গলার ইনফেকশন (Strep throat)

শেয়ার করুন

বর্ণনা

এটি স্ট্রেপটোকক্কাল ফ্যারিঞ্জাইটিস (Streptococcal Pharyngitis) এবং স্ট্রেপটোকক্কাল সোর থ্রোট (Streptococcal Sore Throat) নামেও পরিচিত।

গলার যে অংশে টনসিল রয়েছে সে স্থানে এবং তালুর পিছনের অংশে ব্যাকটেরিয়ার কারণে ইনফেকশন হলে তাকে গলার ইনফেকশন (Strep throat) বলা হয়ে থাকে। শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের গলায় ইনফেকশন বেশি হয়, তবে এটি প্রাপ্তবয়স্কদেরও হতে পারে। এই ইনফেকশন শীতকালে বেশি হয়ে থাকে। এই রোগের লক্ষণ আক্রান্ত ব্যক্তির বয়সের উপর নির্ভর করে।

অনেকে মনে করেন যে, গলা ব্যথা ও গলার স্বর ভেঙ্গে যাওয়া মানেই গলায় ইনফেকশন হওয়া, কিন্তু এই ধারণা সঠিক নয়। সাধারণত ভাইরাল ইনফেকশনের কারণে গলার স্বর ভেঙ্গে যায় এবং ইনফেকশনের মতই ব্যথা হয়। তবে হাঁচি, কাশি ও নাক দিয়ে পানি পড়া প্রভৃতি লক্ষণ দেখা গেলে তা যে গলার ইনফেকশন নয়, তা নিশ্চিতভাবে বলা যায়।

কারণ

গলায় ইনফেকশন হওয়ার কারণ হল স্ট্রেপটোকক্কাস পায়োজেন্স (Streptococcus pyogenes) নামক এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া। এটি গ্রুপ এ স্ট্রেপটোকক্কাস (Group A streptococcus) নামেও পরিচিত। স্ট্রেপটোকক্কাল ব্যাকটেরিয়া (Streptococcal bacteria) খুবই সংক্রামক। আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি ও কাশির মাধ্যমে এই ব্যাকটেরিয়া ছড়ায়। আক্রান্ত ব্যক্তির কাছ থেকে কোন প্রকার খাবার খেলেও এটি ছড়াতে পারে। কোন বস্তুর গায়ে যদি এই ব্যাকটেরিয়া লেগে থাকে তবে তা স্পর্শ করলে ঐ ব্যাকটেরিয়া নাক, মুখ ও চোখের মাধ্যমে দেহে প্রবেশ করে।

লক্ষণ

এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে চিকিৎসকেরা নিম্নলিখিত লক্ষণগুলি চিহ্নিত করে থাকেন:

ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়

নিম্নলিখিত বিষয়গুলির কারণে গলার ইনফেকশন হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়: 

  • যাদের বয়স ৫-১৫ এর মধ্যে তাদের গলার ইনফেকশন বেশি হয়ে থাকে।
  • বছরের যেকোনো সময় গলার ইনফেকশন হতে পারে। তবে শরতের শেষে ও বসন্তের শুরুতে এই রোগ বেশি দেখা দেয়। আক্রান্ত ব্যক্তির সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকলে এই রোগ হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।

যারা ঝুঁকির মধ্যে আছে

লিঙ্গঃ  পুরুষ এবং মহিলা উভয়ের মধ্যেই এই রোগ নির্ণয়ের গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে।

জাতিঃ  হিস্প্যানিক এবং শ্বেতাঙ্গদের মধ্যে এই রোগ নির্ণয়ের গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে। কৃষ্ণাঙ্গ ও অন্যান্য জাতির মধ্যে এই রোগ নির্ণয়ের সম্ভাবনা ১ গুণ কম।

সাধারণ জিজ্ঞাসা

উত্তরঃ যদিও গলার ইনফেকশন খুব বেশি মারাত্নক নয়, তবে এর কারণে কিছু জটিলতার সৃষ্টি হয়। এই জন্য টনসিলে, সাইনাসে, ত্বকে, রক্তে ও মধ্য কর্ণে ইনফেকশন হতে পারে।

