অটিজম (Autism)

শেয়ার করুন

বর্ণনা

এটি অটিস্টিক ডিজঅর্ডার নামেও পরিচিত। অটিজম হচ্ছে স্নায়ু বা স্নায়ুতন্ত্রের গঠন ও পরিবর্ধন জনিত অস্বাভাবিকতা যার কারনে আক্রান্ত শিশুর সামাজিকভাবে বেড়ে উঠতে অসুবিধা হয়। অটিজমের কারনে কথাবার্তা, অঙ্গভঙ্গি ও আচরন একটি নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে আবদ্ধ থাকে। শিশুর বয়স ৩ বছরের পূর্বেই এই রোগের লক্ষণগুলো দেখা যায়। অটিজম স্নায়ুকোষ এবং স্নায়ুকোষের সংযোগস্থলের গঠন এবং বিন্যাসের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলে, ফলে তথ্য আদান-প্রদান ব্যাহত হয়। অটিজমের মধ্যে যে তিন ধরনের অস্বাভাবিকতা দেখা যায় তাদের মধ্যে অটিজম স্পেক্ট্রাম ডিজঅর্ডার (Autism spectrum) (ASDs) একটি। অন্য দুইটি হলো- অ্যাস্পারজার সিন্ড্রোম (Asperger syndrome)। এক্ষেত্রে শিশুর মানসিক ও ভাষার উপর দক্ষতা কম থাকে। যখন অ্যাস্পারজার সিন্ড্রোম ও অটিজমের কোনো বৈশিষ্ট্যই পাওয়া যায় না তখন ধরে নেওয়া হয় PDD-NOS (pervasive developmental disorder, not otherwise specified) থাকতে পারে।

কারণ

এই রোগের কোনো নির্দিষ্ট কারন নেই। এই রোগের জটিলতা, লক্ষণ এবং তীব্রতার উপর নির্ভর করে এর কারণগুলো ভিন্ন হতে পারে। পরিবেশগত ,বংশগত ও জীনগত কারনেও এই রোগটি হতে পারে।

বংশগত ও জীনগত কারন (Genetic problems): বিভিন্ন জীনের কারনে অটিজম স্পেক্ট্রাম ডিজঅর্ডার হয়ে থাকে। কিছু কিছু শিশুর ক্ষেত্রে জেনেটিক ডিজঅর্ডার যেমন রেট সিন্ড্রোম (নবজাতকের মস্তিষ্কের স্নায়ুগত সমস্যা) বা ফ্র্যাজাইল এক্স সিন্ড্রোমের সাথে এই রোগটি হয়ে থাকে। অন্যদের ক্ষেত্রে এই জীনগত কারনে অটিজম স্পেক্ট্রাম ডিজঅর্ডার হওয়ার সম্ভাবনা এবং পরিবেশগত ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়। আর অন্যান্য জীনগুলো  মস্তিষ্কের কোষগুলোর পরিবহন ব্যবস্থায় বাধা সৃষ্টি করে এবং এই রোগের তীব্রতা বৃদ্ধি করে। কিছু জেনেটিক বা জীনগত সমস্যা বংশগত হতে পারে আবার কোনো কারণ ছাড়াই এই রোগটি হতে পারে।

পরিবেশগত কারন (Environmental factors): বিজ্ঞানীদের মতে, ভাইরাল ইনফেকশন, গর্ভাবস্থাকালীন জটিলতা এবং যেসব উপাদান বায়ু দূষিত করে এসব অটিজম স্পেক্ট্রাম ডিজঅর্ডার হওয়ার ক্ষেত্রে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে।

আর ভ্যাকসিন বা প্রতিষেধকের সাথে এই রোগ হওয়ার কোনো সম্পর্ক নেই।

লক্ষণ

এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে চিকিৎসকেরা নিম্নলিখিত লক্ষণগুলি চিহ্নিত করে থাকেন:

ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়

যে যে বিষয়ের কারনে অটিজম স্পেক্ট্রাম ডিজঅর্ডার হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়ঃ

