সেরিব্রাল এডিমা (Cerebral edema)

শেয়ার করুন

বর্ণনা

এই রোগ ব্রেইন ইডিমা, ব্রেইন ফুলে যাওয়া, সোয়েলিং অফ দি ব্রেইন এবং ওয়েট ব্রেইন নামে পরিচিত। এই অবস্থায় মস্তিষ্কে প্রচুর পরিমাণে ফ্লুইড বা তরল জমা হয়। ব্রেইন বা মস্তিষ্ক ইডিমার কারণে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় কারণ এটি স্কাল বা খুলি দ্বারা আবদ্ধ থাকে এবং প্রসারিত হতে পারে না। ফ্লুইড বা তরল জমাট বাধার কারণে ব্রেইনের টিস্যু ও খুলির উপর চাপ পড়ে। নবজাতক ও ছোট শিশুদের স্কালে ফন্টানেলি এবং সুচারস খুব নরম থাকে যার কারণে শিশুদের ব্রেইন ফুলে গেলে তাদের মাথার আকৃতি বড় হয়ে যায়। এই সমস্যার কারণে ব্রেইন টিস্যু ক্ষতিগ্রস্ত হতে থাকে তাই যত দ্রুত সম্ভব এই রোগের চিকিৎসা করাতে হবে।

কারণ

এই রোগ হওয়ার কারণগুলো হলোঃ 

  • ব্রেইন টিউমার।
  • কেমিক্যাল ইমব্যালেন্স।
  • ডায়াবেটিক কিটোঅ্যাসিডোসিস।
  • বিষাক্ত পদার্থের সংস্পর্শে থাকা।
  • মাথায় কোনো কারণে আঘাত পাওয়া।
  • মারাত্নক শারীরিক অসুস্থতা।
  • ইনফেকশন।
  • ম্যালিগনেন্ট হাইপারটেনশন।
  • অপিওয়েড ড্রাগ অ্যাবিউজ।
  • স্ট্রোক।

লক্ষণ

এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে চিকিৎসকেরা নিম্নলিখিত লক্ষণগুলি চিহ্নিত করে থাকেন:

ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়

PGlu এর পরিমাণ কমে গেলে মস্তিষ্কে গ্লুকোজের ঘনত্ব কম ও এর সাথে সম্পর্কিত বিপাকীয় কার্যাবলীর গতি ধীর হয়ে যায়। তাই PGlu এর পরিমাণ মাত্রাতিরিক্ত হারে কমে গেলে সেরিব্রাল ইডিমা হওয়ার ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়।

যারা ঝুঁকির মধ্যে আছে

লিঙ্গঃ পুরুষদের মধ্যে এই রোগ নির্ণয়ের সম্ভাবনা ১ গুণ কম। মহিলাদের মধ্যে এই রোগ নির্ণয়ের গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে।

জাতিঃ শ্বেতাঙ্গদের মধ্যে এই রোগ নির্ণয়ের গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে। কৃষ্ণাঙ্গ ও হিস্পানিকদের মধ্যে এই রোগ নির্ণয়ের সম্ভাবনা ১ গুণ কম। অন্যান্য জাতিদের মধ্যে এই রোগ নির্ণয়ের সম্ভাবনা ২ গুণ কম।

সাধারণ জিজ্ঞাসা

 ব্রেইন খুলি বা স্কাল দ্বারা আবদ্ধ থাকে তাই এটি  তরল জমার কারণে প্রসারিত হতে পারে না, এ কারণে  ইডিমা একটি মারাত্নক অবস্থার সৃষ্টি করে। বিভিন্ন উপায়ে এই সমস্যার সমাধান করা যায়। এই রোগ নিজে থেকেই সেরে উঠবে এমন আশা না করে যত দ্রুত সম্ভব নিউরোলজিস্টের শরণাপন্ন হতে হবে।

হেলথ টিপস্‌

 এই অবস্থায় যেসকল সতর্কতা মেনে চলতে হবে সেগুলো হলোঃ

  • মদ্যপান পরিহার করতে হবে।
  • সুষম খাবার খেতে হবে।
  • চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী মাল্টি-ভিটামিন গ্রহণ করতে হবে।

বিশেষজ্ঞ ডাক্তার

ডাঃ মোঃ কবিরুজ্জামান

নিউরোলজি ( স্নায়ুতন্ত্র) ( Neurology)

এমবিবিএস, (বিসিএস(স্বাস্থ্য), এমডি(নিউরোলজী)

ডাঃ মোঃ শহীদুল্লাহ(সবুজ)

নিউরোলজি ( স্নায়ুতন্ত্র) ( Neurology)

এমবিবিএস, এফসিপিএস(মেডিসিন), এমডি(নিউরোলজী)

অধ্যাপক ডাঃ মেজর জেনারেল কে এম ওমর হাসান(অবঃ)

মেডিসিন ( Medicine), নিউরোলজি ( স্নায়ুতন্ত্র) ( Neurology)

এমবিবিএস, এফসিপিএস(মেডিসিন), এফআরসিপি(গ্লাসগো)

ডাঃ মোঃ নূরুল আমিন খান শাহিন

নিউরোলজি ( স্নায়ুতন্ত্র) ( Neurology)

এমবিবিএস(ডিএমসি), এমডি(নিউরোলজি)(বিএসএমএমইউ)

অধ্যাপক ডাঃ মেজর জেনাঃ কে এম ওমর হাসান(অবঃ)

মেডিসিন ( Medicine), নিউরোলজি ( স্নায়ুতন্ত্র) ( Neurology)

এমবিবিএস, এফসিপিএস(মেডিসিন), এফআরসিপি(গ্লাসগো)

ডাঃ আনু নাঈম

মেডিসিন ( Medicine), নিউরোলজি ( স্নায়ুতন্ত্র) ( Neurology)

এম বি বি এস, এফ সি পি এস (মেডিসিন), এম ডি (নিউরোলজী)

অধ্যাপক ডাঃ মেজর জেনারেল (অবঃ) কে এম ওমর হাসান

মেডিসিন ( Medicine), নিউরোলজি ( স্নায়ুতন্ত্র) ( Neurology)

এমবিবিএস, এফসিপিএস(মেডিসিন), এফআরসিপি(গ্লাসগো), নিউরোলজী

ডাঃ রাশিমুল হক(রিমন)

মেডিসিন ( Medicine), নিউরোলজি ( স্নায়ুতন্ত্র) ( Neurology)

এমবিবিএস(ডিএমসি), এফসিপিএস(মেডিসিন), এমডি(নিউরোমেডিসিন)