চিহ্নিত করে থাকেন:

চিকিৎসা

চিকিৎসকেরা এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের নিম্নলিখিত ঔষধগুলি গ্রহণ করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন:

ডাঁটা সেন্টারে কোন প্রকার তথ্য পাওয়া যায়নি

চিকিৎসকেরা এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের নিম্নলিখিত টেস্টগুলি করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন:

এফ-এন-এ-সি (Fine needle aspiration cytology - FNAC)
উন্ড ম্যানেজমেন্ট (Wound care management)
এক্সসিশন/রিমুভাল (Excision/Removal)

ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়

নিম্নলিখিত বিষয়ের কারণে লাইপোমা হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়:

  • যাদের বয়স ৪০-৬০ এর মধ্যে তাদের লাইপোমা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। এটি শিশুদের খুব কম হয়।
  • Adiposis dolorosa, Madelung disease, Cowden syndrome এবং  Gardner's syndrome-এ আক্রান্ত ব্যক্তিদের লাইপোমা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

যারা ঝুঁকির মধ্যে আছে

লিঙ্গ: পুরুষদের মধ্যে এই রোগ নির্ণয়ের গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে। মহিলাদের মধ্যে এই রোগ নির্ণয়ের সম্ভাবনা ১ গুণ কম।

জাতি: কৃষ্ণাঙ্গদের মধ্যে এই রোগ নির্ণয়ের সম্ভাবনা ১ গুণ কম। শ্বেতাঙ্গ, হিস্প্যানিক এবং অন্যান্য জাতির মধ্যে এই রোগ নির্ণয়ের গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে।

সাধারণ জিজ্ঞাসা

উত্তরঃ লাইপোমা ও কোলন পলিপ এক নয়। এরা একে অপরের সাথে কোনভাবেই সম্পর্কযুক্ত নয়।

উত্তরঃ লাইপোমা প্রতিরোধ করার কোন উপায় নেই। অপারেশন হলো এই রোগের চিকিৎসার সর্বোত্তম পন্থা।

হেলথ টিপস্‌

এই রোগে আক্রান্ত হলে ভয় পাওয়ার কোন প্রয়োজন নেই। কারন অনেকেরই এটি হয় এবং অনেকে এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার পরও বুঝতে পারে না।

দৈনন্দিন অভ্যাসের পরিবর্তন করে এই রোগের ঝুঁকি কমানো সম্ভব।

দৈনন্দিন কিছু অভ্যাসের পরিবর্তন যেমন- পুষ্টিকর খাবার খাওয়া, নিয়মিত ব্যায়াম করা ইত্যাদির মাধ্যমে লাইপোমা সহ অন্য অনেক রোগের ঝুঁকি কমানো যেতে পারে।

বিশেষজ্ঞ ডাক্তার

ডাঃ ওমর সিদ্দিক

জেনারেল সার্জারী ( General Surgery)

এমবিবিএস, এফসিপিএস (সার্জারী)

সহকারী অধ্যাপক ডাঃ মোঃ সালাউদ্দিন ফারুক

জেনারেল সার্জারী ( General Surgery), ইউরোলজি ( মূত্রতন্ত্রের সার্জারী) ( Urology)

এমবিবিএস, এফসিপিএস(সার্জারী), এমএস(ইউরোলজি)

মেজর ডাঃ মোঃ শফিউল আলম

জেনারেল সার্জারী ( General Surgery)

এমবিবিএস(বিডি), এমসিপিএস, এফসিপিএস(সার্জারী), ইএমএসএসবি(ইউএসএ)

ডাঃ মোঃ তানভীরুল ইসলাম

জেনারেল সার্জারী ( General Surgery), কোলোরেক্টাল সার্জারী ( Colorectal Surgery)

এমবিবিএস, এফসিপিএস(সার্জারী), (ফেলো কোলোরেক্টাল সার্জন) এনইউএইচ

ডাঃ মোঃ মনির হোসেন খাঁন

জেনারেল সার্জারী ( General Surgery)

এমবিবিএস(ডিএমসি), এমসিপিএস, এফসিপিএস, এমআরসিপি(ইউ.কে)

ডাঃ এবিএম মোস্তফা

জেনারেল সার্জারী ( General Surgery), ইউরোলজি ( মূত্রতন্ত্রের সার্জারী) ( Urology)

এমবিবিএস, এফসিপিএস(সার্জারী), এমআরসিএস, ইডিএমআইএস(ইউকে)

ডাঃ মোঃ শরিফ হোসেন মঈন

জেনারেল সার্জারী ( General Surgery)

এমবিবিএস, এফসিপিএস(পার্ট-২), (জেনারেল সার্জারী ও ইউরোলজী), সিসিডি(ডায়াবেটিস বারডেম)

অধ্যাপক ডাঃ মোঃ মতিয়ার রহমান

জেনারেল সার্জারী ( General Surgery)

এফআরসিএস( গ্লাসগো )