সিবাসিয়াস সিস্ট (Sebaceous cyst)

শেয়ার করুন

বর্ণনা

এই রোগটি এপিডারময়েড সিস্ট, এপিথেলিয়াল সিস্ট এবং কেরাটিন সিস্ট নামেও পরিচিত।

সিবাসিয়াস সিস্ট বলতে ত্বকের নীচে সৃষ্ট সেই ক্ষুদ্র পিণ্ডগুলিকে বোঝায় যেগুলি ক্যান্সারে রূপান্তরিত হয় না। সিবাসিয়াস সিস্ট ত্বকের যে কোনো স্থানে দেখা দিতে পারে। তবে সাধারণত মুখমণ্ডল, গলায় ও শরীরের মধ্যাংশে এগুলি বেশি দেখা যায়।

সিবাসিয়াস সিস্ট ধীরে বৃদ্ধি পায় এবং এর কারণে সাধারণত কোনো ব্যথা বা সমস্যা সৃষ্টি হয় না। এর নিরাময়ের জন্য খুব কমক্ষেত্রে চিকিৎসার প্রয়োজন হয়। তবে সিবাসিয়াস সিস্ট ব্যাথাযুক্ত হলে, ফেটে গেলে বা সংক্রমিত হলে বা এর কারণে বিরক্তবোধ হলে এটি অপসারণ করা যেতে পারে।

সিবাসিয়াস সিস্টকে এপিডারময়েড সিস্টও বলে থাকে। তবে সিবাসিয়াস সিস্ট ও এপিডারময়েড সিস্টের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। সিবাসিয়াস সিস্ট সাধারণত কম হয়। ত্বক ও চুলকে তৈলাক্ত করে এমন তেলজাতীয় উপাদান যে গ্রন্থিগুলি থেকে নির্গত হয়,  সেগুলি থেকেই সিবাসিয়াস সিস্ট সৃষ্টি হয়ে থাকে।

.

কারণ

ত্বকের উপরিভাগ এক ধরনের কোষের পাতলা ও সুরক্ষাদানকারী স্তর দ্বারা গঠিত। এই ধরনের কোষগুলি প্রতিনিয়ত ত্বক থেকে খসে পড়ে। তবে খসে না পড়ে কোষগুলি ত্বকের গভীরে প্রবেশ করলে এবং সংখ্যাবৃদ্ধি করতে থাকলে এপিডারময়েড সিস্ট গঠিত হয়।

এপিডারমাল কোষ সিস্টের দেওয়াল সৃষ্টি করে এবং পরবর্তীতে ত্বকের অভ্যন্তরে কেরাটিন নামক প্রোটিন নিঃসৃত করে। কেরাটিন হল এক ধরনের ঘন ও হলুদ উপাদান, যা সিস্ট থেকে নিষ্কাশিত হয়। চুলের ফলিকল বা তৈলগ্রন্থি ক্ষতিগ্রস্থ হলে এই কোষের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি হয়ে থাকে।

লক্ষণ

এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে চিকিৎসকেরা নিম্নলিখিত লক্ষণগুলি চিহ্নিত করে থাকেন:

চিকিৎসা

 চিকিৎসকেরা এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের নিম্নলিখিত ঔষধগুলি গ্রহণ করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন:  

ডাঁটা সেন্টারে কোন প্রকার তথ্য পাওয়া যায়নি

চিকিৎসকেরা এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের নিম্নলিখিত টেস্টগুলি করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন:  

ইনসিশন এন্ড ড্রেইনেজ (Incision and drainage)
Laser Therapy

ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়

যে কোনো ব্যক্তিরই এক বা একাধিক এপিডারময়েড সিস্ট হতে পারে, তবে নিম্নে লিখিত বিষয়গুলি এর ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়:

  • বয়ঃসন্ধি পার হওয়া।
  • ব্রণ হওয়া।
  • কিছু বিরল জিনগত অস্বাভাবিকতা।
  • ত্বকে ক্ষত হওয়া।

 

যারা ঝুঁকির মধ্যে আছে

লিঙ্গ: পুরুষদের মধ্যে এই রোগ নির্ণয় হওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা থাকে। নারীদের মধ্যে এই রোগ নির্ণয় হওয়ার সম্ভাবনা ১ গুণ কম।

