চিকেনপক্স (Chickenpox)

শেয়ার করুন

বর্ণনা

চিকেন পক্স বা পানি বসন্ত একটি অত্যন্ত সংক্রামক রোগ। ভ্যারিসেলা জোস্টার (varicella zoster) নামক এক ধরনের ভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট ইনফেশনের কারণে  এই রোগ হয়ে থাকে। সাধারণত গায়ে এবং মাথায় গুটি আকৃতির ফুসকুড়ি আকারে এর সূত্রপাত হয়। এই ফুসকুড়িতে চুলকানি ও ক্ষতের সৃষ্টি হয়ে থাকে। তবে এই ফুসকুড়িগুলি ত্বকে কোনো দাগের সৃষ্টি না করে এমনিতেই সেরে যেতে পারে। পরীক্ষার  মাধ্যমে সাধারণত এই রোগ নিরাময়ের বিভিন্ন পর্যায়ে ক্ষতের মাত্রা, এবং মুখগহ্বর ও টনসিলের আলসার পর্যবেক্ষণ করা হয়।

কারণ

ভ্যারিসেলা জোস্টার নামক ভাইরাসের কারণে চিকেন পক্স হয়ে থাকে। চিকেন পক্সে আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে গেলে আপনি এই রোগে আক্রান্ত হতে পারেন। চিকেন পক্সে পূর্বে আক্রান্ত না হওয়া ব্যক্তিদের ৯০% শতাংশই এই রোগের ভাইরাসের সংস্পর্শে এলে আক্রান্ত হতে পারে।

লক্ষণ

এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে চিকিৎসকেরা নিম্নলিখিত লক্ষণগুলি চিহ্নিত করে থাকেন:

চিকিৎসা

 চিকিৎসকেরা এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের নিম্নলিখিত ঔষধগুলি গ্রহণ করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন: 

acyclovir capsaicin
chicken pox vaccine

চিকিৎসকেরা এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের নিম্নলিখিত টেস্টগুলি করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন: 

ডাঁটা সেন্টারে কোন প্রকার তথ্য পাওয়া যায়নি

ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়

এটি একটি অত্যন্ত সংক্রামক রোগ। রোগটি অতি দ্রুত বিস্তার লাভ করে । চিকেন পক্সে আক্রান্ত ব্যক্তির ফুসকুড়ির সাথে সরাসরি সংস্পর্শ বা তার হাঁচি-কাশির মাধ্যমে এই রোগের ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটে। যেসব বিষয়গুলি গুটিবসন্তের ঝুঁকি বৃদ্ধি করে সেগুলি হল:

  • পূর্বে চিকেন পক্স না হওয়া।
  • চিকেন পক্সের টিকা গ্রহণ না করা।
  • স্কুল বা চাইল্ড কেয়ারে হোমে যাওয়া বা কাজ করা ।
  • শিশুদের সাথে বসবাস করা।

যারা ঝুঁকির মধ্যে আছে

লিঙ্গ: পুরুষদের মধ্যে এই রোগ নির্ণয় হওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা থাকে। নারীদের মধ্যে এই রোগ নির্ণয় হওয়ার সম্ভাবনা ১ গুণ কম।

জাত: শ্বেতাঙ্গ ও কৃষ্ণাঙ্গদের মধ্যে এই রোগ নির্ণয় হওয়ার সম্ভাবনা ১ গুণ কম। হিস্প্যানিকদের মধ্যে এই রোগ নির্ণয় হওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা থাকে। অন্যান্য জাতির মধ্যে এই রোগ নির্ণয় হওয়ার সম্ভাবনা ২ গুণ বেশি।

সাধারণ জিজ্ঞাসা

উত্তরঃ কিছু ব্যক্তির শরীর ঠিকভাবে চিকেন পক্সের ভাইরাসের বিরূদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারে না। এ ধরনের ব্যক্তিরা পুনরায় এই রোগে আক্রান্ত হতে পারে।  শিশুদের বয়স এক বছর হওয়ার পূর্বেই তারা চিকেন পক্সে আক্রান্ত হলে তাদের শরীরে প্রতিরোধ সৃষ্টি হয় আংশিকভাবে। ফলে পরবর্তীতে তারা আবারও এই রোগে আক্রান্ত হতে পারে।

উত্তরঃ সাধারণত আক্রান্ত হওয়ার ১০-২১ দিনের মধ্যে চিকেন পক্সের অসুস্থতা দেখা দেয়। ফুসকুড়ি সৃষ্টি হওয়ার ১-২ দিন আগে  সর্দি-কাশি ও জ্বরের মতো লক্ষণ দেখা দেওয়ার মাধ্যমে এর সূত্রপাত হয়।

