অস্বাভাবিক শারীরিক তাপমাত্রা (Abnormal body temperature)

শেয়ার করুন

বর্ণনা

যখন দেহের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে কমে যায় বা বেড়ে যায় তখন একে অস্বাভাবিক শারীরিক তাপমাত্রা বলে। শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা হল ৯৮.৬ ডিগ্রী ফারেনহাইট (৩৭ ডিগ্রী সেলসিয়াস)। শরীরের তাপমাত্রা ৯৫ ডিগ্রী ফারেনহাইট (৩৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস) এর চেয়ে কমে গেলে তাকে হাইপোথার্মিয়া বলে। শরীরের তাপমাত্রা কমে গেলে, হৃৎপিণ্ড, স্নায়ুতন্ত্র ও দেহের অন্যান্য অঙ্গ স্বাভাবিক উপায়ে কাজ করতে পারে না। এর চিকিৎসা না করা হলে হৃৎপিণ্ড ও শ্বসনতন্ত্র সম্পূর্ণভাবে নষ্ট হয়ে যায়, যার ফলে মৃত্যুও হতে পারে। এই সমস্যাটি সাধারণত ঠাণ্ডা আবহাওয়ার কারণে হয়ে থাকে। এর প্রাথমিক চিকিৎসা হলো যেকোনো উপায়ে শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি করা।

 

কারণ

বিভিন্ন কারণে এই লক্ষণ দেখা যেতে পারে, যেমন-

  • গ্যাস্ট্রোএন্টেরাইটিস (Gastroenteritis)।
  • কান, ফুসফুস, ত্বক, গলা, মূত্রনালী বা কিডনির ইনফেকশন (Infections of the ear, lung, skin, throat,  bladder or kidney)।
  • ইনফ্লামেটারি কন্ডিশন (Inflammatory conditions)।
  • বিভিন্ন ঔষধের প্বার্শপ্রতিক্রিয়া।
  • ক্যান্সার ।
  • বিভিন্ন অটোইমিউন ডিজিজ যেমন- লুপাস, রিম্যাটয়েড আর্থ্রাইটিস ও ইনফ্লামেরেটরী বাওয়েল ডিজিজ। 
  • হরমোন ডিজঅর্ডার, যেমন-হাইপারথায়রয়েডিজম (Hormone disorders such as hyperthyroidism)।
  • অ্যাম্ফিটামিন এবং কোকেইনের ব্যবহার।
  • ম্যালেরিয়া।

ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়

এ লক্ষণের জন্য ঝুকিপূর্ণ বিষয়গুলো হলোঃ

বয়স্ক ব্যক্তিদের অনেক কারণেই হাইপোথার্মিয়া হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। কারণ বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে দেহের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা কমে যেতে থাকে।

  • প্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায় শিশুদের দেহের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রনের ক্ষমতা কম। তাই এদের এই সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
  • বিভিন্ন মানসিক অসুস্থতা যেমন- ডিমেন্সিয়ার কারণেও এটি হতে পারে।
  • বিভিন্ন ঔষধ যেমন- অ্যান্টিডিপ্রেসেন্টস, অ্যান্টিসাইকোটিকস, চেতনানাশক ঔষধের কারণেও দেহের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রনের ক্ষমতা কমে যায়।

সাধারণ জিজ্ঞাসা

উত্তরঃ সাধারণত সবার জন্যই স্বাভাবিক তাপমাত্রা হলো ৯৮.৮ ডিগ্রী ফারেনহাইট বা ৩৭ ডিগ্রী সেলসিয়াস।

হেলথ টিপস্‌

নিম্নলিখিত পন্থা অবলম্বন করে এই লক্ষণ প্রতিরোধ করা সম্ভব:

  • মাথা, ঘাড় ও মুখে যেন রোদ না লাগে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
  • যেসব কাজ করলে অনেক ঘামতে হয় এমন কাজ করা যাবে না।
  • ঢিলেঢালা ও হালকা পোশাক পরতে হবে।
  • শুষ্ক আবহাওয়ায় থাকার চেষ্টা করতে হবে।