এ্যাটাক্সিয়া একটি স্নায়বিক ত্রুটি। স্নায়ুতন্ত্রের যে অংশ চলনে সহায়তা করে সে অংশে এই ত্রুটি দেখা দেয়। এই অবস্থায় মাংসপেশীর সমন্বয়তার অভাব দেখা দেয় এবং ব্যক্তি স্বাভাবিকভাবে নড়াচড়া করতে অসুবিধা হয়। এটি ডিস্টেক্সিয়া (dystaxia) নামেও পরিচিত। বিভিন্ন কারণে এ সমস্যা হতে পারে।
অ্যাকিউট সেরেবেলার এ্যাটাক্সিয়া (Acute cerebellar ataxia) শিশুদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। তবে এটি যেকোনো বয়সের ব্যক্তির হতে পারে। যেসকল কারণে এ সমস্যা দেখা দেওয়ার ঝুঁকি বৃদ্ধি পায় সেগুলো হলোঃ
ভাইরাল ইনফেকশন যেমনঃ চিকেনপক্স (chickenpox), এইচ-আই-ভি (HIV), এপ্সটেইন বার (Epstein-Barr) ও কক্সস্যাকি ভাইরাস (Coxsackie virus)
ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন, যেমন- লাইম ডিজিজ।
বিভিন্ন রাসায়নিক বা বিষাক্ত পদার্থের সংস্পর্শে আসা।
প্যারানিওপ্লাস্টিক সিন্ড্রোম (দেহের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা ক্যান্সার আক্রান্ত অংশে অবস্থিত সেরিবেলামকে আক্রমণ করে)
নির্দিষ্ট কিছু প্রতিষেধকের প্রভাবে।
যারা ঝুঁকির মধ্যে আছে
লিঙ্গঃ পুরুষদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে। মহিলাদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ১ গুণ কম।
জাতিঃ কৃষ্ণাঙ্গ ও শ্বেতাঙ্গদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে। হিস্প্যানিক ও অন্যান্য জাতির মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা একগুণ কম।