ডায়পার ভেজা থাকা, ডায়পার কম পরিবর্তন করা এবং ডায়পার ঢাকার জন্য প্ল্যাস্টিক প্যান্ট ব্যবহার করা হলে ডায়াপার র্যাশ হয়ে থাকে।
এই
লক্ষণটি ইরিট্যান্ট ডায়পার ডার্মাটাইটিস (Irritant diaper dermatitis),
ডায়পার ডার্মাটাইটিস (diaper dermatitis) ও ন্যাপকিন ডার্মাটাইটিস (napkin
dermatitis) নামেও পরিচিত।
শিশুদের শরীরের ডায়পার পরিহিত স্থানে
সৃষ্ট ফুসকুড়িকে (লাল স্থানসহ) ডায়পার র্যাশ বলে। বিভিন্ন ধরনের চর্মরোগ ও
ত্বকে প্রদাহ/জ্বালাপোড়া সৃষ্টিকারী পদার্থের প্রভাবে ডায়পার র্যাশ হয়ে
থাকে।
দীর্ঘ সময় ডায়পার পরে থাকার জন্য র্যাশ হয়ে থাকে। এছাড়া
শিশুরা শক্ত খাবার খেলে তাদের ডায়াপার র্যাশ হতে পারে। স্তনদানকারী মায়েরা
নির্দিষ্ট কিছু খাদ্য ও অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণ করলে তাদের শিশুদের ডায়াপার
র্যাশ হতে পারে।
ডায়াপার র্যাশের কারণে শিশুরা বিরক্তবোধ করতে
পারে, এবং শিশুর অভিভাবকদের দুশ্চিন্তা হতে পারে। তবে কিছু ঘরোয়া চিকিৎসার
মাধ্যমে বেশিরভাগ ডায়াপার র্যাশ নিরাময় করা সম্ভব।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ত্বকে প্রদাহ/জ্বালাপোড়া সৃষ্টি হওয়ার কারণে ডায়পার
র্যাশ হয়ে থাকে। ডায়পারের সাথে শিশুর শরীরের ঘর্ষণ হলে বা ডায়পার শরীরের
সাথে আলগাভাবে লেগে থাকলে ডায়পার র্যাশ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এছাড়া দীর্ঘ
সময় ধরে শিশুরা ভেজা ও নোংরা ডায়পার পরে থাকলে ডায়পার র্যাশ হতে পারে।
সাবান দিয়ে ডায়পার পরিষ্কার করা হলে সেই ডায়পারের কারণেও ত্বকে
প্রদাহ/জ্বালাপোড়া সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
যারা ঝুঁকির মধ্যে আছে
লিঙ্গ: পুরুষদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ১ গুণ কম। নারীদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পরতা সম্ভাবনা থাকে।
জাতি: শ্বেতাঙ্গদের
মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ১ গুণ কম। হিস্প্যানিক, কৃষ্ণাঙ্গ ও
অন্যান্য জাতির মানুষের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা থাকে।
হেলথ টিপস্
ডায়পার র্যাশ প্রতিরোধ করার সবচেয়ে কার্যকর উপায় হলো শিশুর ত্বক শুষ্ক ও
পরিষ্কার রাখা। এজন্য বারবার ডায়পার পরিবর্তন করা উচিত। এছাড়া নিম্নলিখিত
বিষয়গুলিও অনুসরণ করা যেতে পারে:
ডায়পার র্যাশ নিরাময়ের জন্য
চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াও কিছু ঔষধ ব্যবহার করা যেতে পারে। ডায়াপার র্যাশ
নিরাময়ের জন্য ব্যবহৃত ক্রিমগুলির অন্যতম উপাদান হল জিঙ্ক অক্সাইড। এই
ক্রিমগুলি সাধারণত পুরু করে শিশুর শরীরের আক্রান্ত স্থানে সারাদিন লাগিয়ে
রাখা হয়। ডায়পার র্যাশ প্রতিরোধের জন্য সাধারণ ত্বকেও জিঙ্ক অক্সাইডযুক্ত
ক্রিম ব্যবহার করা যেতে পারে।
কিছু সময়ের জন্য আপনার শিশুকে ডায়পার ছাড়া রাখুন। এর ফলে শিশুর ত্বকে পর্যাপ্ত বাতাস লাগতে পারবে।
প্লাসটিকের তৈরি বা শরীরের সাথে শক্তভাবে লেগে থাকে এমন ডায়পার শিশুকে পরাবেন না।
ডায়পার র্যাশ না কমা পর্যন্ত শিশুকে টিলা ডায়পার পরান।
ডায়পার
র্যাশ আক্রান্ত স্থান সাবান বা অন্য কোনো পরিষ্কারক দ্রব্য দিয়ে পরিষ্কার
করবেন না্। এসব দ্রব্যে বিদ্যমান অ্যালেকোহল এবং পারফিউম ডায়পার র্যাশ
বৃদ্ধি করতে পারে।