অপ্রত্যাশিত মাসিক (Unpredictable menstruation)

শেয়ার করুন

বর্ণনা

প্রতিমাসে প্রাপ্তবয়স্ক মহিলাদের জরায়ু থেকে নির্দিষ্ট সময় ধরে  যে রক্তক্ষরণ হয়, তাকে মাসিক বা পিরিয়ড বলে। মাসিক সাধারণত তিন থেকে পাঁচদিন ধরে চলে। এর মধ্যে রক্তস্রাব হয় প্রথম দুই থেকে তিন দিন। তবে অসুস্থতার জন্য এই সময়কাল কম বেশি হতে পারে। পরিমাণের চেয়ে বেশি রক্তস্রাবকে বলে মেনোরেজিয়া। হরমোনের ভারসাম্যহীনতা, এন্ডোমেট্রিওসিস, ইউটেরাইন ফাইব্রোয়েড, ইউটেরাস বা জরায়ুর ক্যান্সার ইত্যাদি কারণে মেনোরেজিয়া হতে পারে। এর কারণে রক্তস্বল্পতা হতে পারে।

কারণ

বিভিন্ন কারণে এই লক্ষণ দেখা যেতে পারে, যেমন-           

সংশ্লিষ্ট লক্ষণসমূহ

এই লক্ষণের সাথে অন্যান্য যেসকল লক্ষণ দেখা যেতে পারে সেগুলো হলোঃ

ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়

নিম্নলিখিত কারণে অপ্রত্যাশিত মাসিকের ঝুকিঁ বৃদ্ধি পায়:
  • যৌনমিলনের সময় ভ্যাজাইনা বা যোনিপথে আঘাত পাওয়া।
  • যৌনরোগের কারণে সারভিকসিটাইটিস বা পেলভিক ইনফ্লামেটরী ডিজিজ হওয়া।
  • এন্ডোমেট্রিওসিস বা এডেনোমায়োসিস।
  • জন্মবিরতিকরণ পিল ব্যবহার শুরু করার সময় ও শেষ করার পর।
  • অ্যান্টি-কোগুলেন্টস বা অ্যাসপিরিন জাতীয় ঔষধ ব্যবহার।

যারা ঝুঁকির মধ্যে আছে

লিঙ্গ: মহিলাদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে।

জাতি: শ্বেতাঙ্গদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ১ গুণ কম। কৃষ্ণাঙ্গ, হিস্প্যানিক ও অন্যান্য জাতির মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে।

সাধারণ জিজ্ঞাসা

উত্তরঃ মেনোপজ হয়েছে এমন মহিলাদের ১০ জনের মধ্যে ৯ জনেরই এই সমস্যা হয়ে থাকে। মেনোপজের সময় গর্ভধারনের ক্ষমতা কমে যেতে থাকে, একই সাথে মাসিক হওয়ার সম্ভাবনাও কমে যায়। মেনোপজের পূর্ববর্তী সময়ে মাসিক খুব ঘন ঘন হয়ে থাকে। এক সময়ে মাসিক একেবারেই বন্ধ হয়ে যায়।

উত্তরঃ অনিয়মিত মাসিক প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়, বরং মেনোপজের সময় অনিয়মিত মাসিক হওয়াটাই স্বাভাবিক।

হেলথ টিপস্‌

অপ্রত্যাশিত মাসিকের ঝুকিঁ কমানোর জন্য নিম্নলিখিত বিষয়গুলি অনুসরণ করতে হবে:
  • চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী জন্মবিরতিকরণ পিল খেতে হবে।
  • মানসিক চাপ কমানোর জন্য নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে।
  • চর্বিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলতে হবে।