যোনির শুষ্কতা (Vaginal dryness)

শেয়ার করুন

বর্ণনা

লক্ষণটি শুষ্ক যোনি হিসেবেও পরিচিত।

যোনিতে স্বাভাবিকভাবে এক প্রকার পিচ্ছিলকারী পদার্থ (lubrication) তৈরি হয়। এই পদার্থ সব সময় যোনিতে উপস্থিত থাকে, কিন্তু যৌন মিলনের সময় এটি বেশি পরিমাণে উৎপন্ন হয়। যোনির শুষ্কতা বলতে এই পিচ্ছিলকারী পদার্থের অভাবকে বোঝায়। কিছু ক্ষেত্রে কৃত্রিম লুব্রিকেশন ব্যবহার করে এই অভাব পূরণ করা যেতে পারে।

রক্তনালী স্ফীতির দরুন যোনির গাত্র থেকে প্লাজমার ক্ষরণই হলো যোনির পিচ্ছিলকারী পদার্থের প্রধান উৎস। যোনিমুখ বা ইনট্রোয়টাসের (introitus) সামান্য নিচে এবং বামে-ডানে অবস্থিত বারথোলিনস্‌ গ্লান্ড (Bartholin's glands) মিউকাস ক্ষরণ করে যোনিগাত্রের ক্ষরণ বৃদ্ধি করে।

কারণ

বিভিন্ন কারণে এই লক্ষণ দেখা যেতে পারেঃ যেমন-  

সংশ্লিষ্ট লক্ষণসমূহ

এই লক্ষণের সাথে অন্যান্য যেসকল লক্ষণ দেখা যেতে পারে সেগুলো হলোঃ

ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়

হরমোন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপির (hormone replacement therapy) পর মহিলাদের যোনির শুষ্কতার মাত্রা তীব্র হয়ে যায়। মানসিক ও শারীরিক চাপের ফলস্বরূপও এই সমস্যা হতে পারে।

এছাড়া অন্যান্য কিছু বিষয় যোনির শুষ্কতা সৃষ্টি হওয়ার ঝুঁকি বৃদ্ধি করতে পারে, যেমন- উদ্বিগ্ন হওয়া ও কিছু নির্দিষ্ট ঔষধ গ্রহণ। বিশেষত জন্ম নিরোধক ঔষধ ও হরমোনের মাত্রা পরিবর্তনকারী ঔষধ এ ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখে।

যারা ঝুঁকির মধ্যে আছে

লিঙ্গ:  নারীদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা থাকে।

জাতি:  কৃষ্ণাঙ্গদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ২ গুণ কম। শ্বেতাঙ্গ, হিস্প্যানিক ও অন্যান্য জাতির মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা থাকে।

হেলথ টিপস্‌

যোনির শুষ্কতা রোধ করার জন্য নিম্নলিখিত বিষয়গুলি অনুসরণ করুন-

  • বেশি পরিমাণে পানি পান: বেশি পরিমাণে পানি পান করে  যোনির শুষ্কতা রোধ করা সম্ভব। শরীরে যাতে পানিশূন্যতা সৃষ্টি না হয় সে জন্য প্রতিদিন ৮ গ্লাস পানি পান করা  প্রয়োজন।
  • বেশি পরিমাণ কফি ও অ্যালকোহল পরিহার করা: কফি কম পরিমাণে  গ্রহণ করতে হবে, কারণ এটি শরীরের এস্ট্রোজেনের পরিমাণের উপর  প্রভাব ফেলে। এর ফলস্বরূপ যোনির আর্দ্রতার পরিমাণ হ্রাস পায়।
  • সুষম আহার গ্রহণ: মেনোপজের সময় বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণ করা প্রয়োজন, কারণে এ সময় শরীরে হরমোনের মাত্রায় নতুনভাবে ভারসাম্যের প্রয়োজন হয়। স্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণ  না করলে এই প্রক্রিয়া ব্যাহত হতে পারে। এ সময় অল্প পরিমাণ চর্বিযুক্ত খাবার গ্রহণ করা উচিৎ নয়, কারণ কোলেস্টেরল এস্ট্রোজেন (estrogen) উৎপন্ন করে থাকে, যা শরীরে স্বাভাবিকভাবে লুব্রিক্যান্ট সৃষ্টির ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখে। এছাড়া খাদ্য তালিকায় সয়াবিন ও শণের বীজ যুক্ত করুন।
  • ধূমপান ত্যাগ করুন: ধূমপান শরীরে এস্ট্রোজেনের মাত্রা কমিয়ে দেয়, তাই ধূমপান ত্যাগ করুন।