পায়ে পানি আসা (Peripheral edema)

শেয়ার করুন

বর্ণনা

দেহের নিম্নাংশের অঙ্গপ্রত্যঙ্গে পানি জমে টিস্যু স্ফীত হয়ে গেলে তাকে পেরিফেরাল এ্যাডেমা (Peripheral edema) বলা হয়। এ অবস্থায় পা ও পায়ের গোড়ালি ফুলে যায়। বস্কদের ব্যক্তিদের এই সমস্যা বেশি হয়ে থাকে। অন্যান্য সমস্যা যেমনঃ কনজেসটিভ হার্ট ফেইলিয়র (congestive heart failure), যেকোনো ধরনের আঘাত, অ্যালকোহোলিজম (alcoholism), অল্টিচুড সিকনেস (altitude sickness), গর্ভধারণ, উচ্চ রক্তচাপ, সিক্‌ল সেল অ্যানিমিয়া (sickle cell anemia) অথবা দীর্ঘক্ষণ একই ভাবে দাঁড়িয়ে বা বসে থাকার ফলে পায়ে পানি আসতে পারে ও পা ফুলে যেতে পারে। এছাড়াও নির্দিষ্ট কিছু ঔষধ যেমনঃ এম্লোডিপাইন (amlodipine), প্রিগ্যাবালিন (pregabalin) ব্যবহার করলে এ সমস্যা দেখা দেয়।

কারণ

বিভিন্ন কারণে এই লক্ষণ দেখা যেতে পারেঃ যেমন-

মদ্যপানজনিত লিভারের রোগ (Alcoholic liver disease) যোনিদ্বারের ক্যান্সার (Vulvar cancer)
অ্যালার্জি (Allergy) সিরোসিস (Cirrhosis)
জ্বরঠোসা (Cold sore) লিভারের রোগ (Liver disease)
ডিপ ভেইন থ্রম্বোসিস (Deep vein thrombosis) দাঁতের ক্ষয় রোগ (Dental caries)
মাড়ির রোগ (Gum disease) হার্ট ব্লক (Heart block)
হার্ট ফেইলিয়র (Heart failure) পাকস্থলীর ক্যান্সার (Stomach cancer)
খাবারে অ্যালার্জি (Food allergy) বদহজম (Indigestion)
ইশকেমিক হার্ট ডিজিজ (Ischemic heart disease) রিউম্যাটয়েড আর্থ্রাইটিস (Rheumatoid arthritis)
সিলিয়াক ডিজিজ (Celiac disease) পালমোনারী হাইপারটেনশন (Pulmonary hypertension)
বোন ক্যান্সার (Bone cancer) সেন্ট্রাল অ্যাথেরোস্ক্লেরোসিস (Central atherosclerosis)
হেমাটোমা (Hematoma) ফ্রেডরিক অ্যাটাক্সিয়া (Friedreich's ataxia)
ব্রোকেন টুথ (Broken tooth) র‍্যাবডোমায়োলাইসিস (Rhabdomyolysis)
ইনজুরি টু দি হিপ (Injury to the hip) ফ্লুইড ওভারলোড (Fluid overload)
টুথ অ্যাবসেস (Tooth abscess) ভ্যারিকোস ভেইন (Varicose veins)
ভলভুলাস (Volvulus) ম্যালিগন্যান্ট হাইপারটেনশন (Malignant hypertension)
হিমোলাইটিক অ্যানিমিয়া (Hemolytic anemia) হেপাটিক এনসেফালোপ্যাথি (Hepatic encephalopathy)
সারকোয়ডোসিস (Sarcoidosis) নেক্রোটাইজিং ফ্যাসাইটিস (Necrotizing fasciitis)
লিম্ফ্যাডেমা (Lymphedema) শোগ্রেন সিন্ড্রোম (Sjogren syndrome)
কিডনির রোগজনিত রক্তসল্পতা (Anemia due to chronic kidney disease) ব্লাডার অবস্ট্রাকশন (Bladder obstruction)
অ্যাওর্টিক ভাল্ভ ডিজিজ (Aortic valve disease) পেম্ফিগাস (Pemphigus)
অ্যালার্জি টু অ্যানিমেলস (Allergy to animals) পায়োজেনিক স্কিন ইনফেকশন (Pyogenic skin infection)
ফ্র্যাকচার অফ দি জো (Fracture of the jaw) ফ্র্যাকচার অফ দি ফ্যাসিয়াল বোনস (Fracture of the facial bones)

সংশ্লিষ্ট লক্ষণসমূহ

এই লক্ষণের সাথে অন্যান্য যেসকল লক্ষণ দেখা যেতে পারে সেগুলো হলোঃ

ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়

নিম্নলিখিত কারণে পায়ে পানি আসার ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়ঃ

  • উচ্চ রক্তচাপের চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত ঔষধ।
  • ননস্টেরয়ডাল অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি ড্রাগস (Nonsteroidal anti-inflammatory drugs)।
  • স্টেরয়েড ড্রাগস (Steroid drugs)।
  • এস্ট্রোজেন
  • পেরিফেরাল এ্যাডেমার চিকিৎসার জন্য নির্দিষ্টি কিছু ঔষধ যেমনঃ থায়াজোলিডাইনডিওন (thiazolidinediones) এর ব্যবহার।

যারা ঝুঁকির মধ্যে আছে

লিঙ্গঃ পুরুষ এবং মহিলা উভয়ের ক্ষেত্রে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে।

জাতিঃ কৃষ্ণাঙ্গ ও শ্বেতাঙ্গদের ক্ষেত্রে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে। অপরদিকে, হিস্প্যানিক ও অন্যান্য জাতির ক্ষেত্রে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা একগুণ কম।

সাধারণ জিজ্ঞাসা

উত্তরঃ বিভিন্ন কারণে গর্ভাবস্থায় এ সমস্যা হতে পারে। গর্ভাবস্থায় স্বভাবতই শরীরে পানি আসে। এছাড়াও জরায়ু আকারে বৃদ্ধি পায় বলে তা শিরায় চাপ প্রয়োগ করে। ফলে দেহ থেকে হৃৎপিন্ডে রক্ত পরিবহনের প্রক্রিয়ায় ত্রুটি দেখা দেয়। এই কারণে পা সহ পায়ের পাতা ও গোড়ালি ফুলে যায়। হরমোনের পরিবর্তনের কারণেও এমন হয়ে থাকে। 

হেলথ টিপস্‌

পায়ে পানি আসলে করণীয়ঃ

  • শায়িত অবস্থায় বা ঘুমানোর সময় কয়েকটি বালিশের সাহায্যে পা উপরের দিকে তুলে রাখার ব্যবস্থা করুন।
  • পায়ের নির্দিষ্ট কিছু ব্যায়াম রয়েছে যা পায়ে পানি আসার সমস্যা প্রতিরোধ করে।
  • এ সমস্যা প্রতিরোধে অতিরিক্ত লবণ খাওয়ার অভ্যাস পরিত্যাগ করুন।
  • সাপোর্ট স্টকিংস বা মোজা পরে থাকুন।
  • দীর্ঘক্ষণ পা ঝুলিয়ে বসে থাকা থেকে বিরত থাকুন।
  • উরুতে চাপ পড়ে এমন আটসাটো পোশাক পরা উচিত নয়।
  • ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন।