চোখের বিচ্যুতি (Eye deviation)

শেয়ার করুন

বর্ণনা

এটি লেজি আই (Lazy eye), স্ট্র্যাবিমাস (Strabismus), ফোরিয়া (Phoria) এবং হেটারোট্রপিয়া (Heterotropia) নামেও পরিচিত।

দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়াকে লেজি আই বলে, শৈশবে চোখ এবং দৃষ্টিশক্তির স্বাভাবিক বিকাশ না ঘটলে এই সমস্যা দেখা দেয়। সাধারণত এই সমস্যা এক চোখে দেখা দেয়, কিন্তু অনেক সময় এটা দুই চোখের উপরেও খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে।  সঠিক সময়ে এই সমস্যার চিকিৎসা না করা হলে পরবর্তীতে এই সমস্যা মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে।

যখন মস্তিষ্ক ও চোখের মধ্যে সংযোগকারী স্নায়ু সঠিকভাবে কাজ করে না তখন চোখ ট্যারা হয়ে যায়।

এই সমস্যা দূর করার জন্য চিকিৎসকেরা রোগীদের আই প্যাচ (Eye patches), আইড্রপ এবং চশমা বা কন্ট্যাক্ট লেন্স ব্যবহারের পরামর্শ দিয়ে থাকেন। কিছু কিছু ক্ষেত্রে অপারেশনও করা প্রয়োজন।

কারণ

বিভিন্ন কারণে এই লক্ষণ দেখা যেতে পারে, যেমন:

সংশ্লিষ্ট লক্ষণসমূহ

এই লক্ষণের সাথে অন্যান্য যেসকল লক্ষণ দেখা যেতে পারে সেগুলো হলো:

ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়

বংশগত কারণে এই সমস্যা দেখা যায়। যেসব শিশুরা অপরিণত অবস্থায় জন্মগ্রহণ করে, বা জন্মের সময় যেসব শিশুর ওজন স্বাভাবিকের তুলনায় কম থাকে তারা এই সমস্যাটিতে বেশি ভোগে। আবার পরিবারের অন্য কোন সদস্যের যদি শৈশবকাল থেকেই চোখে ছানির সমস্যা বা মারাত্মক কোনো চোখের রোগ থাকে তবে অন্য সদস্যদের মধ্যে এই সমস্যা দেখা যেতে পারে।

যারা ঝুঁকির মধ্যে আছে

লিঙ্গ: পুরুষ ও মহিলা উভয়ের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ১ গুণ কম।

জাতি: কৃষ্ণাঙ্গ ও হিস্প্যানিকদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ১ গুণ কম। শ্বেতাঙ্গ ও অন্যান্য জাতির মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে।

সাধারণ জিজ্ঞাসা

উত্তর: যাদের চোখ ট্যারা তাদের দৃষ্টিশক্তির বিকাশ স্বাভাবিকভাবেই হয়েই থাকে। সাধারণত বয়স বাড়ার সাথে সাথে স্বাভাবিক চোখের মতই বিভিন্ন সমস্যা (যেমন- চোখে ছানি পড়া ইত্যাদি) দেখা দিতে পারে।

হেলথ টিপস্‌

চোখের এই সমস্যা সম্পূর্ণভাবে প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়। যদি প্রাথমিক অবস্থায় এই সমস্যা শনাক্ত করা যায় এবং সঠিকভাবে চিকিৎসা করা হয় তবে স্ট্র্যাবিমাসের জটিলতা প্রতিরোধ করা সম্ভব। পরিবারের কোনো সদস্যের স্ট্র্যাবিমাস থাকলে শৈশবকাল থেকেই শিশুদের নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করতে হবে।