ম্যালেরিয়া (Malaria)

শেয়ার করুন

বর্ণনা

ম্যালেরিয়া পরজীবী দ্বারা সৃষ্ট একটি রোগ। এটি ম্যালেরিয়ার জীবাণু বহনকারী মশার কামড়ের কারণে হয়ে থাকে। এছাড়া এর কারণে শরীর ঠাণ্ডা হয়ে যায় এবং জ্বর আসে। ম্যালেরিয়ার কারণে প্রতি বছর সারা বিশ্বে প্রায় ১০ লক্ষ মানুষ মৃত্যু বরণ করে থাকে। নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলে ম্যালেরিয়ার প্রকোপ খুব বেশি দেখা যায় না, তবে ট্রপিকাল ও সাব-ট্রপিকাল অঞ্চলে এর প্রদুর্ভাব এখনও প্রকট। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে ঘুমানোর সময় মশারি ব্যবহারের মাধ্যমে ম্যালেরিয়ার সংক্রমন নিয়ন্ত্রণ সম্ভব। এছাড়া গবেষকরা ম্যালেরিয়া প্রতিরোধক ভ্যাকসিন/ টিকা আবিষ্কারের চেষ্টা করে যাচ্ছেন।

কারণ

ম্যালেরিয়ার জীবাণু বহনকারী মশার কামড়ের কারণে ম্যালেরিয়া হয়ে থাকে। যেসব মশায় ম্যালেরিয়ার জীবাণু থাকে না সেগুলি ম্যালেরিয়ায় আক্রাক্ত ব্যক্তিকে কামড়ালে ম্যালেরিয়ার জীবাণু সেই সব মশাগুলিতে মধ্যে প্রবেশ করে এবং পরবর্তীতে এই  মশার কামড়ের কারণে সুস্থ্য ব্যক্তির ম্যালেরিয়া হয়ে থাকে।


লক্ষণ

এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে চিকিৎসকেরা নিম্নলিখিত লক্ষণগুলি চিহ্নিত করে থাকেন:

চিকিৎসা

 চিকিৎসকেরা এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের নিম্নলিখিত ঔষধগুলি গ্রহণ করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন:

chloroquine doxycycline
mefloquine primaquine phosphate
tetracycline quinine
quinidine

চিকিৎসকেরা এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের নিম্নলিখিত টেস্টগুলি করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন:

সি-বি-সি (কমপ্লিট ব্লাড কাউন্ট) (CBC, Complete Blood Count)
ম্যালেরিয়াল প্যারাসাইট (Malarial Parasite, MP)
পি-বি-এফ (পেরিফেরাল ব্লাড ফিল্ম) (PBF (Peripheral Blood Film))
রেটিকুলোসাইট কাউন্ট (Reticulocyte count)
লাম্বার পাংচার (এল-পি) (Lumber Puncture (LP))
আই-সি-টি ফর ম্যালেরিয়া (ICT for Malaria)
এক্স-রে, চেস্ট পি-এ ভিউ (X-ray, Chest P/A view)
সেরাম ল্যাক্টেট ডিহাইড্রোজিনেজ (Serum lactate dehydrogenase, LDH)

ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়

ম্যালেরিয়া হওয়ার ক্ষেত্রে ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়গুলি হল:

  • শিশুদের ম্যালেরিয়া বেশি হয়ে থাকে।
  • ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত এলাকায় গেলে এই রোগ হবার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
  • দরিদ্রতা, স্বাস্থ্য সম্পর্কে জ্ঞানের অভাব ইত্যাদি কারণেও ম্যালেরিয়া হবার ঝুঁকি বেড়ে যায়।

যারা ঝুঁকির মধ্যে আছে

লিঙ্গঃ পুরুষদের মধ্যে এই রোগ নির্ণয়ের গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে। মহিলাদের মধ্যে এই রোগ নির্ণয়ের সম্ভাবনা ১ গুণ কম।

জাতিঃ শ্বেতাঙ্গদের মধ্যে এই রোগ নির্ণয়ের গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে। কৃষ্ণাঙ্গদের মধ্যে এই রোগ নির্ণয়ের গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে। হিস্প্যানিকদের মধ্যে এই রোগ নির্ণয়ের গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যান্য জাতির  মধ্যে এই রোগ নির্ণয়ের সম্ভাবনা ৫ গুণ কম।

সাধারণ জিজ্ঞাসা

উত্তরঃ ম্যালেরিয়া ভালো হওয়া সম্ভব।  সঠিকভাবে নির্ণয় এবং চিকিৎসা করা হলে ম্যালেরিয়া সম্পূর্ণভাবে নিরাময় সম্ভব। ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার যে কোনো পর্যায়ে এ চিকিৎসা করা যেতে পারে। প্রাথমিকভাবে ম্যালেরিয়া প্রতিরোধ করাও সম্ভব।

হেলথ টিপস্‌

ম্যালেরিয়ার জীবাণুবাহী মশার সংখ্যা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে ম্যালেরিয়ার প্রাদুর্ভাব কমানো সম্ভব। যেসব স্থানে ম্যালেরিয়া রোগটি বেশি হয় সেসব স্থানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।

  • ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত মশা প্রতিরোধ করার জন্য ঘরে পতঙ্গনাশক স্প্রে ব্যবহার করতে হবে।
  • মশারি ব্যবহার করতে হবে, বিশেষ করে যারা এই রোগে আক্রান্ত হয়েছে তাদেরকে অবশ্যই মশারি ব্যবহার করতে হবে। গর্ভবতী মহিলা এবং বাচ্চাদেরও মশারি ব্যবহার করতে হবে।
  • মশারি ব্যবহার করার পরেও শরীর ