লক্ষণটি পেটে খাবার না রাখতে পারা এবং এমেসিস (Emesis) হিসেবেও পরিচিত।
মুখের মধ্য দিয়ে এবং কিছু ক্ষেত্রে নাকের মধ্য দিয়ে পাকস্থলীতে অবস্থিত বস্তু দ্রুত নির্গত হওয়াকে বমি করা বোঝায়। বমি বিভিন্ন রোগের লক্ষণ হিসেবে হতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে এটি গ্যাসট্রাইটিস বা বিষক্রিয়ার প্রতিক্রিয়া হিসেবেও হয়ে থাকে। এছাড়া ব্রেন টিউমার, খুলির ভিতরকার চাপ বৃদ্ধি এবং আয়োনাইজিং রেডিয়েশনের সংস্পর্শের কারণেও বমি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। বমি বমি ভাব হওয়াকে নওসিয়া বলা হয়। বমি হওয়ার পূর্বে অনেক ক্ষেত্রে এমন অনুভূতি হতে পারে। তবে এমন অনুভূতি হওয়ার পর সব সময় বমি হয় না। নওসিয়া ও বমি কমনোর জন্য অনেক সময় অ্যান্টিএমেটিক ঔষধ (Antiemetics) প্রয়োজন হয়। বমি হওয়ার সমস্যা তীব্র রূপ ধারণ করলে এবং এজন্য পানিশূন্যতা দেখা দিলে শিরায় স্যলাইন নেওয়া প্রয়োজন হতে পারে।
বিভিন্ন ধরনের ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, পরজীবি, ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ও রোগের জন্য বমি হয়ে থাকে। হজম করতে অসুবিধা হয় এমন খাদ্য (যেমন- বেশি পরিমাণ মিষ্টি) এবং ঠিক মতো সিদ্ধ না হওয়া মাছ-মাংস খেলে বমি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
যারা ঝুঁকির মধ্যে আছে
লিঙ্গ: পুরুষদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা থাকে। নারীদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ১ গুণ কম।
জাতি: শ্বেতাঙ্গদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ১ গুণ কম। কৃষ্ণাঙ্গ, হিস্প্যানিকদের ও অন্যান্য জাতির মানুষের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা থাকে।