ঠোঁট ফুলে যাওয়া (Lip swelling)

শেয়ার করুন

বর্ণনা

ঠোঁটের টিস্যুতে ইনফ্লামেশন হলে বা ঠোঁটে ফ্লুইড জমাট বাঁধার কারণে ঠোঁট ফুলে যায়। এই সমস্যাটি লিপ এডেমা (Lip edema) নামেও পরিচিত। ইনফেকশন, ইনফ্লামেশন, ট্রমা বা কোন ধরনের আঘাত, ম্যালিগনেন্সি বা ক্যান্সার প্রভৃতি কারণে ঠোঁট ফুলে যেতে পারে। যদি ঠোঁট ফুলে যাওয়ার সাথে তা লাল বর্ণের হয়ে যায় বা স্পর্শ করলে গরম অনুভুত হয়, নিঃশ্বাস নিতে অসুবিধা হয়, র‍্যাশ, মানসিক চাপ ও জ্বর হয় তবে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। এ্যানাফাইল্যাক্টিক রিঅ্যাকশনের কারণে ঠোঁট ফুলে গেলে তার কারণে মৃত্যুও হতে পারে।

কারণ

বিভিন্ন কারণে এই লক্ষণ দেখা যেতে পারে, যেমন:        

 

সংশ্লিষ্ট লক্ষণসমূহ

এই লক্ষণের সাথে অন্যান্য যেসকল লক্ষণ দেখা যেতে পারে সেগুলো হলো:

ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়

যেসব খাবার খেলে ঠোঁট ফুলে যাওয়ার ঝুঁকি বৃদ্ধি পায় সেগুলো হলো:

  • বাদাম।
  • শেলফিস, যেমন- চিংড়ি ও কাঁকড়া।
  • দুগ্ধজাতীয় খাবার।
  • ডিমের সাদা অংশ।
  • তিলের বীজ।

আরও যেসব কারণে এই সমস্যা হতে পারে সেগুলো হলো:

  • বোলতা বা মৌমাছির হুলের কামড়।
  • কোনো ধরনের আঠা।
  • নির্দিষ্ট কোন ঔষধ সেবন।
  • ধূলা-বালি, পরাগরেণু বা অ্যালার্জিক বস্তুর সংস্পর্শ।

যারা ঝুঁকির মধ্যে আছে

  • লিঙ্গ: মহিলাদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ১ গুণ কম। পুরুষদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে।
  • জাতি: শ্বেতাঙ্গ ও অন্যান্য জাতিদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ১ গুণ কম। হিস্প্যানিক ও কৃষ্ণাঙ্গদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে।

সাধারণ জিজ্ঞাসা

উত্তর: অ্যালার্জির কারণে ঠোঁট ফুলে গেলে এপিনেফ্রিন শট (Epinephrine shot) এবং উচ্চ মাত্রার অ্যান্টিহিস্টামিন জাতীয় ঔষধ খেতে হবে।