ব্রেস্ট সিস্ট (Breast cyst)

শেয়ার করুন

বর্ণনা

ব্রেস্টের মধ্যে তরল পদার্থ জমা হবার কারণে ব্রেস্ট সিস্ট হয়। ব্রেস্ট সিস্ট গোলাকার অথবা ডিম্বাকার হয়ে থাকে এবং এর কারণে ব্রেস্টে অনিয়মিতভাবে ব্যথা হতে পারে। ব্রেস্ট সিস্ট বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা যেমন আলট্রাসাউন্ড, ম্যামোগ্রাম অথবা  ম্যানুয়াল ব্রেস্ট এক্সামের মাধ্যমে চিহ্নিত করা হয়। হরমোনের পরিবর্তন, বয়স বৃদ্ধি ও নির্দিষ্ট কিছু ঔষধ ব্যবহারের ইত্যাদি কারণে ব্রেস্ট সিস্ট হয়ে থাকে। ৩৫-৫০ বছরের ব্যক্তিদের মধ্যে এই রোগ বেশি দেখা যায়।

কারণ

প্রত্যেকটি ব্রেস্টে ফুলের পাপড়ি মত সাজানো গ্রন্থিময় টিস্যু লোব (lobes) আছে। এই লোবগুলি আবার ছোট ছোট লোবে বিভক্ত। এই ছোট ছোট লোবগুলি গর্ভাবস্থায় দুধ উৎপাদন করে। ছোট নালীগুলি (ducts) নিপলে দুধ আনতে সাহায্য করে। চর্বি টিস্যু এবং তন্তুময় (fibrous) টিস্যু দ্বারা ব্রেস্ট গঠিত হয়। যখন গ্রন্থি (glands) এবং টিস্যু অস্বাভাবিক ভাবে বৃদ্ধি পেয়ে ব্রেস্টের নিপলকে বন্ধ করে দেয় এবং নিপলে তরল পদার্থ জমা হয় ও এর ফলে নিপল গুলোর আকার বড় হয়ে যায়, তখন ব্রেস্ট সিস্ট দেখা দেয়। ব্রেস্ট সিস্ট দুই ধরনের হয়।

(ক) মাইক্রোসিস্টঃ মাইক্রোসিস্ট ক্ষতিকর নয়। ইমেজিং টেস্ট যেমন মেমোগ্রাম ও আলট্রাসাউন্ডের মাধ্যমে এই সিস্টগুলোকে চিহ্নিত করা হয়।

(খ) ম্যাক্রোসিস্টঃ ম্যাক্রোসিস্ট প্রায় ১-২ ইঞ্চি পর্যন্ত বড় হয়। এই সিস্টগুলো ব্রেস্টের অন্যান্য টিস্যুর উপর চাপ সৃষ্টি করে এবং এই কারণে ব্রেস্টে ব্যথা অনু্ভূত হয়।

লক্ষণ

এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে চিকিৎসকেরা নিম্নলিখিত লক্ষণগুলি চিহ্নিত করে থাকেন:

চিকিৎসা

 চিকিৎসকেরা এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের নিম্নলিখিত ঔষধগুলি গ্রহণ করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন: 

ডাঁটা সেন্টারে কোন প্রকার তথ্য পাওয়া যায়নি

চিকিৎসকেরা এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের নিম্নলিখিত টেস্টগুলি করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন: 

ব্রেস্ট বায়োপসি (Breast biopsy)
ম্যামোগ্রাফি (Mammography)
ইউ-এস-জি ব্রেস্ট (USG Breast)
ব্রেস্ট এক্সামিনেশন (Breast examination)
এফ-এন-এ-সি (Fine needle aspiration cytology - FNAC)

ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়

যে যে বিষয়গুলোর কারণে আপনার ব্রেস্ট সিস্ট হবার সম্ভাবনা বেড়ে যায় সেগুলি হলোঃ

(ক) লিঙ্গঃ ব্রেস্ট সিস্ট পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের হওয়ার সম্ভাবনা ১০০ গুণ বেশি।

(খ) পরিবারে কারো এই রোগ থাকা: যদি আপনার মা, বোন, বাবা অথবা সন্তানের ব্রেস্ট সিস্ট হয় তাহলে আপনার এই রোগ হবার ঝুঁকি বেড়ে যাবে।

(গ) ব্যক্তিগত কারণ: যদি আপনার একটি ব্রেস্টে সিস্ট হয় তাহলে অন্য ব্রেস্টে এই রোগ দেখা দেয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

(ঘ) মাসিক এবং প্রজননজনিত সমস্যা: ১২ বছরের আগে মাসিক হওয়া, ৫৫ বছরের পরে মাসিক বন্ধ হওয়া, বৃদ্ধ বয়সে সন্তান জন্মদান ও সন্তান না হওয়ার মতো কারণে ব্রেস্টে সিস্ট হতে পারে।

যারা ঝুঁকির মধ্যে আছে

লিঙ্গঃ পুরুষদের মধ্যে এই রোগ নির্ণয়ের সম্ভাবনা ২১ গুণ কম। মহিলাদের মধ্যে এই রোগ নির্ণয়ের গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে।

