ত্বকে চুলকানি (Itching of skin)

শেয়ার করুন

বর্ণনা

এ অবস্থায় বারবার ত্বক চুলকাতে ইচ্ছে করে। একে প্রুরাইটাস (Pruritus)  বলে। সাধারণত ডার্মাটাইটিস বা সোরিয়াসিস এর কারণে এই সমস্যা হয়ে থাকে। আবার লিভার ডিজিজ বা কিডdb ফেইলরের লক্ষণ হিসেবেও এটি দেখা যায়। বারবার চুলকানোর ফলে ঐ স্থান লাল হয়ে যায় বা ও ফোস্কা পড়তে পারে।

কারণ

বিভিন্ন কারণে এই লক্ষণ দেখা যেতে পারে, যেমন:    

অ্যালার্জি (Allergy) চুল পড়া (Alopecia)
জ্বরঠোসা (Cold sore) উকুন সমস্যা (Lice)
গনোরিয়া (Gonorrhea) চিকেনপক্স (Chickenpox)
কনট্যাক্ট ডার্মাটাইটিস (Contact dermatitis) ক্ল্যামাইডিয়া ইনফেকশন (Chlamydia Infection)
বিষক্রিয়াজনিত হেপাটাইটিস (Hepatitis due to a toxin) সিফিলিস (Syphilis)
এ্যাকজিমা (Eczema) ত্বকের ক্যান্সার (Skin cancer)
সেবোরিক ডার্মাটাইটিস (Seborrheic dermatitis) খাবারে অ্যালার্জি (Food allergy)
ত্বকের ছত্রাকের ইনফেকশন (Fungal infection of the skin) ক্ষতচিহ্ন (Scar)
স্ক্যাবিস (Scabies) বদহজম (Indigestion)
গুড়াকৃমি রোগ (Pinworm infection) পলিসাইথেমিয়া ভেরা (Polycythemia vera)
সোরিয়াসিস (Psoriasis) ইসোফ্যাজিয়াল ভ্যারিসেস (Esophageal varices)
অ্যাট্রোপিক স্কিন কন্ডিশন (Atrophic skin condition) ফাঙ্গাল ইনফেকশন অফ দি হেয়ার (Fungal infection of the hair)
ক্যালাস (Callus) ডিজহাইড্রোসিস (Dyshidrosis)
ইরাইথেমা মাল্টিফর্মি (Erythema multiforme) রোজেশিয়া (Rosacea)
লিচেন প্ল্যানাস (Lichen planus) লিচেন সিমপ্লেক্স (Lichen simplex)
হিমোলাইটিক অ্যানিমিয়া (Hemolytic anemia) মোলাস্কাম কন্টাজিওসাম (Molluscum contagiosum)
স্ক্লেরোডার্মা (Scleroderma) সেবোরিক কেরাটোসিস (Seborrheic keratosis)
স্কিন পলিপ (Skin polyp) সফট টিস্যু সারকোমা (Soft tissue sarcoma)
অস্টিওকন্ড্রোমা (Osteochondroma) অ্যানিমিয়া অফ ক্রনিক ডিজিজ (Anemia of chronic disease)
পেম্ফিগাস (Pemphigus) পিটাইরিয়াসিস রোজিয়া (Pityriasis rosea)
অ্যাথলেট'স ফুট (Athlete's foot) অ্যাক্টিনিক কেরাটোসিস (Actinic keratosis)
ব্যালানাইটিস (Balanitis) ইষ্ট ইনফেকশন (Yeast infection)

সংশ্লিষ্ট লক্ষণসমূহ

এই লক্ষণের সাথে অন্যান্য যেসকল লক্ষণ দেখা যেতে পারে সেগুলো হলো:

ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়

এ লক্ষণের জন্য ঝুকিপূর্ণ বিষয়গুলো হলোঃ

  • শুষ্ক ত্বক।
  • ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা ও র‍্যাশ।
  • দেহের অভ্যন্তরীণ কোনো সমস্যা।
  • নার্ভ ডিজঅর্ডার।
  • জ্বালাপোড়া বা অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া।
  • নির্দিষ্ট কিছু ঔষধ বা অ্যান্টি-বায়োটিক গ্রহণ।
  • গর্ভাবস্থা।

যারা ঝুঁকির মধ্যে আছে

লিঙ্গ: পুরুষদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ১ গুণ কম। মহিলাদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে।

জাতি: শ্বেতাঙ্গদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ১ গুণ কম। কৃষ্ণাঙ্গ, হিস্প্যানিক ও অন্যান্য জাতিদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে।

হেলথ টিপস্‌

নিম্নলিখিত পন্থা অবলম্বন করে এই লক্ষণ প্রতিরোধ করা সম্ভব:

  • আক্রান্ত স্থান বারবার চুলকানো যাবে না।
  • আক্রান্ত স্থান ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুতে হবে।
  • ঢিলেঢালা সুতির পোশাক পরতে হবে।
  • হালকা গরম পানি দিয়ে গোসল করতে হবে।
  • মানসিক ও শারীরিক চাপ কমাতে হবে।
  • গন্ধবিহীন সাবান ও ডিটারজেন্ট ব্যবহার করতে হবে।
  • যেসব পদার্থের সংস্পর্শে থাকলে ত্বকে জ্বালাপোড়া বা অ্যালার্জি হয় সেসব থেকে দূরে থাকতে হবে।