দীর্ঘায়িত মাসিক (Long menstrual periods)

শেয়ার করুন

বর্ণনা

এই অবস্থায় মাসিকের স্থায়ীত্ব স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি হয়। সাধারণত মাসিক ৩-৭ দিন পর্যন্ত স্থায়ী হয়। ৭ দিনের বেশি মাসিক স্থায়ী হলে তাকে মেনোরেজিয়া বলে। ইস্ট্রোজেনের মাত্রা কমে গেলে মূলত এই সমস্যা দেখা যায়।

কারণ

বিভিন্ন কারণে এই লক্ষণ দেখা যেতে পারে, যেমন:

সংশ্লিষ্ট লক্ষণসমূহ

এই লক্ষণের সাথে অন্যান্য যেসকল লক্ষণ দেখা যেতে পারে সেগুলো হলো:

ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়

হরমোনের ভারসাম্যহীনতার কারণে সাধারণত এই সমস্যা হয়ে থাকে। মাসিক শুরু হওয়ার এক বছর পর্যন্ত এবং যেসব মহিলাদের বয়স ৪০-৫০ এর মধ্যে তাদের এই সমস্যা দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

যারা ঝুঁকির মধ্যে আছে

লিঙ্গ: মহিলাদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে।

জাতি: হিস্প্যানিক এবং কৃষ্ণাঙ্গদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে। শ্বেতাঙ্গ ও অন্যান্য জাতির মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ১ গুণ কম।

সাধারণ জিজ্ঞাসা


উত্তর: কম্বাইন্ড ওরাল কন্ট্রাসেপ্টিভ পিল (OCP) মেনোরেজিয়ার সমস্যা দূর করতে পারে।

হেলথ টিপস্‌

নিম্নলিখিত পন্থা অবলম্বন করে এই লক্ষণ প্রতিরোধ করা সম্ভব:

  • দীর্ঘায়িত মাসিকের কারণে দুর্বলতা ও ক্লান্তি অনুভূত হতে পারে, তাই এই অবস্থায় বিশ্রাম নিতে হবে এবং হাঁটাচলা ও ভারী বস্তু তোলা থেকে বিরত থাকতে হবে।
  • এসময় ঘুমের ব্যাঘাত হলে অবস্থার অবনতি হতে পারে, তাই রাতে অন্ততপক্ষে ৮ ঘণ্টা ঘুমাতে হবে।
  • তলপেটে ঠাণ্ডা পানির বোতল রেখে শুয়ে থাকতে হবে।
  • কলার মোচা রান্না করে দইয়ের সাথে মিশিয়ে খেতে হবে। এই খাবার দেহের প্রোজেস্টেরনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয় এবং রক্তক্ষরণের মাত্রা কমিয়ে দেয়।
  • এই অবস্থায় রক্তক্ষরণের কারণে দেহে আয়রন ও ম্যাঙ্গানিজের অভাব দেখা যায়। তাই এসময়ে আয়রন ও ম্যাঙ্গানিজসমৃদ্ধ খাবার প্রচুর পরিমাণে খেতে হবে।