উত্তরঃ ছোট বাচ্চাদের ক্ষেত্রে চিকেন পক্সের মাত্রা কম হয়ে থাকে।  তবে শিশুদের  ক্ষেত্রে রোগটির তীব্র রূপ ধারণের সম্ভাবনা আছে।

হেলথ টিপস্‌

চিকেন পক্সের লক্ষণ উপশমের জন্য নিম্নলিখিত বিষয়গুলি অনুসরণ করা যেতে পারে:

চিকেন পক্সের কারণে সৃষ্ট ফুসকুড়িগুলি চুলকালে সেই স্থানে দাগ হওয়ার সম্ভাবানা থাকে। এছাড়াও চুলকানোর কারণে ফুসকুড়িতে ইনফেকশন হতে পারে, এবং সেগুলি সারতে দীর্ঘ সময় লাগতে পারে। শিশুদের এ রোগ হলে, তারা যেনো সেগুলি চুলকাতে না পারে সেজন্য:

  •  শিশুদের হাতে গ্লাভস পরিয়ে দিন, বিশেষত রাতে গ্লাভস পরানো জরুরি।
  • তাদের হাতের নখ ছোট করে রাখুন।

চিকেন পক্সের কারণে সৃষ্ট ফুসকুড়িতে তীব্র চুলকানি হতে পারে। এছাড়া ফেটে যাওয়া ফুসকুড়িগুলির স্থানে কাঁটা কাঁটা অনুভবও হতে পারে। জ্বর, মাথাব্যথা, ক্লান্তিসহ উক্ত সমস্যাগুলি আক্রান্ত ব্যক্তিকে ধরাশায়ী করে ফেলে। তবে নিন্মোক্ত বিষয়গুলি অনুসরণ করলে আক্রান্ত ব্যক্তি উপকৃত হবেন:

  • বেকিং সোডা ও যব মিশ্রিত ঠাণ্ডা পানিতে গোসল করা।
  • আক্রান্ত স্থানে ক্যালামাইন লোশন (Calamine lotion) ব্যবহার করা।
  • যদি মুখগহ্বরের মধ্যে ক্ষত হয়, তাহলে নরম ও সুষম খাদ্য গ্রহণ করা।
  • চুলকানির জন্য ডাইফেনহাইড্রামিনের (বেনাড্রিল ও অন্যান্য)[ diphenhydramine(Benadryl, others)] মতো অ্যান্টিহিস্টামিন (antihistamine) ব্যবহার করা যায়। আপনার শিশুর জন্য অ্যান্টিহিস্টামিন নিরাপদ কিনা, সে ব্যাপারে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
  • অল্প মাত্রার জ্বরের জন্য অ্যাসিটামিনোফেন অথবা আইবুপ্রোফেন গ্রহণ করা।

বিশেষজ্ঞ ডাক্তার

ডাঃ শহিদুল্লাহ সবুজ

মেডিসিন ( Medicine), নিউরোলজি ( স্নায়ুতন্ত্র) ( Neurology)

এমবিবিএস,, এফসিপিএস(মেডিসিন),, এমডি(নিউরোমেডিসিন)

ডাঃ রুমা পারভীন

পেডিয়াট্রিকস ( Pediatrics)

এমবিবিএস, ডিসিএইচ, এফসিপিএস(শিশু)

ডাঃ মোহাম্মদ নূরুল্লাহ

মেডিসিন ( Medicine)

এমবিবিএস, এফসিপিএস(মেডিসিন পি ২), পিজিটি(মেডিসিন)

ডাঃ মোহসীনা আক্তার লাকী

পেডিয়াট্রিকস ( Pediatrics), নিউন্যাটোলজি ( নবজাতক) ( Neonatology)

এমবিবিএস,, এমডি, , শিশু(থিসিস)

অধ্যাপক ডাঃ এ কে এম ফজলুর রহমান

মেডিসিন ( Medicine), কার্ডিওলজি ( হার্ট) ( Cardiology)

এমবিবিএস,, এমডি(কার্ড),, ডি-কার্ড(ডিইউ),, এমসিপিএস(মেডিসিন),, এফআইসিসি(ইউএসএ)

ডাঃ শরিফ উদ্দীন খান

মেডিসিন ( Medicine), নিউরোলজি ( স্নায়ুতন্ত্র) ( Neurology)

এমবিবিএস, এমডি(নিউরোলজী ), এমডি(নিউরোলজী )

অধ্যাপক ডাঃ মোহাম্মদ সাইফ উল্লাহ

মেডিসিন ( Medicine), কার্ডিওলজি ( হার্ট) ( Cardiology)

এমবিবিএস, এমডি(কার্ডিওলজী), এফএসিসি(লন্ডন)

ডাঃ মোঃ আবু তাহের আজাদ

মেডিসিন ( Medicine)

এমবিবিএস(এসএমসি), সিএফ সিএইচ পিআর, সিসিইউ(এসইউবি)