গলার ইনফেকশনের কারণে অন্যান্য কিছু প্রদাহজনিত সমস্যা দেখা যায়, যেমন-

  • স্কারলেট ফিভার( Scarlet fever), এর কারণে ফুসকুড়ি হয়।
  • কিডনির প্রদাহ (পোস্টস্ট্রেপটোকক্কাল গ্লোমেরুলোনেফ্রাইটিস)(Poststreptococcal glomerulonephritis)।
  • বাতজ্বর- এমন একটি রোগ যা হৃৎপিণ্ড, অস্থিসন্ধি , স্নায়ুতন্ত্র ও ত্বকে প্রভাব ফেলে।

উত্তরঃ গলার ইনফেকশনের চিকিৎসা প্রায় ১০ থেকে ১৪ দিন স্থায়ী হয়। তবে চিকিৎসক কি ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক দিয়েছেন তার উপর এটি নির্ভর করে।

উত্তরঃ  গলায় ইনফেকশন হলে অ্যান্টিবায়োটিক নেওয়ার ২৪ ঘন্টা পর্যন্ত তাকে অন্যদের থেকে আলাদা থাকতে হবে।

হেলথ টিপস্‌

যে ব্যাকটেরিয়ার কারণে ইনফেকশন হয় অধিকাংশ ক্ষেত্রে অ্যান্টিবায়োটিক সে ব্যাকটেরিয়াকে ধ্বংস করে ফেলে। একই সাথে নিম্নলিখিত পন্থা অবলম্বন করে এই রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়ঃ

  • পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশ্রাম নিতে হবে।
  • প্রচুর পানি পান করতে হবে।
  • এমন নরম খাবার খেতে হবে যা সহজে গিলে ফেলা যায়।
  • গরম লবণ পানি দিয়ে গলায় গড়গড়া করতে হবে।
  • ইরিট্যান্টস (উত্তেজক পদার্থ) থেকে দূরে থাকতে হবে।
  • আক্রান্ত শিশুকে সাবধানতার সাথে রাখতে হবে।

গলার ইনফেকশন রোধ করতে-

  • আক্রান্ত ব্যক্তির সাথে খাবার ও পানি আদান-প্রদান করা যাবে না।
  • আক্রান্ত ব্যক্তিকে হাঁচি ও কাশি দেওয়ার সময় নাক ও মুখ ঢাকার জন্য বলতে হবে।
  • নিয়মিত হাত ধোয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।

বিশেষজ্ঞ ডাক্তার

ডাঃ মোঃ আব্দুল কাইয়ুম

মেডিসিন ( Medicine), পালমোনোলজি ( ফুসফুস) ( Pulmonology)

এমবিবিএস, এমডি(চেষ্ট), এফসিসিপি(আমেরিকা)

ডাঃ মোঃ আব্দুল্লাহেল কাফী

মেডিসিন ( Medicine), পালমোনোলজি ( ফুসফুস) ( Pulmonology)

এমবিবিএস , বিসিএস(স্বাস্থ্য), এফসিপিএস(মেডিসিন), এমডি(বক্ষব্যাধি)

ডাঃ মোঃ শফিকুর রহমান পাটওয়ারী

মেডিসিন ( Medicine), কার্ডিওলজি ( হার্ট) ( Cardiology)

এমবিবিএস, এমডি(কার্ডিওলজী), এফসিপিএস(মেডিসিন), এমসিপিএস(মেডিসিন), এফইএসসি (ইউরোপ), এফএসসিসি(আমেরিকা), ডিএসসি(আমেরিকা)

ডাঃ রোজিয়াত পারভীন

মেডিসিন ( Medicine), কার্ডিওলজি ( হার্ট) ( Cardiology)

এমবিবিএস, এমডি, বিসিএস, এনআইসিভিডি

ডাঃ মোঃ ইলিয়াস ভূঞা

মেডিসিন ( Medicine)

এমবিবিএস, এফসিপিএস(মেডিসিন শেষ পর্ব), এমআরসিপি(পার্ট-২)

ডাঃ মোঃ আশরাফ উদ্দিন আহমেদ

মেডিসিন ( Medicine), ডায়াবেটোলজিষ্ট ( Diabetologist)

এমবিবিএস, সিসিডি (বারডেম), এফসিপিএস (মেডিসিন)

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডাঃ সৈয়দ আসিফ ইকবাল

মেডিসিন ( Medicine), কার্ডিওলজি ( হার্ট) ( Cardiology)

এমবিবিএস(ঢাকা), এফসিপিএস(মেডিসিন)

ডাঃ মোঃ মুখলেছুর রহমান খান

মেডিসিন ( Medicine)

এমবিবিএস(ঢাকা), ডি-আই এইচ (ব্যাংকক)