কর্নিয়া ইনফেকশন (Cornea infection)

শেয়ার করুন

বর্ণনা

বাহ্যিক কোন বস্তু চোখের কর্নিয়ার টিস্যুতে প্রবেশ করলে অনেক সময় কর্নিয়া ক্ষতিগ্রস্থ হয়। যেমন, চোখে খোঁচা লাগলে এই সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এছাড়া অনেক সময় অপরিষ্কার কনট্যাক্ট লেন্স থেকে ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাক কর্নিয়াতে প্রবেশ করতে পারে। এসব কারণে প্রদাহ/জ্বালাপোড়া ও কেরাটিটিস নামক কর্নিয়ার ইনফেকশন হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এই ইনফেকশনের জন্য দৃষ্টির স্বচ্ছতা কমে যেতে পারে, কর্নিয়া থেকে তরল নিঃসরিত হতে পারে, এবং কর্নিয়া ক্ষয়প্রাপ্তও হতে পারে। কর্নিয়ার ইনফেকশনের কারণে কর্নিয়াতে ক্ষতের সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কর্নিয়ার ক্ষতের জন্য দৃষ্টি ক্ষতিগ্রস্থ হলে তা প্রতিস্থাপন করা লাগতে পারে। সাধারণত কর্নিয়ার ইনফেকশন যতো তীব্র হয় এর কারণে সৃষ্ট লক্ষণ ও জটিলতা ততো তীব্র আকার ধারণ করে। মূলত কনট্যাক্ট লেন্সের ব্যবহারের কারণেই কর্নিয়ায় এই সমস্যা দেখা দেয়। ব্যাকটেরিয়ারোধী আই ড্রপ ব্যবহারের মাধ্যমে কর্নিয়া ইনফেকশন নিরাময় করা সম্ভব। তবে এটি তীব্র আকার ধারণ করলে বেশি মাত্রার অ্যান্টিবায়োটিক ও ছত্রাকরোধী ঔষধ গ্রহণ করা প্রয়োজন। এছাড়া প্রদাহ/জ্বালাপোড়া কমানোর জন্য স্টেরয়েড আইড্রপ ব্যবহার করা যেতে পারে। কর্নিয়া ইনফেকশন সম্পূর্ণরূপে নির্মূল করার জন্য বেশ কয়েক মাস ধরে চক্ষু-বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।

কারণ

কনট্যাক্ট লেন্স ব্যবহারের ক্ষেত্রে পরিচ্ছন্নতার অভাবের কারণেই মূলত কর্নিয়া ইনফেকশন হয়ে থাকে। সাধারণত ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস ও অনুজীবের সংক্রমণের কারণে কর্নিয়া ইনফেকশন হয়ে থাকে। এই সংক্রমণের কারণে চোখ লাল হয়ে যায় এবং ফুলে ওঠে। কর্নিয়া ইনফেকশন তীব্র আকার ধারণ করলে কর্নিয়ার আকার পরিবর্তিত হয়ে পড়ে এবং এই্ কারণে অ্যাসটিগম্যাটিজম হতে পারে, এছাড়া ক্ষত সৃষ্টি হবার কারেণ কর্নিয়া দুর্বলও হয়ে যেতে পারে। আঘাত লাগার ফলে চোখের উপরিতলে সৃষ্ট অস্বাভাবিকতার কারণেও কর্নিয়া ইনফেকশন হতে পারে।

লক্ষণ

এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে চিকিৎসকেরা নিম্নলিখিত লক্ষণগুলি চিহ্নিত করে থাকেন:

চিকিৎসা

 চিকিৎসকেরা এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের নিম্নলিখিত ঔষধগুলি গ্রহণ করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন: 

erythromycin moxifloxacin hydrochloride, opthalmic
paracetamol prednisolone acetate, opthalmic
tobramycin, opthalmic

চিকিৎসকেরা এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের নিম্নলিখিত টেস্টগুলি করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন: 

কর্ণিয়াল ট্রান্সপ্ল্যান্ট (Corneal transplant)
আই এক্সাম (Eye exam)

যারা ঝুঁকির মধ্যে আছে

লিঙ্গ: পুরুষদের মধ্যে এই রোগ নির্ণয় হওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা থাকে। নারীদের মধ্যে এই রোগ নির্ণয় হওয়ার সম্ভাবনা ১ গুণ কম।