  • বাচ্চার লিঙ্গঃ মেয়েদের তুলনায় ছেলেদের এই রোগ হওয়ার সম্ভাবনা ৪ গুণ।
  • পারিবারিক সুত্রেঃ বাবা-মা, ভাই-বোনের এই রোগ থাকলে এই রোগ হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
  • অপরিণত অবস্থায় নবজাতকের জন্মঃ যেসব নবজাতক ২৬ সপ্তাহের পূর্বেই জন্মগ্রহন করে তাদের এই রোগের ঝুঁকি বেশি।

যারা ঝুঁকির মধ্যে আছে

লিঙ্গঃ পুরুষদের মধ্যে এই রোগ নির্ণয়ের গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে। মহিলাদের মধ্যে এই রোগ নির্ণয়ের সম্ভাবনা ৩ গুণ কম।

জাতিঃ  শ্বেতাঙ্গ এবং অন্যান্য জাতিদের মধ্যে এই রোগ নির্ণয়ের গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে। কৃষ্ণাঙ্গ এবং হিস্পানিকদের মধ্যে এই রোগ নির্ণয়ের সম্ভাবনা ৩ গুণ কম।

সাধারণ জিজ্ঞাসা

 বিভিন্ন লক্ষণের সমন্বয়ে অটিজম হয়ে থাকে। এটি বিভিন্ন কারনে হয়। নির্দিষ্ট কোন কারন ব্রেইনের উপর প্রভাব ফেলে তা এখনও জানা যায় নি।

 প্রায় ১৫০ জন শিশুর মধ্যে ১ জন শিশুর এই রোগ হতে পারে। এই রোগের ব্যপ্তি অনেক।

হেলথ টিপস্‌

অটিজম স্পেক্ট্রাম ডিজঅর্ডার প্রতিরোধ করা যায় না, তবে এর চিকিৎসা করা যায় এবং শিশুদের ভাষা এবং সামাজিক দক্ষতার উন্নতি করা সম্ভব। এই রোগে আক্রান্ত শিশুরা বিভিন্ন সামাজিক সমস্যার সম্মুখীন হয়, এর জন্য এই সমস্যা দূর করতে সাহায্যের প্রয়োজন।

শিশুদের এই রোগ হলে বিশেষজ্ঞদের সাথে পরামর্শ করে কি কি উপায়ে চিকিৎসা করতে হবে তা জানতে হবে।

বিশেষজ্ঞ ডাক্তার

অধ্যাপক ডাঃ খান নিজাম উদ্দিন

পেডিয়াট্রিকস ( Pediatrics)

এমবিবিএস, এফসিপিএস(শিশু)

অধ্যাপক ডাঃ রফিকুল হক

পেডিয়াট্রিকস ( Pediatrics), নিউন্যাটোলজি ( নবজাতক) ( Neonatology)

এমবিবিএস (ডিএসি),, ডিসিএইচ, , এমআরসিপি(ইউকে), , এফআরসিপি(এডিন)

ডাঃ মোঃ খাইরুল আলম

পেডিয়াট্রিকস ( Pediatrics), নিউন্যাটোলজি ( নবজাতক) ( Neonatology)

এমবিবিএস(ঢাকা), বিসিএস(স্বাস্থ্য), এফসিপিএস(শিশু)

ডাঃ এস. এ জামান

পেডিয়াট্রিকস ( Pediatrics), নিউন্যাটোলজি ( নবজাতক) ( Neonatology)

এমবিবিএস, বিসিএস(স্বাস্থ্য), ডিসিএইচ(ঢাঃবি), এফসিপিএস(শিশু)

ডাঃ শওকত ওসমান

পেডিয়াট্রিকস ( Pediatrics)

এমবিবিএস(ঢামেক), এফসিপিএস(কোর্স), বিসিএস(স্বাস্থ্য), আইএমসিআই(শিশু রোগ)

ডাঃ সারাবন তহুরা

পেডিয়াট্রিকস ( Pediatrics)

এমবিবিএস, এফসিপিএস(শিশু)

ডাঃইমনুল ইসলাম ইমন

পেডিয়াট্রিকস ( Pediatrics)

এমবিবিএস, এফসিপিএস, এমডি (শিশু)

ডাঃ শাহিনা পারভীন (শাপলা)

পেডিয়াট্রিকস ( Pediatrics)

এমবিবিএস, এমডি (শিশু)