প্রস্টেটের ব্যথা চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় প্রস্টেডাইনিয়া (Prostadynia) নামে পরিচিত। মূত্রথলির নিচে মূত্রনালীর চারপাশে কাজুবাদামের ন্যায় যে গ্রন্থিটি রয়েছে সেটিই হলো প্রস্টেট গ্রন্থি। এই গ্রন্থি বা এর চারপাশে কোনো প্রদাহজনিত সমস্যা বা ইনফেকশন ছাড়া ব্যথা হলে তাকে প্রস্টেডাইনিয়া বলে। এ অবস্থায় প্রস্টেট গ্রন্থিতে কিছুক্ষণ পরপর কনকনে ব্যথা, চুলকানি, জ্বালাপোড়া ও চাপ অনুভূত হয়। এই ধরনের ব্যথা বা অস্বস্তি সাধারণত মূত্রনালী, প্রস্টেট গ্রন্থি ও এর চারপাশ, পুরুষাঙ্গের প্রান্ত, মলদ্বার ও কখনো কখনো অন্ডকোষে হয়ে থাকে। প্রস্টেটের ব্যথা বাড়তে শুরু করলে তা ধীরে ধীরে ক্রনিক প্রস্টেটাইটিস (chronic prostatitis) এ রূপ নেয়। এছাড়াও প্রস্টেটের ব্যথা ইউরিনারি সিম্পটম ও পোস্ট ইজাকুলেটরি পেইনের সাথেও দেখা দিতে পারে। এমনকি বসার সময় ব্যথা অনুভুত হতে পারে, এবং এ সময় টেনিস বলের উপর বসার অনুভূতি হতে পারে।
কারণ
বিভিন্ন কারণে এই লক্ষণ দেখা যেতে পারেঃ যেমন-
ফোঁড়া (Abscess)।
সিস্ট (Cyst)।
প্রস্টেট বড় হয়ে যাওয়া (Enlarged prostate)।
প্রস্টেট ক্যান্সার (Prostate cancer)।
প্রস্টেটাইটিস (Prostatitis)।
সংশ্লিষ্ট লক্ষণসমূহ
এই লক্ষণের সাথে অন্যান্য যেসকল লক্ষণ দেখা যেতে পারে সেগুলো হলোঃ
বিশেষজ্ঞরা প্রস্টেটে ব্যথা হওয়ার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য কোনো ঝুঁকিপূর্ণ বিষয় চিহ্নিত করেননি। তবে ধারণা করা হয় জিনগত কারণে এই লক্ষণ দেখা দিতে পারে। যেসকল কারণে প্রস্টেটে ব্যথা হওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায় সেগুলো হলোঃ
লিঙ্গঃ পুরুষদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ২ গুণ।
জাতিঃ শ্বেতাঙ্গদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে। কৃষ্ণাঙ্গদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ৩৫ গুণ কম। হিস্প্যানিকদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ১ গুণ কম। অন্যান্য জাতির মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ৯ গুণ কম।
হেলথ টিপস্
প্রস্টেটের ব্যথা কমানোর জন্য নিম্নলিখিত বিষয়গুলি অনুসরণ করা যেতে পারে-
অতিরিক্ত খাবার খাওয়ার অভ্যাস পরিহার করতে হবে।
অ্যান্টি-অক্সিডেন্টযুক্ত ফলমূল ও শাকসবজি খেতে হবে।