ভিটামিন ‘এ’ এর অভাব জনিত রোগ (Vitamin A deficiency)

শেয়ার করুন

বর্ণনা

শরীরে ভিটামিন ‘এ’ এর পরিমাণ স্বাভাবিকের চেয়ে কম থাকলে ভিটামিন ‘এ’ এর অভাবজনিত রোগ দেখা দেয়। এই রোগ শিশুদের অন্ধত্ব এবং চোখের সমস্যার অন্যতম কারণ। এ রোগের কারণে নবজাতকের মৃত্যুর ঝুঁকি বেড়ে যায়।

এ রোগের কারণে গর্ভবতী মহিলাদের রাতকানা রোগ হয়ে থাকে এবং মাতৃমৃত্যুর সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়। সাধারণত গর্ভাবস্থার তৃতীয় মাসে মা ও অনাগত শিশুর পুষ্টির চাহিদা সবচেয়ে বেশি থাকে। এই সময়ে শরীরে ভিটামিন  ‘এ’ এর অভাব হলে মায়েরা রাতকানা রোগে আক্রান্ত হতে পারে। স্বাভাবিক দৃষ্টি ক্ষমতার জন্য আমাদের শরীরে ভিটামিন ‘এ’ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

ভিটামিন  ‘এ’ এর অভাবে শারীরিক বৃদ্ধি কমে যাওয়া থেকে শুরু করে ইনফেকশনের বিরুদ্ধে শরীরের লড়াইয়ের ক্ষমতা কমে যাওয়ার মতো সমস্যা হয় বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। এর ফলে অন্যান্য শারীরিক সমস্যাও দেখা দিতে পারে। এ রোগে আক্রান্ত শিশুর হাম, ঘন ঘন ডায়রিয়া অথবা শ্বাসযন্ত্রের ইনফেকশন দেখা দেয়, যে কারণে শিশুদের মৃত্যুও হতে পারে। এমনকি ভিটামিন এ-এর সামান্য অভাবের কারণে শিশুর হাড় ও দেহের সামগ্রিক গঠন ব্যাহত হতে পারে।

কারণ

সাধারণত নিম্নলিখিত কারণে এই রোগ হয়ে থাকে:

লক্ষণ

এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে চিকিৎসকেরা নিম্নলিখিত লক্ষণগুলি চিহ্নিত করে থাকেন:

যারা ঝুঁকির মধ্যে আছে

  • লিঙ্গ: মহিলাদের এই রোগ নির্ণয়ের গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে। পুরুষদের মধ্যে এই রোগ নির্ণয়ের সম্ভাবনা ১ গুণ কম।
  • জাতি: শ্বেতাঙ্গ এবং কৃষ্ণাঙ্গদের মধ্যে এই রোগ নির্ণয়ের গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে। হিস্প্যানিকদের এই রোগ নির্ণয়ের সম্ভাবনা ৯ গুণ কম। অন্যান্য জাতির মধ্যে এই রোগ নির্ণয়ের সম্ভাবনা ৩ গুণ কম।

সাধারণ জিজ্ঞাসা

উত্তর: খাদ্যাভ্যাসে পুষ্টির অভাব থাকলে একজন ব্যক্তির যেকোন সময় ভিটামিনের অভাব হতে পারে। স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস থাকলে সাধারণত কোন ভিটামিনের অভাব হয় না।

উত্তরঃ ভিটামিন ‘এ’ এর অভাব হলে ঔষধ অথবা ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে চিকিৎসা দেয়া হয়। ভিটামিন ‘এ’ এর অভাব হলে রাতকানা, জেরোফথেলমিয়া (xerophthalmia) এবং ইনফেকশন হওয়ার প্রবণতা দেখা যায়। ভিটামিন ‘এ’ এর অভাব বেড়ে গেলে বমি, ক্ষুধা মন্দা এবং মাংসপেশীতে ব্যথা অনুভুত হয়। নিজে নিজে এর প্রতিকার করার চেষ্টা না করে অবশ্যই ডাক্তারের শরণাপন্ন হত হবে।

উত্তর: রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে যে কোন ধরণের ভিটামিনের অভাবজনিত সমস্যার পরীক্ষা করা যায়। সাধারণত যে টেস্টগুলো সচরাচর করা হয়ে থাকে সেগুলো হল ফলিক এসিড, ভিটামিন বি-১২ এবং ভিটামিন ডি টেষ্ট। ভিটামিন ‘এ’-এর অভাব সাধারণত আলাদা কোন রোগ নয়, বরং অন্যান্য শারীরিক সমস্যার সাথে এটি সম্পর্কিত।

হেলথ টিপস্‌

নিম্নলিখিত বিষয়গুলি অনুসরণ করার মাধ্যমে ভিটামিনের 'এ'-এর অভাবজনিত রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব-
  • কলিজা, গরুর মাংস, মুরগীর মাংস, ডিম, দুধ, গাজর, আম, কমলা, মিষ্টি আলু, পালংশাক, বাঁধাকপি জাতীয় সবজি, এবং অন্যান্য সবুজ শাক সবজিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘এ’ পাওয়া যায়। নিয়মিত এই ধরনের খাবার খেতে হবে।
  • দেহে ক্যারটিনয়েড এর উপস্থিতির জন্য প্রতিদিন অন্তত ৫ বার ফল এবং শাক সবজি খেতে হবে।
  • সিরিয়ালস/শস্য জাতীয় খাবার (cereals), পেস্ট্রি (pastries), পাউরুটি, ক্র্যাকার্স (crackers) এবং সিরিয়াল গ্রেইন বারে ভিটামিন ‘এ’ পাওয়া যায়।

বিশেষজ্ঞ ডাক্তার

ডাঃ ফারুক আহমেদ

মেডিসিন ( Medicine)

এমবিবিএস, এফসিপিএস(মেডিসিন)

ডাঃ সুমন রায়

মেডিসিন ( Medicine), ডায়াবেটোলজিষ্ট ( Diabetologist)

এমবিবিএস(ডিইউ), পিজিটি(মেডিসিন), সিসিডি(বারডেম)

ডাঃ মোঃ আব্দুল মোত্তালিব

মেডিসিন ( Medicine), কার্ডিওলজি ( হার্ট) ( Cardiology)

এমবিবিএস(ঢাকা), এফসিপিএস(মেডিসিন), এমডি(কার্ডিওলজী)

ডা. মো. নূরুল হাসান

মেডিসিন ( Medicine)

এম বি বি এস, এম পি এইচ, এম ডি (মেডিসিন)

ডাঃ মোহাম্মদ এছহাক মজুমদার

মেডিসিন ( Medicine)

এমবিবিএস,, বিসিএস (স্বাস্থ্য), এমসিপিএস (মেডিসিন) , এমডি (ইন্টারনাল মেডিসিন)

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল অধ্যাপক ডাঃ মোঃ হায়দার রশীদ (অবঃ)

মেডিসিন ( Medicine)

এমবিবিএস, এফসিপিএস(মেডিসিন), এফআরসিপি(গ্লাসগো-ইউ-কে), ফেলো-কার্ডিওলজী(সৌদি আরব), এফ এ সিসি(আমেরিকা)

ডাঃ আমিনুল ইসলাম

মেডিসিন ( Medicine)

এমবিবিএস, এমএসসি, এমআরসিপি(ইউকে)

ডাঃ সৈয়দা আদিব সুলতানা

মেডিসিন ( Medicine)

এমবিবিএস, এফসিপিএস(মেডিসিন)