কুঁচকিতে ব্যথা (Groin pain)

শেয়ার করুন

বর্ণনা

শরীরের সামনের দিকে, উরুর উপরের অংশ ও তলপেটের সংযোগস্থলকে কুঁচকি বলা হয়। দেহের এই স্থানে পাঁচটি মাংসপেশী রয়েছে যা পায়ের সঞ্চালনে একসাথে কাজ করে। এই পাঁচটি মাংসপেশী হলোঃ

  • এ্যাডাক্টর ব্রেভিস (adductor brevis),
  • এ্যাডাক্টর লঙ্গাস (adductor longus),
  • এ্যাডাক্টর ম্যাগনাস (adductor magnus),
  • গ্রেসিলিস (gracilis),
  • প্যাক্টিনিয়াস (pectineus)।

যেকোনো ধরনের আঘাত বা ভারী পরিশ্রম ও খেলাধুলার কারণে কুঁচকিতে ব্যথা হতে পারে। আবার এই স্থানের মাংসপেশীতে চাপ পড়লেও ব্যথা হতে পারে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে অ্যাথলেট বা খেলোয়ারদের এই ব্যথা হয়ে থাকে।

কারণ

বিভিন্ন কারণে এই লক্ষণ দেখা যেতে পারেঃ যেমন-   

ভ্যারিকোসিল অফ দা টেস্টিকল (Varicocele of the testicles) ক্ল্যামাইডিয়া ইনফেকশন (Chlamydia Infection)
ক্রনিক ব্যাকপেইন (Chronic back pain) পুরুষ যৌনাঙ্গের ইনফেকশন (Male genitalia infection)
হিমোফিলিয়া (Hemophilia) অণ্ডকোষে পানি জমা/হাইড্রোসিল (Hydrocele of the testicle)
স্ত্রী যৌনাঙ্গের ইনফেকশন (Female genitalia infection) ইঙ্গুইনাল হার্নিয়া/কুচকির হার্নিয়া (Inguinal hernia)
পেরিটোনাইটিস (Peritonitis) স্পারমাটোসিল (Spermatocele)
হেমাটোমা (Hematoma) অ্যাট্রোফি অফ দি করপাস ক্যাভারনোসাম (Atrophy of the corpus cavernosum)
ইনডিউসড অ্যাবর্শন (Induced abortion) ইনজুরি টু দি হিপ (Injury to the hip)
এপিডিডাইমিটিস (Epididymitis) ডিজলোকেশন অফ দি হিপ (Dislocation of the hip)
টেস্টিকুলার ক্যান্সার (Testicular cancer) অ্যাবডোমিনাল অ্যাওর্টিক অ্যানিউরিজম (Abdominal aortic aneurysm)
শোগ্রেন সিন্ড্রোম (Sjogren syndrome) পেরিফেরাল আর্টেরিয়াল এমবলিজম (Peripheral arterial embolism)
ফ্র্যাকচার অফ দি পেলভিস (Fracture of the pelvis) গ্রেনুলোমা ইঙ্গুইনালি (Granuloma inguinale)
ফ্র্যাকচার অফ দি নেক (Fracture of the neck) কঞ্জেনিটাল ম্যালফরমেশন সিন্ড্রোম (Congenital malformation syndrome)
অ্যাবডোমিনাল হার্নিয়া (Abdominal hernia)

সংশ্লিষ্ট লক্ষণসমূহ

এই লক্ষণের সাথে অন্যান্য যেসকল লক্ষণ দেখা যেতে পারে সেগুলো হলোঃ

যারা ঝুঁকির মধ্যে আছে

লিঙ্গঃ পুরুষদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে। অপরদিকে, মহিলাদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা একগুণ কম।

জাতিঃ শ্বেতাঙ্গ ও কৃষ্ণাঙ্গদের ক্ষেত্রে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে। অপরদিকে, হিস্প্যানিক ও অন্যান্য জাতির ক্ষেত্রে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা একগুণ কম।

হেলথ টিপস্‌

বিভিন্ন উপায়ে কুঁচকির ব্যথা প্রতিরোধ করা যায়। অ্যাথলেট বা খেলোয়ারদের ক্ষেত্রে, যেকোনো ধরনের আঘাত বা ব্যথা প্রতিরোধের জন্য হালকা স্ট্রেচিং করতে হবে। আবার, যেকোনো ভারী কাজের হালকা অনুশীলন করে নেওয়া উচিত। একই সাথে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে ও হার্নিয়া প্রতিরোধে ভারী জিনিস ওঠানোর সময় সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।