ত্বকের আঁচিল (Skin moles)

শেয়ার করুন

বর্ণনা

লক্ষণটি তিল বা নেভাস (Nevus) হিসেবেও পরিচিত।

ত্বকের উপর মেলানোসাইট (melanocyte) নামক কোষ দ্বারা গঠিত রঙিন দাগকে তিল বা আঁচিল বলে। মেলানোসাইট ত্বকের রঙ সৃষ্টি করে থাকে। চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় আঁচিলকে মেলানোসাইটিক নাইভি বলে (melanocytic naevi)। আঁচিল বা তিলের রঙ সাধারণত বাদামি হলেও এর রঙ কিছু ক্ষেত্রে কালো বা ত্বকের স্বাভাবিক রংয়ের মতোও হতে পারে। এটি সমান বা উঁচু, মসৃণ বা অমসৃণ হতে পারে। কিছু কিছু আঁচিলে লোমও উৎপন্ন হতে পারে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আঁচিল মসৃণ প্রান্তসহ গোল বা ডিম্বাকৃতির হয়ে থাকে। আঁচিলের সংখ্যা ও বর্ণের পরিবর্তন হতে পারে। কিছু আঁচিল সময়ের সাথে সাথে বিলীন হয়ে যায়।

কারণ

বিভিন্ন কারণে এই লক্ষণ দেখা দিতে পারে], যেমন:

সংশ্লিষ্ট লক্ষণসমূহ

এই লক্ষণের সাথে অন্যান্য যেসকল লক্ষণ দেখা যেতে পারে সেগুলো হলো:

যারা ঝুঁকির মধ্যে আছে

লিঙ্গ: নারীদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা থাকে। পুরুষদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ১ গুণ কম।

জাতি: শ্বেতাঙ্গদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা থাকে। কৃষ্ণাঙ্গদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ৩ গুণ কম। হিস্প্যানিক ও অন্যান্য জাতির মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ২ গুণ কম।

সাধারণ জিজ্ঞাসা

উত্তর: হ্যাঁ, হতে পারে। জন্মের সময় শিশুদের আঁচিল থাকতে পারে, বা জন্মানোর পরপরও এটি শিশুদের শরীরে দেখা দিতে পারে। শৈশব পার হয়ে কৈশোর ও যৌবনের প্রথম দিকেও অনেকের  আঁচিল হয়ে থাকে। শরীরের স্বাভাবিক বৃদ্ধির তুলনায় আঁচিলের বৃদ্ধি খুব কম হয়। জন্মগতভাবে যেসব আঁচিল  দেখা যায়  সেগুলি ভ্রণের বিকাশের সময় উপস্থিত থাকে। পরবর্তীতে যেসব আঁচিল সৃষ্টি হয় সেগুলি জিনগত নয়, বরং পরিবেশগত কারণে হয়ে থাকে, যেমন- রোদ লাগা।

উত্তরঃ হ্যাঁ, হতে পারে। জন্মের পর প্রথম কয়েক বছরে অনেক আঁচিল হওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও ১০-৩০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক আঁচিল দেখা দিতে পারে(গড়ে ৩৫টি)। সাধারণত একজন ব্যক্তির বয়স ৩০ হয়ে যাওয়ার পর তার শরীরে নিয়মিতভাবে নতুন আঁচিল সৃষ্টি হয় না। প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিদের জীবনের পরবর্তী পর্যায়ে মেছতা, লেনটিজাইন (lentigine), লিভার স্পট (liver spot) এবং সেবোরিককেরাটোসিস (seborrheickeratoses) হতে পারে।

হেলথ টিপস্‌

আঁচিল হওয়ার ঝুঁকি কমাতে অতিবেগুনি রশ্মি থেকে ত্বককে সুরক্ষিত রাখুন। অতিবেগুনি রশ্মির সাথে মেলানোমা (melanoma) বৃদ্ধির সম্পর্ক রয়েছে।  রোদ থেকে সুরক্ষিত অবস্থায় থাকে না এমন শিশুদের আঁচিল বেশি হয়।

  • তীব্র রোদ এড়িয়ে চলা: দীর্ঘক্ষণ রোদে থাকবেন না। যদি আপনাকে বাইরে থাকতে হয়, তাহলে সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত রোদে না যাওয়ার চেষ্টা করুন। এই সময় অতিবেগুনি রশ্মি তীব্র মাত্রায় থাকে।
  • সানস্ক্রিন ব্যবহার: বাইরে বের হওয়ার ৩০ মিনিট পূর্বে সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন। মেঘলা দিনেও সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে ভুলবেন না।
  • সুরক্ষিত থাকুন: সানগ্লাস, টুপি এবং বড়ো হাতাযুক্ত পোশাকের মতো অন্যান্য পোশাক অতি বেগুনি রশ্মি থেকে ত্বককে সুরক্ষা জোগায়। অতি বেগুনি রশ্মি থেকে সুরক্ষার জন্য বিশেষভাবে তৈরি কাপড়ের পোশাকও আপনি পরতে পারেন।