শুষ্ক খসখসে ত্বক (Skin dryness, peeling, scaliness, or roughness)

শেয়ার করুন

বর্ণনা

লক্ষণটি ত্বকে আঁশ আঁশ ভাব সৃষ্টি হওয়া, ত্বক রুক্ষ হয়ে যাওয়া ও ডিসকোয়ামেশন (Desquamation) হিসেবেও পরিচিত।

কারণ

বিভিন্ন কারণে এই লক্ষণ দেখা যেতে পারেঃ যেমন-

চুল পড়া (Alopecia) কনট্যাক্ট ডার্মাটাইটিস (Contact dermatitis)
যক্ষা (Tuberculosis) এ্যাকজিমা (Eczema)
ত্বকের ক্যান্সার (Skin cancer) সেবোরিক ডার্মাটাইটিস (Seborrheic dermatitis)
ত্বকের ছত্রাকের ইনফেকশন (Fungal infection of the skin) ক্ষতচিহ্ন (Scar)
স্ক্যাবিস (Scabies) প্যারোনাইকিয়া (Paronychia)
সোরিয়াসিস (Psoriasis) ফাঙ্গাল ইনফেকশন অফ দি হেয়ার (Fungal infection of the hair)
ক্যালাস (Callus) ডিজহাইড্রোসিস (Dyshidrosis)
রোজেশিয়া (Rosacea) লিচেন প্ল্যানাস (Lichen planus)
লিচেন সিমপ্লেক্স (Lichen simplex) হিমানজিওমা (Hemangioma)
মেলানোমা (Melanoma) মোলাস্কাম কন্টাজিওসাম (Molluscum contagiosum)
স্ক্লেরোডার্মা (Scleroderma) লিম্ফ্যাডেমা (Lymphedema)
সেবোরিক কেরাটোসিস (Seborrheic keratosis) স্কিন পলিপ (Skin polyp)
সফট টিস্যু সারকোমা (Soft tissue sarcoma) ভাইরাল ওয়ার্টস (Viral warts)
অ্যাথলেট'স ফুট (Athlete's foot) অ্যাক্টিনিক কেরাটোসিস (Actinic keratosis)
ব্রণ (Acne)

সংশ্লিষ্ট লক্ষণসমূহ

এই লক্ষণের সাথে অন্যান্য যেসকল লক্ষণ দেখা যেতে পারে সেগুলো হলোঃ

ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়

নিম্নলিখিত বিষয়গুলি ত্বক শুষ্ক বা খসখসে হওয়ার ঝুঁকি বৃদ্ধি করে-

  • ৪০ বছরের বেশি বয়স।
  • শুষ্ক, ঠান্ডা ও কম আর্দ্রতাপূর্ণ পরিবেশে বসবাস করা।
  • এমন কোনো পেশায় নিয়োজিত থাকা যার কারণে ত্বক পানির সংস্পর্শে থাকে, যেমন- নার্সিং ও হেয়ার স্টাইলিং।
  • ক্লোরিনপূর্ণ পানিতে নিয়মিত সাঁতার কাঁটা।

যারা ঝুঁকির মধ্যে আছে

লিঙ্গ: পুরুষদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা থাকে। নারীদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ১ গুণ কম।

জাতি:  শ্বেতাঙ্গ, হিস্প্যানিক ও অন্যান্য জাতির মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা থাকে। কৃষ্ণাঙ্গদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ১ গুণ কম।

 

সাধারণ জিজ্ঞাসা

উত্তরঃ  পায়ের ত্বক বেশি শুষ্ক হয়ে থাকে। এছাড়া হাতের ত্বকও এই সমস্যা হতে পারে। তবে শরীরের যে কোনো অংশের ত্বকই শুষ্ক হতে পারে।

উত্তরঃ হ্যাঁ, হতে পারে। ইকথিয়োসিস (Ichthyosis) এর কারণে ত্বক শুষ্ক  হতে পারে। ইকথিয়োসিস বিভিন্ন ধরনের  হতে পারে। তবে ইকথিয়োসিস ভালগারিস (Ichthyosis  vulgaris) সবচেয়ে বেশি হয়ে থাকে। ইকথিয়োসিস হলে ত্বক অতিমাত্রায় শুষ্ক হয়ে যায় এবং স্থানটি মাছের আঁশের মতো রূপ নেয়। অ্যাটোপিক ডার্মাটাইটিসে (atopic dermatitis) আক্রান্ত ব্যক্তিদের ত্বকও শুষ্ক হয়ে থাকে। অ্যাটোপিক ডার্মাটাইটিসের সাথে জিনগত কোনো কারণ সম্পর্কযুক্ত আছে বলে ধারণা করা হয়।

উত্তরঃ হ্যাঁ, ঔষধ গ্রহণের কারণে ত্বক শুষ্ক হতে পারে। উচ্চরক্তচাপের জন্য ডাইউরেটিক্স (Diuretics), অ্যালার্জির জন্য অ্যান্টিহিস্টামিন (antihistamin) এবং ব্রনের জন্য রেটিনয়েডস ( retinoids) গ্রহণ করলে ত্বক শুষ্ক হয়ে যেতে পারে।

হেলথ টিপস্‌

আপনার ত্বকের শুষ্কতা ও খসখসে ভাব কমাতে নিম্নলিখিত বিষয়গুলি অনুসরণ করতে পারেন-

  • প্রতিদিন গোসল করা: প্রতিদিন গোসল করলে ত্বক আর্দ্র থাকে। তাই ত্বকের আর্দ্রভাব বজায় রাখতে নিয়মিত গোসল করুন।
  • ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার: শুষ্ক ত্বক স্বাভাবিক করার জন্য আর্দ্রতা প্রয়োজন। শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণ আর্দ্রতা ধরে রাখতে গোসল করার ৩ মিনিটের মধ্যে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিৎ। যদি ত্বক বেশি শুষ্ক হয়, তাহলে দিনে বেশ কয়েকবার ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা যেতে পারে। নিয়মিত ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা হলে বারবার ত্বক শুষ্ক হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়।
  • শুষ্ক ত্বকের জন্য উপযোগী ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা: শুষ্ক ত্বকের জন্য মলম ও ক্রিম লোশনের চেয়ে বেশি উপযোগী। মলম ও ক্রিম ব্যবহার করলে শুষ্ক ত্বকে অস্বস্তিভাব কমে যায়। ময়েশ্চারাইজারের কার্যকারিতা সবক্ষেত্রে এর মূল্যের উপর নির্ভর করে না। তাই এর মূল্যের চেয়ে এতে বিদ্যমান উপাদানের উপর বেশি গুরুত্ব দেওয়া উচিৎ। শুষ্ক ত্বকের জন্য ল্যাকটিক অ্যাসিড বা ইউরিয়াযুক্ত ময়েশ্চারাইজার উপকারী।
  • অ্যান্টি-এজিং (anti-aging) দ্রব্য/সামগ্রীর উপাদান সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া: কিছু অ্যান্টি-এজিং সামগ্রীর মধ্যে রেটিনয়েড (retinoid) বা আলফা-হাইড্রক্সি (alpha-hydroxy) এসিড থাকে। এই উপাদানগুলি ত্বকে অস্বস্তিভাব ও চুলকানি সৃষ্টি করতে পারে। তাই এমন সামগ্রী ব্যবহার করা উচিৎ যা ত্বকের আর্দ্রতা বৃদ্ধি করে।