বুকের ব্যথা (Chest pain)

শেয়ার করুন

বর্ণনা

বিভিন্ন কারণে বুকে মৃদু বা তীক্ষ্ণ ব্যথা হতে পারে। আবার কখনও কখনও বুকে জ্বালাপোড়াসহ ব্যথা হতে পারে। আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায়, এই ব্যথা গলা, চোয়াল, মেরুদন্ড এবং দুই বাহুতে ছড়িয়ে পড়ে। বিভিন্ন কারণে এই ব্যাথা হতে পারে। তবে হৃদরোগ বা ফুসফুসের কোনো সমস্যার জন্য বুকে ব্যথা হলে তা রোগীর মৃত্যুর কারণও হতে পারে। বুকে ব্যথা হওয়ার সাথে রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে কেননা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ ছাড়া এর সঠিক কারণ নির্ণয় করা সম্ভব নয়।

কারণ

বিভিন্ন কারণে এই লক্ষণ দেখা যেতে পারেঃ যেমন-

হৃদরোগ সংক্রান্ত কারণঃ

  • হার্ট অ্যাটাকঃ হৃৎপেশীতে রক্ত সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেলে তাকে হার্ট অ্যাটাক বলে যার কারণে বুকে ব্যথা হয়ে থাকে।
  • অ্যাঞ্জাইনাঃ হৃৎপিন্ডে রক্ত সরবরাহকারী ধমনীর গাত্রে প্লাক বা চর্বি জমার কারণে ধমনী সরু হয়ে হয়ে পড়ে এবং রক্ত সরবরাহ ব্যাহত হয় (বিশেষ করে পরীশ্রমের সময়) যা অ্যাঞ্জাইনা নামে পরিচিত।

পরিপাক সংক্রান্ত সমস্যাঃ

  • বুক জ্বালাপোড়াঃ পাকস্থলি থেকে এসিড খাদ্যনালীতে ছড়িয়ে পড়লে বুকে জ্বালাপোড়াসহ ব্যথা হয়।
  • গিলতে অসুবিধা হওয়াঃ খাদ্যনালীতে কোনো সমস্যা দেখা দিলে খাদ্যবস্তু গিলতে অসুবিধা হয় ও বুকে ব্যাথা হয়।

পেশি ও অস্থি সংক্রান্ত সমস্যাঃ

  • কস্টোকন্ড্রাইটিস (Costochondritis): এই অবস্থায় পাঁজরের কার্টিলেজ বা তরুণাস্থিতে প্রদাহের কারণে ব্যথা হয়।
  • পেশিতে ক্ষতে সৃষ্টি হলেঃ ক্রনিক পেইন সিন্ড্রোম, যেমনঃ ফাইব্রোমাইয়ালজিয়া (fibromyalgia) এর কারণে ক্রমাগত বুকে ব্যথা হতে পারে।

ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়

যেসকল কারণে বুকে ব্যাথা হওয়ার ঝুঁকি বৃদ্ধি পায় সেগুলো হলোঃ

  • বয়স্কদের ক্ষেত্রে।
  • ধূমপান ও তামাকের ব্যবহার
  • ডায়াবেটিস
  • পরিবারে অন্য কারো হৃদরোগ থাকলে।
  • ব্যায়াম ও অনুশীলনের অভাব।
  • স্থূলতার কারণে।

হেলথ টিপস্‌

নিম্নলিখিত উপায়ে হৃদরোগ ও বুকে ব্যথা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। যেমনঃ

  • অ্যাঞ্জাইনার কারণে বুকে ব্যথা হলে অতিরিক্ত পরীশ্রম করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
  • স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে। চর্বি ও চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
  • ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।
  • এলকোহল বা মদ্যপান এড়িয়ে চলতে হবে।
  • ধূমপান পরিহার করতে হবে।
  • মানসিক চাপ ও দুশ্চিন্তা কমাতে হবে।
  • রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।
  • অতিরিক্ত গরম বা অতিরিক্ত ঠান্ডা আবহাওয়া থেকে দূরে থাকতে হবে।
  • চিকিৎসকের নির্দেশানা অনুযায়ী ঔষধ খেতে হবে।