দর্শন, শ্রবণ, স্পর্শ, ঘ্রাণ, স্বাদ ইত্যাদি সংবেদন বা অনুভূতি শনাক্ত করার
জন্য ব্যক্তির নির্দিষ্ট প্রভাবক বা উদ্দীপকের (stimuli) প্রয়োজন। কোনো
প্রভাবক বা উদ্দীপকের (stimuli) প্রতি স্নায়ুর সংবেদনশীলতা মাত্রাধিক
পরিমাণে বেড়ে গেলে এ অবস্থাকে হাইপারএস্থেশিয়া (Hyperesthesia) বলে। এ
অবস্থায় স্বাভাবিক যেকোনো উদ্দীপকের প্রভাবে স্নায়ুর সংবেদনশীলতা বৃদ্ধি
পায়। স্পর্শানুভুতি বেড়ে গেলে তাকে ট্যাক্টাইল হাইপারএস্থেশিয়া (tactile
hyperesthesia) বলে যা বিভিন্ন নিউরোলজিকাল ডিজঅর্ডার যেমনঃ হার্পিস জস্টার
(herpes zoster), পেরিফ্যারাল নিউরোপ্যাথি (peripheral neuropathy) ও
রেডিকুলোপ্যাথিস (radiculopathies) এর লক্ষণ হতে পারে। আবার শ্রবাণানুভূতি
মাত্রাধিক পরিমাণে বেড়ে গেলে তাকে অডিটরি হাইপারএস্থেশিয়া (auditory
hyperesthesia) বলে।
ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়ঃ যেসকল কারণে এ লক্ষণ দেখা দেওয়ার ঝুঁকি বৃদ্ধি পায় সেগুল হলোঃ
ব্যক্তির বয়স পঞ্চাশের বেশি হলে।
মহিলাদের ক্ষেত্রে।
অতিরিক্ত ব্যথা ও র্যাশ দেখা দিলে।
যারা ঝুঁকির মধ্যে আছে
লিঙ্গঃ মহিলাদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে।
অপরদিকে, পুরুষদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা একগুণ কম।
জাতিঃ শ্বেতাঙ্গ ও কৃষ্ণাঙ্গদের ক্ষেত্রে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা
সম্ভাবনা রয়েছে। অপরদিকে, হিস্প্যানিক ও অন্যান্য জাতির ক্ষেত্রে এই লক্ষণ
দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ১৪ গুণ কম।