নিতম্বে ব্যথা (Hip pain)

শেয়ার করুন

বর্ণনা

বিভিন্ন কারণে এই সমস্যা হতে পারে। ঠিক কি স্থানে ব্যথা হচ্ছে তা দেহের অন্য কোনো মারাত্নক রোগ নির্দেশ করে। এর কারণে কুঁচকিতে ব্যথা হয়। সাধারণত নিতম্বের আশেপাশের টিস্যু, টেন্ডন, লিগামেন্ট ও পেশীতে সমস্যার কারণে নিতম্বে ব্যথা হয়ে থাকে।

কারণ

বিভিন্ন কারণে এই লক্ষণ দেখা যেতে পারেঃ যেমন-   

ভিটামিন ‘বি’ এর অভাব জনিত রোগ (Vitamin B deficiency) ক্রনিক ব্যাকপেইন (Chronic back pain)
অস্টিওআর্থ্রাইটিস (Osteoarthritis) অস্টিওপরোসিস/অস্থি ক্ষয় (Osteoporosis)
অ্যানকাইলোজিং স্পন্ডিলাইটিস (Ankylosing spondylitis) সিউডোহাইপোপ্যারাথাইরয়ডিজম (Pseudohypoparathyroidism)
ব্রুইস (Bruise) সায়াটিকা (Sciatica)
স্পন্ডাইলোসিস (Spondylosis) ফ্র্যাকচার অফ প্যাটেলা (Fracture of patella)
ফ্র্যাকচার অফ ভার্টিব্রা (Fracture of vertebra) টারনার সিন্ড্রোম (Turner syndrome)
হার্ণিয়েটেড ডিস্ক (Herniated disk) রিঅ্যাক্টিভ আর্থ্রাইটিস (Reactive arthritis)
বারসাইটিস (Bursitis) ডিজেনারেটিভ ডিস্ক ডিজিজ (Degenerative disc disease)
ক্রনিক নী পেইন (Chronic knee pain) ইনজুরি টু দি হিপ (Injury to the hip)
ডিজলোকেশন অফ দি হিপ (Dislocation of the hip) লাং কনটিউশন (Lung contusion)
মায়োসাইটিস (Myositis) নেক্রোটাইজিং ফ্যাসাইটিস (Necrotizing fasciitis)
ফাইব্রোমায়ালজিয়া (Fibromyalgia) মাস্কুলার ডিসট্রফি (Muscular dystrophy)
নিউরালজিয়া (Neuralgia) লাইম ডিজিজ (Lyme disease)
স্পন্ডিলাইটিস (Spondylitis) টেন্ডিনাইটিস (Tendinitis)
ফ্র্যাকচার অফ দি পেলভিস (Fracture of the pelvis) ফ্র্যাকচার অফ দি রিব (Fracture of the rib)
ক্রনিক পেইন ডিজঅর্ডার (Chronic pain disorder) ফ্র্যাকচার অফ দি নেক (Fracture of the neck)
ফ্র্যাকচার অফ দি লেগ (Fracture of the leg)

সংশ্লিষ্ট লক্ষণসমূহ

এই লক্ষণের সাথে অন্যান্য যেসকল লক্ষণ দেখা যেতে পারে সেগুলো হলোঃ

ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়

এ লক্ষণের জন্য ঝুকিপূর্ণ বিষয়গুলো হলোঃ

  • হিপ ফ্র্যাকচার
  • আর্থ্রাইটিস, অস্টিওআর্থ্রাইটিস, রিউমাটোয়েড আর্থ্রাইটিস এবং সোরিয়াটিক আর্থ্রাইটিস।
  • বার্সাইটিস (বার্সায় ইনফ্লামেশন) হলে।
  • অ্যাসেপ্টিক নেকরেসিস (নিতম্বে পর্যাপ্ত পরিমাণে রক্ত সরবরাহ না হলে)
  • হিপ জয়েন্টে টান লাগলে বা মচকে গেলে।
  • হিপে কোন ধরনের ইনফেকশন হলে বা আঘাত লাগলে।

যারা ঝুঁকির মধ্যে আছে

লিঙ্গঃ পুরুষদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ১ গুণ কম। মহিলাদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে।

জাতিঃ শ্বেতাঙ্গ ও অন্যান্য জাতিদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ১ গুণ কম।

সাধারণ জিজ্ঞাসা

উত্তরঃ সাধারণত এই ধরনের ব্যাথা হয় না। তবে অস্থিসন্ধির ইনফ্লামেশন বা কোনো ইমিউনোলজিক সমস্যার কারণে এই সমস্যা হতে পারে। এ অবস্থায় যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিৎ।

উত্তরঃ এই সমস্যার কারণে কোমর ও পিঠে ব্যথা হতে পারে।

হেলথ টিপস্‌

নিম্নলিখিত পন্থা অবলম্বন করে এই লক্ষণ প্রতিরোধ করা সম্ভবঃ

  • যেসব কাজ করলে ব্যথা বেশি হয় এমন কাজ এড়িয়ে যেতে হবে।
  • ইবিউপ্রোফেন বা অ্যাসিটামিনোফেন জাতীয় ঔষধ খেতে হবে।
  • দুই পায়ের মাঝে বালিশ রেখে ঘুমাতে হবে।
  • ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।
  • বেশিক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকা যাবে না।
  • নরম স্লিপার পড়তে হবে।