নড়াচড়া করতে সমস্যা হওয়া (Problems with movement)

শেয়ার করুন

বর্ণনা

এ্যাটাক্সিয়া একটি স্নায়বিক ত্রুটি। স্নায়ুতন্ত্রের যে অংশ চলনে সহায়তা করে সে অংশে এই ত্রুটি দেখা দেয়। এই অবস্থায় মাংসপেশীর সমন্বয়তার অভাব দেখা দেয় এবং ব্যক্তি স্বাভাবিকভাবে নড়াচড়া করতে অসুবিধা হয়। এটি ডিস্টেক্সিয়া (dystaxia) নামেও পরিচিত। বিভিন্ন কারণে এ সমস্যা হতে পারে।

কারণ

বিভিন্ন কারণে এই লক্ষণ দেখা যেতে পারেঃ যেমন

অ্যালঝেইমার ডিজিজ (Alzheimer's disease) ভিটামিন ‘বি১২’ এর অভাব জনিত রোগ (Vitamin B12 deficiency)
গনোরিয়া (Gonorrhea) স্ট্রোক (Stroke)
হাইপোগ্লাইসেমিয়া (Hypoglycemia) জুভেনাইল রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস (Juvenile rheumatoid arthritis)
পারকিনসন্স ডিজিজ (Parkinson disease) পেরিফেরাল নার্ভ ডিজঅর্ডার (Peripheral nerve disorder)
সেরিব্রাল এডিমা (Cerebral edema) বোন ক্যান্সার (Bone cancer)
সায়াটিকা (Sciatica) ফ্র্যাকচার অফ ভার্টিব্রা (Fracture of vertebra)
সেরিব্রাল পালসি (Cerebral palsy) গ্লুকোকরটিকোয়েড ডেফিসিয়েন্সি (Glucocorticoid deficiency)
হেমারথ্রোসিস (Hemarthrosis) হেমিপ্লেজিয়া (Hemiplegia)
কন্ড্রোম্যালেসিয়া অফ দি প্যাটেলা (Chondromalacia of the patella) হান্টিংটন ডিজিজ (Huntington disease)
ক্রনিক ইনফ্লামেটরী ডিমায়েলিনেটিং পলিনিউরোপ্যাথি (সি-আই-ডি-পি) (Chronic inflammatory demyelinating polyneuropathy (CIDP)) ইনজুরি টু দি হিপ (Injury to the hip)
ইনজুরি টু দি নী (Injury to the knee) জয়েন্ট ইফিউশন (Joint effusion)
এসেনশিয়াল ট্রেমর (Essential tremor) গুলেন বারে সিন্ড্রোম (Guillain Barre syndrome)
হেপাটিক এনসেফালোপ্যাথি (Hepatic encephalopathy) মাল্টিপল মায়েলোমা (Multiple myeloma)
মায়োসাইটিস (Myositis) ফ্ল্যাট ফিট (Flat feet)
মাল্টিপল স্ক্লেরোসিস (Multiple sclerosis) মাস্কুলার ডিসট্রফি (Muscular dystrophy)
হাইড্রোসেফালাস (Hydrocephalus) ইন্ট্রাসেরিব্রাল হেমোরেজ (Intracerebral hemorrhage)
ইন্ট্রাক্রেনিয়াল হেমোরেজ (Intracranial hemorrhage) অ্যালকোহল ইনটক্সিকেশন (Alcohol intoxication)
অ্যামাইওট্রোফিক ল্যাটেরাল স্ক্লেরোসিস (Amyotrophic lateral sclerosis (ALS)) স্পাইনোসেরিবেলার অ্যাটাক্সিয়া (Spinocerebellar ataxia)
হাইপারনেট্রেমিয়া (Hypernatremia) বিনাইন প্যারোক্সিজমাল পজিশনাল ভার্টিগো (বি-পি-পি-ভি) (Benign paroxysmal positional vertigo (BPPV))
স্ট্রিকচার অফ দি ইসোফ্যাগাস (Stricture of the esophagus) সাবডুরাল হেমারেজ (Subdural hemorrhage)
উইলসন ডিজিজ (Wilson disease) ফ্র্যাকচার অফ দি পেলভিস (Fracture of the pelvis)
বানিওন (Bunion) স্কোলিওসিস (Scoliosis)
ফ্র্যাকচার অফ দি লেগ (Fracture of the leg)

সংশ্লিষ্ট লক্ষণসমূহ

এই লক্ষণের সাথে অন্যান্য যেসকল লক্ষণ দেখা যেতে পারে সেগুলো হলোঃ

ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়

অ্যাকিউট সেরেবেলার এ্যাটাক্সিয়া (Acute cerebellar ataxia) শিশুদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। তবে এটি যেকোনো বয়সের ব্যক্তির হতে পারে। যেসকল কারণে এ সমস্যা দেখা দেওয়ার ঝুঁকি বৃদ্ধি পায় সেগুলো হলোঃ

  • ভাইরাল ইনফেকশন যেমনঃ চিকেনপক্স (chickenpox), এইচ-আই-ভি (HIV), এপ্সটেইন বার (Epstein-Barr) ও কক্সস্যাকি ভাইরাস (Coxsackie virus)
  • ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন, যেমন- লাইম ডিজিজ।
  • বিভিন্ন রাসায়নিক বা বিষাক্ত পদার্থের সংস্পর্শে আসা।
  • প্যারানিওপ্লাস্টিক সিন্ড্রোম (দেহের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা ক্যান্সার আক্রান্ত অংশে অবস্থিত সেরিবেলামকে আক্রমণ করে)
  • নির্দিষ্ট কিছু প্রতিষেধকের প্রভাবে।

যারা ঝুঁকির মধ্যে আছে

লিঙ্গঃ পুরুষদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে। মহিলাদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা  ১ গুণ কম।

জাতিঃ কৃষ্ণাঙ্গ ও শ্বেতাঙ্গদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে। হিস্প্যানিক ও অন্যান্য জাতির মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা একগুণ কম।

সাধারণ জিজ্ঞাসা

উত্তরঃ নিম্নলিখিত লক্ষণগুলো দেখা চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে-

  • ভারসাম্যহীনতা দেখা দেওয়া।
  • হাত, বাহু ও পায়ের পেশীর সম্বনয় না থাকা।
  • কথা অস্পষ্ট হয়ে যাওয়া।
  • হাঁটতে ও খাবার গিলতে অসুবিধা হওয়া।

হেলথ টিপস্‌

এই সমস্যাটি প্রতিরোধ করতে নিম্নলিখিত বিষয়গুলি অনুসরণ করা যেতে পারে-

  • কপার সমৃদ্ধ খাবার যেমন মাংস ও শাকসবজি খেতে হবে। কপার হাড় শক্ত রাখতে এবং সুগার ও আয়রনের কার্যকারিতা বাড়াতে সহায়তা করে।
  • পারদ, গ্যাসোলিন, আঠা ইত্যাদি রাসায়নিক ও বিষাক্ত পদার্থ থেকে দূরে থাকতে হবে।
  • ধূমপান এড়িয়ে চলতে হবে।
  • কম চর্বিযুক্ত খাবার খেতে হবে।
  • ব্যায়াম ও ডায়েটের মাধ্যমে ওজন ও কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।
  • ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখাতে হবে।