অস্থিসন্ধিতে টান/খিঁচুনি (Joint cramps or spasms)

শেয়ার করুন

বর্ণনা

মাংসপেশীর খিঁচুনি বলতে অনিচ্ছা সত্ত্বেও মাংসপেশী শক্ত হয়ে যাওয়াকে বোঝায়। এই সমস্যা হলে মাংসপেশী স্বাভাবিকভাবে শিথিল হয় না। খিঁচুনি সব মাংসপেশীতে হতে পারে। এছাড়া কিছু ক্ষেত্রে এক ও একাধিক পেশীর অংশ বিশেষেও খিঁচুনি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। অস্থি সন্ধিতে টান/খিঁচুনির ক্ষেত্রে অস্থির চারপাশের সন্ধিতে খিঁচুনি সৃষ্টি হয়।

সাধারণত নিম্নলিখিত পেশিগুলিতে খিঁচুনি বেশি দেখা দেয়-

  • পায়ের/কাফ ( calf) নিম্নাংশের পিছন দিক।
  • উরুর পিছন দিক [হ্যামেস্ট্রিং(hamstring)]।
  • উরুর সামনের দিক [কোয়াডড্রিসেপ(quadricep)]

পায়ের পাতা, হাত, বাহু, পেট ও পাঁজরে খিঁচুনি বেশি হয়ে থাকে।

মাংসপেশীর খিঁচুনি একটি সাধারণ সমস্যা। আক্রান্ত স্থানের পেশী প্রসারণ করলেই সমস্যাটি অনেক ক্ষেত্রে কমে যায়।

কারণ

কোনো মাংসপেশীর উপর অতিরিক্ত চাপ পড়লে, বা কোন মাংসপেশী আঘাত প্রাপ্ত হলে তাতে টান ধরতে পারে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি গ্রহণ না করে, বা শরীরে পটাশিয়াম ও ক্যালসিয়ামের মতো মিনারেলের মাত্রা কম থাকা অবস্থায় ব্যায়াম করলে মাংসপেশীতে টান দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

সংশ্লিষ্ট লক্ষণসমূহ

এই লক্ষণের সাথে অন্যান্য যেসকল লক্ষণ দেখা যেতে পারে সেগুলো হলো:

ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়

নিম্নলিখিত বিষয়গুলি অস্থি সন্ধিতে টান/খিঁচুনি হওয়ার ঝুঁকি বৃদ্ধি করে:

  • অ্যালকোহল গ্রহণ।
  • হাইপোথাইরয়েডিজম (Hypothyroidism) [থাইরয়েডের ক্রিয়াশীলতা হ্রাস]।
  • কিডনি ফেইলিওর।
  • কিছু বিশেষ ঔষধ গ্রহণ।
  • ঋতুস্রাব।
  • গর্ভধারণ।

যারা ঝুঁকির মধ্যে আছে

লিঙ্গ: পুরুষদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা থাকে। নারীদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ১ গুণ কম।

 জাত: হিস্প্যানিকদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ৩ গুণ বেশি। কৃষ্ণাঙ্গদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ২ গুণ বেশি। শ্বেতাঙ্গদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ১ গুণ কম। অন্যান্য জাতির মানুষের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ৯ গুণ বেশি।  

সাধারণ জিজ্ঞাসা

উত্তরঃ চিকিৎসকের কাছে যাওয়া উচিৎ। এছাড়া ঔষধ আকারে  ম্যাগনেসিয়াম গ্রহণ ও হালকা ব্যায়াম করা যেতে পারে। সাথে সাথে গ্লুটেনযুক্ত খাবার পরিহার করা প্রয়োজন।

উত্তরঃ বেশ কিছু কারণে এমন হতে পারে। যদি খিঁচুনি ও ব্যথা দীর্ঘস্থায়ী হয়, তাহলে রক্ত জমাট বেঁধেছে কীনা, বা মেনিসকাস (meniscus) ছিঁড়ে গেছে কীনা, তা বোঝার জন্য চিকিৎসকের কাছে যাওয়া উচিৎ।

হেলথ টিপস্‌

খেলাধূলা বা ব্যায়াম করার সময় পর্যাপ্ত পরিমাণে পানীয় গ্রহণ না করলে মাংসপেশীর খিঁচুনি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। পানি পান করলে কিছু ক্ষেত্রে খিঁচুনি কমে যেতে পারে। তবে সব ক্ষেত্রে শুধু পানি পান করলে খিঁচুনি কমে না। মিনারেলের ক্ষতিপূরণকারী লবণ পানি ও এনার্জি ড্রিঙ্ক গ্রহণ করলেও উপকার পাওয়া যেতে পারে।

মাংস্পেশীর খিঁচুনি কমাতে নিম্নলিখিত বিষয়গুলিও অনুসরণ করা যেতে পারে-

  • সামর্থ্যের বেশি ব্যায়াম না করা।
  • ব্যায়াম করার সময় বেশি পরিমাণে পানীয় ও পটাশিয়াম গ্রহণ করা(কমলালেবুর জুস ও কলা পটাশিয়ামের উৎস)।
  • মাংসপেশীর নমনীয়তা বাড়ানোর জন্য মাংসপেশী প্রসারণ করা।