জাতি: কৃষ্ণাঙ্গ ও হিস্প্যানিকদের মধ্যে এই রোগ নির্ণয় হওয়ার সম্ভাবনা ১ গুণ কম। শ্বেতাঙ্গ ও অন্যান্য জাতির মানুষের মধ্যে এই রোগ নির্ণয় হওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা থাকে।

সাধারণ জিজ্ঞাসা

উত্তরঃ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া। যদি সিবাসিয়াস সিস্টে ইনফেকশনের কোনো লক্ষণ থাকে, তাহলে এটি কেটে এর ভিতরের তরল পদার্থ বের করা উচিৎ। সিবাসিয়াস সিস্টে যদি ব্যাথা না থাকে, এটি থেকে যদি কিছু নিঃসরিত না হয় এবং এটি দেখতে খারাপ না লাগলে কাটার প্রয়োজন হয় না।

উত্তরঃ এক্ষেত্রে নিজে নিজে কিছু করা উচিৎ নয়।  ত্বকের যে স্থানে সিবাসিয়াস সিস্ট সৃষ্টি হয়, সেই স্থানটিসহ পরিপূর্ণভাবে সিবাসিয়াস সিস্ট কেটে ফেলা প্রয়োজন। বাড়িতে আপনি নিজে এটি কাটতে গেলে রক্তপাত, ক্ষত, ইনফেকশনসহ অন্যান্য সমস্যা হওয়ার ঝুঁকি খাকে। সিবাসিয়াস সিস্ট অপসারণের জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণ ও যন্ত্রপাতি প্রয়োজন।

উত্তরঃ এটি প্রতিরোধ করার কোনো উপায় নেই। সিবাসিয়াস সিস্ট একবার হলে স্বাভাবিক দূরীভূতও হয় না। সিবাসিয়াস সিস্ট কেটে বাদ দেওয়াই এটি থেকে নিরাময় লাভের একমাত্র উপায়।

হেলথ টিপস্‌

সিবাসিয়াস সিস্ট প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়। তবে এর দ্বারা সৃষ্ট ক্ষত ও ইনফেকশনকে নিম্নে লিখিত বিষয়গুলি অনুসরণ করার মাধ্যমে রোধ করা যেতে পারে:

  • সিস্ট চাপ না দেওয়া।
  • সিস্ট এর উপর গরম ও আর্দ্র কাপড় রাখা।

বিশেষজ্ঞ ডাক্তার

ডাঃ মোঃ মোশারফ হোসেন

জেনারেল সার্জারী ( General Surgery)

এমবিবিএস, এফসিপিএস(সার্জারী)

ডাঃ ওমর সিদ্দিক

জেনারেল সার্জারী ( General Surgery)

এমবিবিএস, এফসিপিএস (সার্জারী)

ডাঃ গোবিন্দ চন্দ্র সাহা

জেনারেল সার্জারী ( General Surgery)

এমবিবিএস, এফসিপিএস, এমআরসিএস(লন্ডন), এমএস(সার্জারী)

অধ্যাপক ডাঃ মোঃ আতিকুর রহমান

জেনারেল সার্জারী ( General Surgery)

এম বি বি এস, এফ সি পি এস, এফ ডব্লিউ এইচ ও (অস্ট্রেলিয়া)

ডাঃ সুবর্ণা ইসলাম

জেনারেল সার্জারী ( General Surgery)

এমবিবিএস, এফসিপিএস(সার্জারী)

অধ্যাপক ডাঃ ফিরোজ কাদের

জেনারেল সার্জারী ( General Surgery)

এমবিবিএস , এফসিপিএস , এফআইসিএস

ডাঃ আবু সাঈদ মোল্লা (বাচ্চু)

জেনারেল সার্জারী ( General Surgery)

এমবিবিএস(ঢাকা), এমআরসিএস(যুক্তরাজ্য), এফসিপিএস(সার্জারী)

ডাঃ মোঃ শরিফ হোসেন মঈন

জেনারেল সার্জারী ( General Surgery)

এমবিবিএস, এফসিপিএস(পার্ট-২), (জেনারেল সার্জারী ও ইউরোলজী), সিসিডি(ডায়াবেটিস বারডেম)