শরীরের নিম্নাংশে ব্যথা (Lower body pain)

শেয়ার করুন

বর্ণনা

লক্ষণটি নিতম্বে ব্যথা, গ্লুটিয়াল পেইন (Gluteal pain) এবং পেরিনিয়াল পেইন (Perineal pain)ও  গ্রোইন পেইন (groin pain) নামেও পরিচিত।

পেরিনিয়াল পেইন পেরিনিয়াম পেইন (perineum pain) হিসেবেও পরিচিত। পুরুষদের ক্ষেত্রে অণ্ডকোষ এবং মলদ্বারের মধ্যবর্তী স্থানকে পেরিনিয়াম বলে। মহিলাদের ক্ষেত্রে পেরিনিয়াম বলতে যোনি থেকে মলদ্বারের মধ্যবর্তী অংশকে ধরা হয়। পুরুষ ও মহিলা উভয়েরই পেরিনিয়াম পেইন হতে পারে।

এই ব্যথা ৩-৪ মাসের বেশি স্থায়ী হলে তাকে ক্রনিক (chronic) বলা হয়। যদি ব্যথা এই সময়ের বেশি স্থায়ী হয়, তাহলে তা অ্যাকিউট (acute) হিসেবে বিবেচিত হয়।

মহিলারা জীবনের কোনো না কোনো পর্যায়ে এই ব্যথা অনুভব করে থাকে। বিশেষত বয়ঃসন্ধি  শুরু হবার পর মেয়েদের পেটের ও শ্রোণীর ব্যথা বেশি হয়ে থাকে। বিভিন্ন স্থানের ব্যথার কারণে এই ব্যথা হতে পারে, যেমন- জরায়ু, মূত্রাশয় ও অন্ত্রের ব্যথা।

কারণ

বিভিন্ন কারণে এই লক্ষণ দেখা দিতে পারে:  যেমন-

অ্যানাল ফিশার (Anal fissure) অ্যানাল ফিস্টুলা (Anal fistula)
অ্যাঞ্জাইনা (Angina) ক্রনিক ব্যাকপেইন (Chronic back pain)
হার্ট এ্যাটাক (Heart attack) পাইলস (Hemorrhoids)
পিত্তথলির পাথর (Gallstone) পেরিকার্ডাইটিস (Pericarditis)
অ্যানকাইলোজিং স্পন্ডিলাইটিস (Ankylosing spondylitis) সায়াটিকা (Sciatica)
স্পন্ডাইলোসিস (Spondylosis) এন্ডোকার্ডাইটিস (Endocarditis)
হার্ণিয়েটেড ডিস্ক (Herniated disk) ডিজেনারেটিভ ডিস্ক ডিজিজ (Degenerative disc disease)
ইনজুরি টু দি হিপ (Injury to the hip) এপিডিডাইমিটিস (Epididymitis)
ম্যালিগন্যান্ট হাইপারটেনশন (Malignant hypertension) মায়োসাইটিস (Myositis)
স্পন্ডিলাইটিস (Spondylitis) ক্রনিক পেইন ডিজঅর্ডার (Chronic pain disorder)
স্কোলিওসিস (Scoliosis) ফ্র্যাকচার অফ দি নেক (Fracture of the neck)
পেরিরেক্টাল ইনফেকশন/ অ্যানোরেক্টাল অ্যাবসেস (Perirectal infection/Anorectal abscess) ইনজুরি টু দি ট্রাঙ্ক (Injury to the trunk)

সংশ্লিষ্ট লক্ষণসমূহ

এই লক্ষণের সাথে অন্যান্য যে সকল লক্ষণ দেখা যেতে পারে সেগুলো হলোঃ

ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়

নিম্নলিখিত বিষয়গুলি শরীরের নিম্নাংশের ব্যথা হওয়ার ঝুঁকি বৃদ্ধি করে-

  • হার্নিয়া
  • ক্রনিক ইডিওপ্যাথিক পেলভিক পেইন (chronic idiopathic pelvic pain)
  • এনডোমেট্রিওসিস (endometriosis)

 

যারা ঝুঁকির মধ্যে আছে

লিঙ্গ: নারীদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা থাকে। পুরুষদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ১ গুণ কম।

জাত: হিস্প্যানিক ও কৃষ্ণাঙ্গদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ১ গুণ কম। শ্বেতাঙ্গ ও অন্যান্য জাতির মানুষের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা থাকে।