পুরুষ যৌনাঙ্গের ইনফেকশন (Male genitalia infection)

শেয়ার করুন

বর্ণনা

ইনফেকশনের কারণে পুরুষাঙ্গে জ্বালাপোড়া ও ব্যথা হয়, ফলে আক্রান্ত ব্যক্তি অস্বস্তিকর অবস্থার সম্মুখীন হয়ে থাকে। এই সমস্যাটি যে কারো হতে পারে।

জেনিটাল সোর (Genital sores) হলো পুরুষাঙ্গের এক ধরনের ইনফেকশন। এর কারণে পুরুষাঙ্গ, স্ক্রোটাম বা ইউরেথ্রাতে ঘা দেখা যায়। এটি সাধারণত যৌনমিলনজনিত ইনফেকশনের কারণে হয়ে থাকে।

জেনিটাল ওয়ার্টস (Genital warts) হলো যৌনাঙ্গ, উরু বা পায়ুপথের আঁচিল। এটি দেখতে কখনও কখনও ফুলকপির মত হয় আবার কখনও কখনও ত্বকের সাথে লেগে থাকে। যৌনমিলনের কয়েক সপ্তাহ বা কয়েক মাসের মধ্যে এটি দেখা যায়। এর কারণে ব্যথা হতেও পারে, নাও হতে পারে। 

পুরুষাঙ্গে যে ইনফেকশন বেশি হয় তা ক্ল্যামাইডিয়া ট্র্যাকোমেটিস নামক ছোট ও ওব্লিগেট ইন্ট্রাসেলুলার ব্যাকটেরিয়ার কারণে হয়ে থাকে, যা হিউম্যান কলামনার এবং ট্রাঞ্জিশনাল এপিথেলিয়ামকে আক্রান্ত করে। এর কারণে অকুলার ইনফেকশন, জেনিটোইউরিনারী ইনফেকশন এবং লিম্ফোগ্রেনুলোমা ভেনেরাম হয়ে থাকে। লিম্ফোগ্রেনুলোমা ভেনেরাম হলো যৌন ইনফেকশনের একটি বিরল প্রকারভেদ, যার কারণে জেনিটাল আলসার এবং লিম্ফ্যাডেনোপ্যাথি হয়ে থাকে।

কারণ

এই ইনফেকশন সাধারণত ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস এবং ফাঙ্গাসের কারণে হয়ে থাকে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে এই ইনফেকশন ছোঁয়াচে হয়ে থাকে। তাই এই অবস্থায় যৌন মিলনে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।

লক্ষণ

এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে চিকিৎসকেরা নিম্নলিখিত লক্ষণগুলি চিহ্নিত করে থাকেন:

চিকিৎসা

এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের নিম্নলিখিত ঔষধগুলি গ্রহণ করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন:

azithromycin ceftriaxone
cephalexin clindamycin phosphate
vancomycin hydrochloride

চিকিৎসকেরা এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের নিম্নলিখিত টেস্টগুলি করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন:

কিডনী ফাংশন টেস্ট (Kidney function test)
সি-বি-সি (কমপ্লিট ব্লাড কাউন্ট) (CBC, Complete Blood Count)
ব্লাড কালচার (Blood culture)
ইউরিন এনালাইসিস (Urinalysis)
উন্ড ম্যানেজমেন্ট (Wound care management)
উন্ড সোয়াব সি/এস (Wound swab c/s)
উন্ড সোয়াব গ্রাম স্টেইন (Wound swab gram stain)

ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়

যে যে বিষয়ের কারণে এই রোগ হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায় সেগুলো হলো:

  • দেহের ইমিউন সিস্টেম দুর্বল হয়ে পড়া।
  • স্থূলতা।
  • ডায়াবেটিস।
  • অনিরাপদ যৌনসম্পর্ক।
  • একাধিক যৌনসঙ্গী থাকা।
  • পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার অভাব।
  • আর্থ-সামাজিক অবস্থার অবনতি।

যারা ঝুঁকির মধ্যে আছে

লিঙ্গঃ পুরুষদের মধ্যে এই রোগ নির্ণয়ের সম্ভাবনা ২ গুণ বেশি।

জাতিঃ শ্বেতাঙ্গদের মধ্যে এই রোগ নির্ণয়ের সম্ভাবনা ১ গুণ কম। কৃষ্ণাঙ্গ, হিস্প্যানিক ও অন্যান্য জাতিদের মধ্যে এই রোগ নির্ণয়ের গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে।

হেলথ টিপস্‌

এই রোগ প্রতিরোধের সর্বোত্তম ঘরোয়া পন্থা হলো নিরাপদ যৌনসম্পর্ক। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই রোগ অনিরাপদ যৌনসম্পর্কের কারণে এক ব্যক্তি থেকে অন্য ব্যক্তির মাঝে ছড়িয়ে পড়ে। তাই যৌনমিলনের সময় অবশ্যই কনডম ব্যবহার করতে হবে, এবং একাধিক যৌনসঙ্গীর সাথে যৌনমিলন হতে বিরত থাকতে হবে। যৌনমিলনের পর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে হবে। সুইমিং পুল, ওয়াটার পার্ক প্রভৃতি স্থানে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে এবং ব্যবহৃত জিনিস যেমন তোয়ালে ও পোশাক আদান-প্রদান করা যাবে না। এভাবেই এই রোগ হওয়ার ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব।

বিশেষজ্ঞ ডাক্তার

ডাঃ মোহাম্মদ মশিউর রহমান

মেডিসিন ( Medicine)

এমবিবিএস(ডিইউ)

ডাঃ আতিয়া সাঈদ

মেডিসিন ( Medicine), গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজি ( খাদ্যনালী, পরিপাকতন্ত্র) ( Gastroenterology)

এমবিবিএস, এফসিপিএস(মেডিসিন), এমডি(গ্যাস্ট্রো)

অধ্যাপক ব্রিঃ জেঃ ডাঃ মোঃ ফজলুল হক

মেডিসিন ( Medicine), নেফ্রোলজি ( কিডনি) ( Nephrology)

এমবিবিএস, এফসিপিএস(মেডিসিন), ডিপ্লোমা নেফ্রোলজী(চীন)

ডাঃ জয়ন্ত কুমার সাহা

মেডিসিন ( Medicine), কার্ডিওলজি ( হার্ট) ( Cardiology)

এম বি বি এস, ডি-কার্ড, এফ সি পি এস (মেডিসিন)

ডাঃ মোঃ এনামুল হক

মেডিসিন ( Medicine)

এমবিবিএস(ডিএমসি) , এমআরসিপি(ইউকে)

ডাঃ মোঃ কাজিম উদ্দিন

মেডিসিন ( Medicine), হেমাটোলজি ( ব্লাড) ( Hematology)

এমবিবিএস, ডিসিপি, এমসিপিএস, এফসিপিএস

ডাঃ মাহবুবুর রহমান

মেডিসিন ( Medicine), পালমোনোলজি ( ফুসফুস) ( Pulmonology)

এফসিপিএস(মেডিসিন), এমবিবিএস, ডিটিসিডি(বক্ষব্যাধি)

অধ্যপাক ডাঃ মোঃ রুহুল আমিন

মেডিসিন ( Medicine)

এমবিবিএস, এমআরসিপি(ইউকে)