শিশুর খিটখিটে স্বভাব (Irritable Infant)

শেয়ার করুন

বর্ণনা

যেসব শিশুরা এখনও কথা বলতে শিখেনি তারা কখনও কখনও অল্পতেই রেগে যায়, অনেক বেশি কান্নাকাটি ও বিরক্ত করে। শিশুর এই খিটখিটে স্বভাব যদি স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক বেশি হয় তবে তা গুরুতর কোন সমস্যার লক্ষণ হতে পারে।

কারণ

বিভিন্ন কারণে এই লক্ষণ দেখা যেতে পারেঃ যেমন-   

সংশ্লিষ্ট লক্ষণসমূহ

এই লক্ষণের সাথে অন্যান্য যেসকল লক্ষণ দেখা যেতে পারে সেগুলো হলোঃ

ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়

পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়া, ক্ষুধা, ভাই-বোনদের সাথে ঝগড়া হওয়া, শিশুর প্রতি মা-বাবার আচরণ প্রভৃতি কারণে শিশুর মেজাজ খিটখিটে হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। শিশু যদি দিনের মধ্যে তিন ঘন্টার বেশি কাঁদে তবে বুঝতে হবে যে শিশুর সমস্যা আছে। এছাড়াও বিভিন্ন সমস্যার কারণেও শিশুর মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়। যেমন- কানে ইনফেকশন হওয়া, দাঁত ব্যথা, ঠাণ্ডা বা ফ্লু, মূত্রনালীর ইনফেকশন, পেটে ব্যথা, মাথাব্যথা, কোষ্ঠ্যকাঠিন্য, গুঁড়াক্রিমি, ঘুমের অনিয়ম হওয়া ইত্যাদি।

যারা ঝুঁকির মধ্যে আছে

লিঙ্গঃ পুরুষদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে। মহিলাদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ১ গুণ কম।

জাতিঃ শ্বেতাঙ্গ ও কৃষ্ণাঙ্গদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ১ গুণ কম। হিস্প্যানিক ও অন্যান্য জাতিদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে।

সাধারণ জিজ্ঞাসা

উত্তরঃ বিভিন্ন কারণে এই সমস্যাটি শিশুদের মধ্যে দেখা যায়। যেমন- ঠিকমত ঘুম না হওয়া, ক্ষুধা, সিগারেটের ধোঁয়া, খেলার সময় পায়ের আঙ্গুলে সূতা বা চুল পেঁচানোর ফলে রক্ত চলাচলে বাঁধা পড়া, কানে ইনফেকশন হওয়া ইত্যাদি। এছাড়াও যেসকল মা বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়ান, তাদের নির্দিষ্ট কিছু ঔষধ সেবনের কারণে শিশুর উপরে ঐ সকল ঔষধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে যার ফলে শিশুর আচরণে পরিবর্তন আসে।

হেলথ টিপস্‌

শিশু বিরক্ত করলে তার সাথে কথা বলতে হবে, খেলতে হবে, আদর করতে হবে। এছাড়াও শিশুর ঘুম, খাওয়া-দাওয়া ও অন্যান্য বিষয়ের প্রতি যত্নশীল হতে হবে।