জাত: কৃষ্ণাঙ্গদের মধ্যে এই রোগ নির্ণয় হওয়ার সম্ভাবনা ১ গুণ কম।  হিস্প্যানিক, শ্বেতাঙ্গ ও অন্যান্য জাতির  মধ্যে এই রোগ নির্ণয় হওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা থাকে।

সাধারণ জিজ্ঞাসা

উ:  যদি আপনার কর্নিয়া ইনফেকশনের চিকিৎসা চলতে থাকে তাহলে গাড়ি চালানোর ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা নেই। তবে আপনার চোখে ব্যান্ডেজ লাগানো থাকলে গাড়ি চালাবেন না।

উ: যতো দ্রুত সম্ভব চিকিৎসা নেওয়া উচিৎ। কারণ এই রোগের কারণে স্থায়ীভাবে আপনার দৃষ্টিশক্তি নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

হেলথ টিপস্‌

যেহেতু মূলত কনট্যাক্ট লেন্স ব্যাবহারের কারণে কর্নিয়া ইনফেকশন হয়ে থাকে, তাই কনট্যাক্ট লেন্স ব্যবহারের ক্ষেত্রে কিছু সাধারণ নিয়ম মেনে চললেই কর্নিয়া ইনফেকশন হওয়ার ঝুঁকি কমানো সম্ভব।

  • কনট্যাক্ট লেন্স পরিষ্কার রাখা।
  • কনট্যাক্ট লেন্স বেশি সময় ব্যবহার না করা।
  • ঝুঁকিপূর্ণ কাজ না করা।
  • কনট্যাক্ট লেন্সের ধরন পরিবর্তন করা।

তবে যে কোনো ধরনের কনট্যাক্ট লেন্স ব্যবহার করলেই কর্নিয়া ইনফেকশন হওয়ার ঝুঁকি থাকে। যাদের কর্নিয়া ও চোখের উপরিতলে আগে থেকেই সমস্যা রয়েছে, তাদের অনেক ক্ষেত্রে কনট্যাক্ট লেন্স ব্যবহার বন্ধ করতে হতে পারে। কর্মক্ষেত্রে সেফটি গগোলস (চোখের সুরক্ষাকারী চশমা) ব্যবহার করেও কর্নিয়া ইনফেকশন প্রতিরোধ করা যেতে পারে।

বিশেষজ্ঞ ডাক্তার

অধ্যাপক ডাঃ মোঃ শফিকুল আলম

অফথ্যালমোলজি ( চক্ষু) ( Ophthalmology)

এফসিপিএস, এমএস(চক্ষু), ডিও, এমবিবিএস,(ডিইউ)

ডাঃ আফরিনা শামস চৌধুরী

অফথ্যালমোলজি ( চক্ষু) ( Ophthalmology)

এমবিবিএস(ডিইউ),, সিসিডি,, এফসিপিএস(পার্ট-১), পিজিটি(বারডেম)

ডাঃ লেঃ কর্ণেল নাতাশা কাজমিনা

অফথ্যালমোলজি ( চক্ষু) ( Ophthalmology)

এমবিবিএস, ডিও

ডাঃ শারমিনা আলাউদ্দিন

অফথ্যালমোলজি ( চক্ষু) ( Ophthalmology)

এমবিবিএস, ডিও, এফসিপিএস, ফেলোশিপ

অধ্যাপক ডাঃ মোঃ সিদ্দিকুর রহমান

অফথ্যালমোলজি ( চক্ষু) ( Ophthalmology)

এমবিবিএস, ডিও(ডিও), পিজিটি(সিঙ্গাপুর), এমএস(ইন্ডিয়া), এএফএমসি,পুনা(ইন্ডিয়া)

অধ্যাপক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডাঃ মোঃ সাইদুর রহমান

অফথ্যালমোলজি ( চক্ষু) ( Ophthalmology)

এমবিবিএস, ডিও, এমসিপিএস, এফসিপিএস

লেঃ কর্ণেলঃ ডাঃ মোঃ সাজেদুর রহমান

অফথ্যালমোলজি ( চক্ষু) ( Ophthalmology)

এমবিবিএস, ডিও, এমডি, এফআইআরএল, ফেলো রেটিনা এন্ড লেজার (জার্মান)

ডাঃ মোঃ ছায়েদুল হক

অফথ্যালমোলজি ( চক্ষু) ( Ophthalmology)

এমবিবিএস, , এফসিপিএস(চক্ষু), , এমএস(চক্ষু)