মানবদেহে (সকল জীবদেহে) অনবরত নানা ধরনের জৈবিক ক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার জন্য
শক্তির প্রয়োজন। শক্তির প্রধান উৎস হচ্ছে খাদ্য। খাদ্যে এই শক্তি প্রধানত
স্থিতিশক্তিরূপে বিদ্যমান থাকে। দেহকোষে এ শক্তি বিশেষ প্রক্রিয়ায় তাপশক্তি
বা গতিশক্তিতে রূপান্তরিত হয়ে দেহের সকল বিপাকীয় কাজ নিয়ন্ত্রণ করে। শক্তি
অর্জনের জন্য প্রতিটি জীব খাদ্য গ্রহণে বাধ্য হয়। খাদ্য গ্রহণের এই
ইচ্ছাকে ক্ষুধা বলে। ক্ষুধা পরিপাক নালী, এডিপোজ টিস্যু এবং মস্তিষ্কের
পারস্পরিক ক্রিয়ার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত হয়। ক্ষুধা ব্যক্তির প্রতিটি আচরণের
উপর প্রভাব ফেলে। মানসিক কিংবা শারীরিক কোনো ধরনের চাপের কারণে খাওয়ার
ইচ্ছা বেড়ে যেতে পারে। একে হাইপারফ্যাজিয়া বা পলিফ্যাজিয়া বলে। আবার কখনও
কখনও ক্ষুধা না লাগার অনুভূতি হলে তাকে অ্যানোরেক্সিয়া বলে। ক্ষুধার
অস্বাভাবিকতার কারণে অ্যানোরেক্সিয়া নারভোসা, বুলিমিয়া নারভোসা,
ক্যাকেক্সিয় ও বিঞ্জ ইটিং ডিজঅর্ডার ইত্যাদি সমস্যা দেখা যায়।
এছাড়াও
বাড়ন্ত বয়সের শিশু বিশেষ করে ১৩-১৪ বছর বয়সের শিশুদের মধ্যে মানসিক কিছু
পরিবর্তন যেমন- চট করে রেগে যাওয়া, খিটখিটে মেজাজ দেখা যায়, এই অবস্থায়
তাদের মধ্যে অস্বাভাবিক ক্ষুধার সমস্যা পরিলক্ষিত হয়।
হেলথ টিপস্
নিম্নলিখিত পন্থা অবলম্বন করে এই লক্ষণ প্রতিরোধ করা সম্ভব:
রুটিন অনুযায়ী সময়ের খাবার সময়ে খেতে হবে।
পরিমিত খাবার গ্রহন করতে হবে।
প্রচুর পানি পান করতে হবে।
ধুমপান পরিহার করতে হবে।
সুষম খাদ্য গ্রহন করতে হবে এবং ফার্ষ্ট ফুড পরিহার করতে হবে।