আঁচিল (Warts)

শেয়ার করুন

বর্ণনা

শরীরের যেকোনো স্থানে, বিশেষ করে হাত ও পায়ের পাতায় আঁচিল হয়ে থাকে। আঁচিল দেখতে ফুলকপি, শক্ত ফোস্কা বা খসখসে চামড়ার মতো হয় । ভাইরাল ইনফেকশন [বিশেষত হিউম্যান প্যাপিলোমাভাইরাস (human papillomavirus)} বা সংক্ষেপে এইচ-পি-ভি (HPV) দ্বারা সংক্রমিত হলে ত্বকে আঁচিল হতে পারে। ত্বকে দশ ধরনের আঁচিল হতে দেখা যায়, যার মধ্যে সবচেয়ে পরিচিত আঁচিলের ধরণটি বিশেষ ক্ষতিকর হয় না। আবার কোনো কোনো ক্ষেত্রে আঁচিল ছোঁয়াচে হয়ে থাকে এবং কাঁটা-ছেঁড়া থাকলে একজনের শরীর থেকে অন্যজনের মধ্যে ছড়াতে পারে। সাধারণত কয়েক মাসের মধ্যে আঁচিল আপনাআপনি ভালো হয়ে যায়। তবে একবার ভালো হয়ে যাওয়ার পরও পুনরায় হতে পারে এবং কয়েক বছর পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। আঁচিল কন্ডিলোমা (Condyloma) নামেও পরিচিত।

কারণ

বিভিন্ন কারণে এই লক্ষণ দেখা যেতে পারে, যেমন-  

সংশ্লিষ্ট লক্ষণসমূহ

এই লক্ষণের সাথে অন্যান্য যেসকল লক্ষণ দেখা যেতে পারে সেগুলো হলো:

ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়

যেসব ব্যক্তিদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা যায় চিকিৎসক তাদেরকে নিম্নলিখিত ঔষধ দিয়ে থাকেনঃ 

যারা ঝুঁকির মধ্যে আছে

 লিঙ্গঃ পুরুষদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে। মহিলাদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ১ গুণ কম।

জাতিঃ শ্বেতাঙ্গ ও হিস্প্যানিকদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে। কৃষ্ণাঙ্গদের ক্ষেত্রে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ২ গুণ কম। অন্যান্য জাতির মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ১ গুণ কম।

সাধারণ জিজ্ঞাসা

উত্তরঃ আঁচিল ছোঁয়াচে হতে পারে। ত্বকের সংস্পর্শে, এমনকি একই তোয়ালে বা তৈজসপত্র ব্যবহারের ফলেও আঁচিল বিস্তার লাভ করতে পারে। যৌনাঙ্গে আঁচিল হলে অনিরাপদ যৌনমিলনের সময় তা খুব সহজে একজনের শরীর থেকে আরেকজনের শরীরে ছড়াতে পারে। মহিলাদের যোনীপথে আঁচিল হতে পারে এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এর উপস্থিতি টের পাওয়া যায় না। যার ফলে যৌনমিলনের সময় তা অজান্তেই অন্যের শরীরে সংক্রমিত হতে পারে। 

উত্তরঃ দুই বা এক মাসের মধ্যে আঁচিল সেরে না গেলে  চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন। কেননা ত্বকে একটি আঁচিল থেকে আরেকটি আঁচিলের সৃষ্টি হতে পারে। এ অবস্থায় ঔষধের সাহায্যে আঁচিলের চিকিৎসা করা হয় বা অপারেশনের মাধ্যমে তা অপসারণ করা হয়। 

হেলথ টিপস্‌

আঁচিল প্রতিরোধ করার জন্য নিম্নলিখিত বিষয়গুলি অনুসরণ করা যেতে পারে-

  • ত্বকে আঁচিল দেখা দিলে তা হাত দিয়ে স্পর্শ করা উচিত নয় ও একই সাথে ঐ স্থানে যাতে কোনো রকম আঘাত না লাগে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
  • আক্রান্ত ব্যক্তির ব্যবহৃত জিনিসপত্র ব্যবহার করা উচিত নয়।
  • নখ দিয়ে আঁচিল খোঁচানো যাবে না। এতে ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি থাকে।
  • হাত সবসময় শুষ্ক রাখতে হবে।