গুড়াকৃমি রোগ (Pinworm infection)

শেয়ার করুন

বর্ণনা

এই রোগ এন্টারোবিয়াসিস (Enterobiasis) নামেও পরিচিত।

Pinworm বা গুড়াকৃমি হল অন্ত্রের এক প্রকারের কৃমি। এই কৃমি দেখতে সরু ও সাদা রঙের হয়ে থাকে এবং লম্বায় ৫-১৩ মিলিমিটার হয়ে থাকে।

ঘুমন্ত অবস্থায় আক্রান্ত ব্যক্তির মলদ্বারের ত্বক বা চামড়ার ভাঁজে স্ত্রী গুড়াকৃমি অসংখ্য ডিম পাড়ে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে গুড়াকৃমিতে আক্রান্ত ব্যক্তির মধ্যে কোনো উপসর্গ বা লক্ষণ দেখা দেয় না। তবে কারো কারো কারো মলদ্বারে চুলকানি ও ঘুমের অসুবিধা হতে পারে।

সাধারণত কিশোর-কিশোরীদের এই ইনফেকশন বেশি হয়ে থাকে । এই কৃমির ডিমগুলো অতি ক্ষুদ্র হয়ে থাকে এবং খুব সহজে এক ব্যক্তি হতে অন্য ব্যক্তিতে ছড়িয়ে পরতে পারে। ঔষধের সাহায্যে (যেগুলো খাওয়া হয়) গুড়াকৃমির চিকিৎসা করা হয়ে থাকে। গুড়াকৃমিতে আক্রান্ত ব্যক্তির ব্যবহৃত বিছানার চাদর ও অন্তর্বাস ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হবে। প্রয়োজনে তার পরিবারের প্রত্যেক সদস্যের চিকিৎসা নিতে হবে।

কারণ

গুড়াকৃমির ডিম ঘটনাক্রমে মুখ দিয়ে শরীরে প্রবেশ করলে এই ইনফেকশন হয়ে থাকে। তিনটি উপায়ে এই ডিমগুলো আমাদের শরীরে প্রবেশ করতে পারে- ১।অস্বাস্থ্যকর খাবার, ২।দূষিত পানি ও ৩।অপরিচ্ছন্ন নোংরা হাত। একবার শরীরে প্রবেশ করলে এই ডিমগুলো অন্ত্রে পৌঁছে কয়েক সপ্তাহের মধ্যে পরিপূর্ণ কৃমিতে রূপান্তরিত হয়।

স্ত্রী গুড়াকৃমি মলদ্বারে অসংখ্য ডিম পাড়ে যার ফলে মলদ্বার চুলকাতে থাকে। মলদ্বার চুলকালে ডিমগুলো নখে আটকে যায় এবং নখ থেকে আশেপাশের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে। নখ থেকে এই ডিমগুলো খাবার, পানীয়, জামাকাপড় বা অন্য ব্যক্তিতেও ছড়াতে পারে। এই ডিমগুলো বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পরার পর দুই থেকে তিন সপ্তাহ পর্যন্ত বেঁচে থেকে।

লক্ষণ

এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে চিকিৎসকেরা নিম্নলিখিত লক্ষণগুলি চিহ্নিত করে থাকেন:

চিকিৎসা

চিকিৎসকেরা এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের নিম্নলিখিত ঔষধগুলি গ্রহণ করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন:

albendazole mebendazole

চিকিৎসকেরা এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের নিম্নলিখিত টেস্টগুলি করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন:

স্টুল আর-এম-ই (Stool R/M/E)

ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়

যেসকল কারণে গুড়াকৃমি হওয়ার ঝুঁকি বৃদ্ধি পায় তা নিম্নে আলোচনা করা হলঃ

  • ৫-১৪ বছর বয়সের শিশুদের এই কৃমি বেশি হয়ে থাকে। এই কৃমির ডিমগুলো পরিবারের সদস্যদের মধ্যে এবং স্কুল ও চাইল্ড কেয়ারে এক বাচ্চা থেকে অন্য বাচ্চায় খুব সহজে ছড়াতে পারে।
  • ঘনবসতিপূর্ণ জায়গায় এই কৃমি খুব সহজে ছড়ায়। তাই এসব এলাকায় এ রোগের ঝুঁকি বেশি থাকে।
  • সাধারণত নাতিশীতোষ্ণ আবহাওয়ায় এ রোগের ঝুঁকি বেশি থাকে। উষ্ণ আবহাওয়ায় এই কৃমি কম ছড়ায়।