জাতিঃ শ্বেতাঙ্গদের মধ্যে এই রোগ নির্ণয়ের সম্ভাবনা ১ গুণ কম। কৃষ্ণাঙ্গদের মধ্যে এই রোগ নির্ণয়ের সম্ভাবনা ১ গুণ কম। হিস্প্যানিকদের মধ্যে এই রোগ নির্ণয়ের সম্ভাবনা ২ গুণ বেশি। অন্যান্য জাতির  মধ্যে এই রোগ নির্ণয়ের গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে।

সাধারণ জিজ্ঞাসা

উত্তরঃ ব্রেস্ট সিস্ট খুব কম ব্যক্তির হয় এবং তা পূনরায় দেখা দেয় না। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এই রোগটি কোনো ধরনের চিকিৎসা ছাড়াই ভালো হয়। তবে কিছু কিছু সময় আলট্রাসাউন্ডের মাধ্যমে এই সিস্টকে চিহ্নিত করে চিকিৎসা করা হয়।

উত্তর: অনেক মহিলার বগলের নিচে অতিরিক্ত ব্রেস্ট টিস্যু থাকে। গর্ভাবস্থার শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও স্তনপান করানোর কারণে যখন স্তন্ ফুলে যায়, তখন অধিকাংশ সময়ে তারা এই ফুলে যাওয়া অবস্থা খেয়াল করেন না। তখন এই ফোলা টিস্যুতে ব্রেস্ট সিস্ট হতে পারে। বগলের নিচে ঘাম ও ব্যাকটেরিয়া জমার কারণেও ব্রেস্ট সিস্ট হতে পারে।

হেলথ টিপস্‌

ব্রেস্ট সিস্ট হলে নিম্নলিখিত বিষয়গুলি অনুসরণ করুন-

(ক) ঢিলেঢালা ও আরামদায়ক ব্রা পরা:  ব্রেস্ট সিস্টের কারণে যদি ব্রেস্টে ব্যথা অনুভূত হয়, তাহলে আপনাকে অবশ্যই ঢিলেঢালা ও আরামদায়ক কাপড় পরতে হবে।

(খ) ক্যাফেইন পরিহার করা:  ক্যাফেইন ব্যবহারের কারণে ব্রেস্ট সিস্ট হয় না। তবুও অনেকে তাদের প্রতিদিনের খাবারে ক্যাফেইন পরিহার করে ব্রেস্ট সিস্টের লক্ষণগুলি থেকে পরিত্রাণ পেতে পারেন।

(গ) প্রতিদিনের খাবারে লবণের পরিমাণ কমাতে হবেঃ লবণের ব্যবহারের কারণে ব্রেস্ট সিস্ট হয় না, তবুও কোনো কোনো বিশেষজ্ঞ ব্রেস্ট সিস্টের ঝুঁকি কমানোর জন্য প্রতিদিনের খাবারে লবণের পরিমাণ কমানোর পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

বিশেষজ্ঞ ডাক্তার

ডাঃ রোকসানা রহমান

গাইনি ও অবসটেট্রিক্স ( Obstetrics & Gynaecology)

এম বি বি এস, এফ সি পি এস (গাইনী এন্ড অব্‌স), এম এস (গাইনী এন্ড অব্‌স)

ডাঃ আনজুমান আরা

গাইনি ও অবসটেট্রিক্স ( Obstetrics & Gynaecology)

এমবিবিএস(ঢাকা), এফসিপিএস(গাইনী), এমএস(গাইনী)

ডাঃ রেহানা পারভীন

গাইনেকোলজিকাল অঙ্কোলজি ( Gynaecological Oncology), গাইনি ও অবসটেট্রিক্স ( Obstetrics & Gynaecology)

এমবিবিএস,, এফসিপিএস,

ডাঃ শামছুন নাহার

গাইনি ও অবসটেট্রিক্স ( Obstetrics & Gynaecology)

এমবিবিএস(ডিএমসি), এফসিপিএস(গাইনী এন্ড অবস্‌), এমএস(গাইনী এন্ডঅবস্)

ডাঃ আফরোজা আক্তার শিল্পী

গাইনি ও অবসটেট্রিক্স ( Obstetrics & Gynaecology)

এমবিবিএস , বিসিএস (স্বাস্থ্য) , ডিজিও , এফসিপিএস পার্ট-২

ডাঃ নাসরিন বেগম

গাইনি ও অবসটেট্রিক্স ( Obstetrics & Gynaecology)

এমসিপিএস, ডিজিও, এফআরএসএইস, ডায়াবেটিকে বিশেষ প্রশিক্ষন প্রাপ্ত

অধ্যাপিকা ডাঃ ইসরাত হাসান

গাইনি ও অবসটেট্রিক্স ( Obstetrics & Gynaecology)

এমসিপিএস, এফসিপিএস(গাইনী ও অব্‌স)

ডাঃ সুরাইয়া পারভীন

গাইনি ও অবসটেট্রিক্স ( Obstetrics & Gynaecology)

এমবিবিএস, এফসিপিএস, ডিজিও , এমসিপিএস (গাইনী এন্ড অবস্‌)