যোনি পথের সিস্ট (Vaginal cyst)

শেয়ার করুন

বর্ণনা

মানবদেহ সবসময় সম্পূর্ণ স্বাভাবিক অবস্থায় থাকে না। আমাদের শরীরে বিভিন্ন স্থানে স্ফীত অংশ বা চাকার ন্যায় মাংসপিন্ড দেখা দেয়। সিস্ট হলো তরলজাতীয় পদার্থ বা বাতাসপূর্ণ থলের ন্যায় পিন্ড। এগুলো সাধারণত ক্ষতিকর হয় না। কিছু কিছু সিস্ট এতই ছোট হয় যে তা খালি চোখে দেখা যায় না। আবার কিছু সিস্ট ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পেয়ে কমলালেবুর সমান আকার ধারন করতে পারে। মহিলাদের যোনিপথসহ শরীরের যেকোনো অংশে সিস্ট হতে পারে। যোনি পথের সিস্ট সাধারণত যোনিপথে বা যোনিপথের নিচের স্তরে হয়ে থাকে।

কারণ

সিস্টের প্রকারভেদের উপর যোনিপথে সিস্ট হওয়ার কারণ নির্ভর করে। যৌনাঙ্গের গাত্রে কোনো আঘাত পেলে ইনক্লুশন সিস্ট (Inclusion cyst) সৃষ্টি হয়। যেমনঃ এপিসিয়োটমি (প্রসবাবস্থায় অপারেশনের সাহায্যে মহিলাদের যৌনাঙ্গের মুখ বড় করা) এর পর মহিলাদের ইনক্লুশন সিস্ট হতে পারে। আবার অপারেশনের ফলে যৌনাঙ্গের গঠনে কোনো ত্রুটি দেখা দিলেও মহিলাদের ইনক্লুশন সিস্ট হতে পারে। কোনো কারণে বার্থোলিন গ্রন্থির প্রবেশমুখ বন্ধ হয়ে গেলে বার্থোলিন্স গ্লান্ড সিস্ট (bartholin’s gland cyst) হয়ে থাকে। এই গ্রন্থির মুখ বন্ধ হয়ে গেলে তরলপূর্ণ পিন্ড দেখা দেয়। যেসকল ব্যাকটেরিয়া দ্বারা বিভিন্ন যৌনরোগ (যেমনঃ গনোরিয়া বা ক্ল্যামেডিয়া) সৃষ্টি হয় সেসব ব্যাকটেরিয়াসহ অন্যান্য ব্যাকটেরিয়া্র কারণে ফোড়া হতে পারে। আবার অন্ত্রের নালীতে উপস্থিত ব্যাকটেরিয়া (eg E.coli) দ্বারাও বার্থোলিন গ্রন্থিতে ফোড়া হতে পারে যা bartholin’s abscesses নামে পরিচিত।

লক্ষণ

এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে চিকিৎসকেরা নিম্নলিখিত লক্ষণগুলি চিহ্নিত করে থাকেন:

যারা ঝুঁকির মধ্যে আছে

লিঙ্গঃ মহিলাদের মধ্যে এই রোগ নির্ণয়ের গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে।

জাতিঃ কৃষ্ণাঙ্গ, হিস্পানিক ও অন্যান্য জাতির মধ্যে এই রোগ নির্ণয়ের গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে। অপরদিকে, শ্বেতাঙ্গদের মধ্যে এই রোগ নির্ণয়ের সম্ভাবনা একগুণ কম।

সাধারণ জিজ্ঞাসা

উত্তরঃ বিভিন্ন কারনে যোনিপথে সিস্ট হতে পারে। যৌনমিলনের ফলে সাধারণত যোনিপথে কোনো ধরণের স্ফীতি বা সিস্ট দেখা দেয় না। তবে এমন কিছু হলে ঐ স্থানে দিনে ৩-৪ বার গরম সেক দিতে হবে এবং এরপরও সমস্যা থাকলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

উত্তরঃ সাধারণত যোনিপথের সিস্ট মাসিকের উপর কোনো প্রভাব ফেলে না।

হেলথ টিপস্‌

যোনিপথের সিস্ট প্রতিরোধের জন্য নির্দিশট কোনো উপায় নেই। সিস্ট হওয়ার কারণ ও এর সাথে সম্পর্কিত অন্যান্য স্বাস্থ্যগত সমস্যা সাধারণত নিয়ন্ত্রনের বাইরে থাকে। যোনিপথের সিস্টের সাথে সম্পর্কিত অন্যান্য সমস্যা যেমনঃ যৌনরোগ, যা নিরাপদ যৌনমিলনের মাধ্যমে প্রতিরোধ করা সম্ভব। একই সাথে নিয়মিত শারীরিক অনুশীলন ও স্বাস্থ্যকর খাদ্যগ্রহণের মাধ্যমে গর্ভস্রাব (Miscarriage) ও হাইপোথাইরয়েডিজম (Hypothyroidism) প্রতিরোধ করা সম্ভব।

বিশেষজ্ঞ ডাক্তার

সহযোগী অধ্যাপক ডাঃ বিলকিস বেগম চৌধুরী

গাইনি ও অবসটেট্রিক্স ( Obstetrics & Gynaecology)

এমবিবিএস, ডিজিও, এফসিপিএস

ডাঃ আঞ্জুমান আরা রীতা

গাইনি ও অবসটেট্রিক্স ( Obstetrics & Gynaecology)

এমবিবিএস, এফসিপিএস (গাইনী এন্ড অবস্‌)

অধ্যাপক ডাঃ সালেহা বেগম চৌধুরী

গাইনি ও অবসটেট্রিক্স ( Obstetrics & Gynaecology)

এমবিবিএস, এফসিপিএস

ডাঃ সাথী দাস

গাইনি ও অবসটেট্রিক্স ( Obstetrics & Gynaecology)

এমবিবিএস (ডিইউ),, বিসিএস (স্বাস্থ্য), , এফসিপিএস (শেষ পর্ব)

প্রফেসর ডাঃ ফাতেমা বেগম

গাইনি ও অবসটেট্রিক্স ( Obstetrics & Gynaecology)

এমবিবিএস, এফসিপিএস(গাইনী এন্ড অব্‌স)

অধ্যাপক ডাঃ হোসনে আরা বেবী

গাইনি ও অবসটেট্রিক্স ( Obstetrics & Gynaecology)

এমবিবিএস,, এফসিপিএস(অবস‌ এন্ড গাইনী)

ডাঃ শাহানাজ বেগম নাজ

গাইনি ও অবসটেট্রিক্স ( Obstetrics & Gynaecology)

এমবিবিএস, ডিজিও, এফসিপিএস(গাইনী এন্ড অবস)

ডাঃ রহিমা সুলতানা তুহীন

গাইনি ও অবসটেট্রিক্স ( Obstetrics & Gynaecology)

এমবিবিএস, এফসিপিএস(পার্ট-২), এমএস(কোর্স)