যারা ঝুঁকির মধ্যে আছে

লিঙ্গঃ পুরুষ ও মহিলা উভয়ের মধ্যে এই রোগ নির্ণয়ের গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে।

জাতিঃ শ্বেতাঙ্গদের মধ্যে এই রোগ নির্ণয়ের সম্ভাবনা ১ গুণ কম। কৃষ্ণাঙ্গ, হিস্প্যানিক ও অন্যান্য জাতির মধ্যে এই রোগ নির্ণয়ের গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে। 

সাধারণ জিজ্ঞাসা

উত্তর: পোষা প্রাণীর মাধ্যমে গুড়াকৃমি ছড়ায় না। শুধুমাত্র মানুষের মাধ্যমেই এই কৃমি ছড়িয়ে থাকে।

উত্তর: এই কৃমির জন্য মলদ্বারে চুলকানি ও ঘুমের অসুবিধা হতে পারে। এ রোগের ক্ষেত্রে খুব কমই অন্যান্য জটিলতা দেখা দেয়। তবে কারো কারো তলপেটে ব্যথা ও অন্ত্রে ইনফেকশন হতে পারে।

হেলথ টিপস্‌

এ রোগ প্রতিরোধের ক্ষেত্রে নিম্নলিখিত পরামর্শগুলি কাজে লাগতে পারে।

  • যেহেতু স্ত্রী গুড়াকৃমি রাতে মলদ্বারে ডিম পাড়ে তাই সকালে ঘুম থকে ওঠার পর মলদ্বার ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হবে।
  • প্রতিদিন অন্তর্বাস ও বিছানার চাদর পরিবর্তন করতে হবে।
  • বিছানার চাদর, অন্তর্বাস ও ব্যবহৃত জামাকাপড় গরম পানি দিয়ে ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হবে।
  • মলদ্বার চুলকানো যাবে না। বাচ্চার নখ সবসময় ছোট এবং পরিষ্কার রাখতে হবে।
  • টয়লেট ব্যবহার ও বাচ্চার ডায়পার পরিবর্তনের পর এবং খাওয়ার আগে হাত ভালোভাবে ধুতে হবে।

বিশেষজ্ঞ ডাক্তার

ডাঃ মোঃ জাকির হোসেন

মেডিসিন ( Medicine), নেফ্রোলজি ( কিডনি) ( Nephrology)

এমবিবিএস, এমডি(নেফ্রোলজি)

ডাঃ মোঃ মাহবুব হাসান

মেডিসিন ( Medicine), ডায়াবেটোলজিষ্ট ( Diabetologist)

এমবিবিএস(ডিএমসি), এফসিপিএস(মেডিসিন), এফপি, এমআরসিপি(মেডিসিন), প্রথম পর্ব (ইউ কে), সিসিড(বারডেম)

ডাঃ মোঃ শফিউল ইসালাম

মেডিসিন ( Medicine)

এমবিবিএস(ডিএমসি), বিসিএস , এফসিপিএস (মেডিসিন)

অধ্যাপক ডাঃ ব্রিঃ জেনাঃ আব্দুলাহ-আল ফারুক

মেডিসিন ( Medicine)

এমবিবিএস,, এফসিপিএস(মেডিসিন),, ফেলো পালমোনলজী(চীন)

ডাঃ মোঃ রসুল আমিন(শিপন)

মেডিসিন ( Medicine), কার্ডিওলজি ( হার্ট) ( Cardiology)

এমবিবিএস(ঢাকা), এমডি(কার্ডিওলজি), এফসিপিএস(মেডিসিন)

ডাঃ মোঃ নুরুল হাসান

মেডিসিন ( Medicine)

এম বি বি এস, এম পি এইচ (মা ও শিশু), এম ডি (মেডিসিন)

মেজর জেনারেল ডাঃ এম এ মঈদ সিদ্দিকি (অবঃ)

মেডিসিন ( Medicine), গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজি ( খাদ্যনালী, পরিপাকতন্ত্র) ( Gastroenterology)

এমবিবিএস, এফসিপিএস, এমসিপিএস(বিডি), এফআরসিপি(আয়ারল্যান্ড), এফআরসিপি(এডিন), এফসিপিএস(পাক), এফএসিপি(ইউএসএ)

ডাঃ মোঃ মিজানুর রহমান

কার্ডিওলজি ( হার্ট) ( Cardiology), মেডিসিন ( Medicine)

এমবিবিএস(ডিএমসি), এমডি কার্ড(এনআইসিভিডি), এফএসিসি(ইউএসএ)