কানে পিণ্ড/চাকা (Mass on ear)

শেয়ার করুন

বর্ণনা

এটি কোলেস্টিয়াটোমা (cholesteatoma) নামেও পরিচিত। এর কারণে মধ্যকর্ণ বা কানের পর্দা থেকে  টিস্যু অস্বাভাবিকভাবে একত্রিত হয়ে পিণ্ডের সৃষ্টি করে। যে  স্থানে পিণ্ড/চাকা দেখা দেয়, সে স্থানের টিস্যুর রঙ ও গঠনে পরিবর্তন দেখা দেয়। মৃত কোষ ও বর্জ্য বা দূষিত পদার্থ জমে মধ্যকর্ণে সিস্ট তৈরী হলে তা কানের ইউস্টেশিয়ান টিউবকে (eustachian tube) বন্ধ করে দেয়। এই সিস্ট ধীরে ধীরে সংক্রমিত হয়ে পড়ে ও বড় হতে থাকে। যার ফলে শ্রবণশক্তি হ্রাস পায়।

কারণ

বিভিন্ন কারণে এই লক্ষণ দেখা যেতে পারে, যেমন:

সংশ্লিষ্ট লক্ষণসমূহ

এই লক্ষণের সাথে অন্যান্য যেসকল লক্ষণ দেখা যেতে পারে সেগুলো হলো:

যারা ঝুঁকির মধ্যে আছে

লিঙ্গ: পুরুষদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে। মহিলাদের মধ্যে  এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ১ গুণ কম।

জাতি: কৃষ্ণাঙ্গ ও হিস্প্যানিকদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে। শ্বেতাঙ্গ ও অন্যান্য জাতির মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ১ গুণ কম।

সাধারণ জিজ্ঞাসা

উত্তর: পূর্বে কখনো মধ্যকর্ণে ইনফেকশন হয়ে থাকলে পরবর্তীতে কোলেস্টিয়াটোমা হতে পারে। তবে অধিকাংশ ইনফেকশন আক্রান্ত রোগীর কোলেস্টিয়াটোমা হয় না। 

উত্তরঃ অধিকাংশ ক্ষেত্রে কোলেস্টিয়াটোমায় আক্রান্ত হলে সার্জারির প্রয়োজন হয়। তবে নিয়মিত সার্জনের মাধ্যমে কানের ভেতরের অংশ পরিষ্কার করালে কোলেস্টিয়াটোমা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। সার্জারি করা সম্ভব না হলে অ্যান্টিবায়োটিক্স ও কানের ড্রপের সাহায্যে চিকিৎসা করা হয়। 

হেলথ টিপস্‌

কঞ্জেনিটাল কোলেস্টিয়াটোমা প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়। তবে এই সমস্যা বংশগত না হলে ইনেফেকশন দেখা দেওয়ার সাথে সাথে চিকিৎসা করালে কোলেস্টিয়াটোমা প্রতিরোধ করা সম্ভব। কিছু ক্ষেত্রে চিকিৎসার পরও সিস্ট দেখা দিতে পারে। তাই অন্যান্য সমস্যা প্রতিরোধে যতো দ্রুত সম্ভব কোলেস্টিয়াটোমার চিকিৎসা করাতে হবে।