অস্বাভাবিক শারীরিক বৃদ্ধি (Abnormal growth or development)

শেয়ার করুন

বর্ণনা

শিশুদের উচ্চতা, ওজন, বয়ঃসন্ধিকালীন লক্ষণ (ঋতুস্রাব, মুখ, বগল, শ্রোনীদেশে লোম বা স্তনের আকার বৃদ্ধি), কথা বলা, হাঁটাচলা, হামাগুড়ি ও সামাজিক আচরণ প্রভৃতি স্বাভাবিক  সময়ের পূর্বে বা খুব দেরিতে দেখা গেলে তাকে অস্বাভাবিক বৃদ্ধি বলে। অস্বাভাবিক বৃদ্ধির দুইটি সাধারণ প্রকারভেদ আছে- বৃদ্ধির অভাব এবং অতিরিক্ত বৃদ্ধি।

কারণ

বিভিন্ন কারণে এই লক্ষণ দেখা যেতে পারে, যেমন-  

  • পুষ্টি (Nutrition):  যেসব শিশু অপুষ্টিতে ভোগে তাদের বৃদ্ধি সঠিকভাবে হয় না। স্বাভাবিক বৃদ্ধির জন্য সুষম খাদ্য ও পর্যাপ্ত প্রোটিনের প্রয়োজন। বিশ্বের অনেক দেশে অপুষ্টিজনিত সমস্যা রয়েছে এবং যার জন্য ঐসব এলাকার শিশুদের বৃদ্ধি স্বাভাবিকভাবে হয় না।
  • ক্রনিক ডিজিজ বা দূরারোগ্য ব্যাধি (Chronic diseases): বিভিন্ন ক্রনিক ডিজিজ যেমন-ডায়াবেটিস, কঞ্জেনিটাল হার্ট ডিজঅর্ডার, সিকেল সেল ডিজিজ, ক্রনিক কিডনি ফেইলিওর, সিস্টিক ফাইব্রোসিস এবং রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিসে আক্রান্ত ব্যক্তির স্বাভাবিক বৃদ্ধি হয় না।
  • বোন ডিজঅর্ডার (Bone Disorders): অস্থি ও তরূনাস্থির অস্বাভাবিক গঠন ও বৃদ্ধির কারণে কম বৃদ্ধি হয়ে থাকে। স্কেলেটাল ডিস্প্ল্যাসিয়া বা কোন্ড্রোডিসট্রোফিতে আক্রান্ত শিশুরাও আকারে ছোট হয়। এটি সাধারণত জিনগত পরিবর্তনের কারণে হয়ে থাকে।
  • জিনগত সমস্যা (Genetic conditions): বিভিন্ন জিনগত সমস্যার কারণে স্বাভাবিক বৃদ্ধি বাধাপ্রাপ্ত হতে পারে। এদের মধ্যে একটি হলো টারনার সিন্ড্রোম। যেসব মেয়েদের এই সিন্ড্রোম আছে তাদের X ক্রোমোসোম একটি থাকে, বা দ্বিতীয় X ক্রোমোসোমটি অস্বাভাবিক বা অপরিণত হয়ে থাকে। এই রোগে আক্রান্ত মেয়েরা আকারে ছোট হয় এবং তাদের ডিম্বাশয় অপরিণত হয়।

সাধারণ জিজ্ঞাসা

উত্তর: একজন ব্যক্তির বৃদ্ধি ও উন্নতির উপর যে বিষয়গুলো প্রভাব ফেলে তা হলো:

  • জীনগত পরিবর্তন।
  • পরিবেশগত পরিবর্তন (জন্ম পূর্ববর্তী ও পরবর্তী)।