কব্জির মাংসপেশীতে টান বা খিঁচুনি (Wrist cramps or spasms)

শেয়ার করুন

বর্ণনা

আকস্মিকভাবে কোনো কারণ ছাড়াই কব্জির মাংসপেশীতে টান/খিঁচুনি দেখা দিতে পারে যা খুব অল্প সময়ের জন্য স্থায়ী হয়। তবে কখনো কখনো ব্যথা হতে পারে।

কারণ

বিভিন্ন কারণে এই লক্ষণ দেখা যেতে পারে, যেমন:


  • কম্পার্টমেন্ট সিন্ড্রোম (Compartment syndrome),
  • মাসল ইনজুরি (Muscle injury)
  • নার্ভ ইরিটেশন (Nerve irritation)
  • নিউমুলার একজিমা (Nummular eczema)
  • নার্ভ কম্প্রেশন (Nerve compression
  • হাইপোক্যালক্যামিয়া (Hypocalcaemia)
  • ধূমপান
  • স্ক্লেরোডার্মা (Scleroderma)
  • ডার্মাটোমায়োসিটিস (Dermatomyositis)
  • পলিমায়োসিটিস (Polymyositis)।

যারা ঝুঁকির মধ্যে আছে

লিঙ্গঃ পুরুষদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে। মহিলাদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ১ গুণ কম।

জাতিঃ শ্বেতাঙ্গদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে। কৃষ্ণাঙ্গদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ৮ গুণ কম। হিস্প্যানিকদের এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ৬ গুণ কম এবং অন্যান্য জাতির মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ২ গুণ কম।

হেলথ টিপস্‌

কব্জিতে টান বা খিঁচুনি প্রতিরোধে করণীয়:

  • একটানা কম্পিউটারের সামনে কীবোর্ডে কাজ না করে কাজের মাঝখানে (প্রতি বিশ মিনিটে) বিরতি নিন যাতে হাত ও কব্জির উপর অত্যাধিক চাপ না পড়ে। অনেকে হাত ও কব্জির উপর চাপ কমাতে যোগব্যায়াম করে থাকেন। তবে কব্জির উপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টিকারী যোগব্যায়াম  এড়িয়ে চলতে হবে।
  • কীবোর্ডে টাইপ করা, সবজি কাটা ও পিয়ানো বাজানোর মতো কাজ করার সময় হাত ও কব্জি টেবিলের সাথে সমতল অবস্থায় রাখুন।
  • যেকোনো আঘাত প্রতিরোধ করতে হাঁটাচলা ও অন্যান্য কাজের সময় সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। বিশেষ করে হাঁটার সময় কোনো কারণে সামনের দিকে ঝুঁকে পড়ে গেলে কব্জিতে ব্যথা পাওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। তাই আরামদায়ক ও হাঁটার উপযোগী জুতা পরতে হবে। এছাড়া আঘাত পাওয়ার সম্ভাবনা আছে এমন কোনো আসবাবপত্র বা বস্তু আশেপাশে রাখা উচিত নয়।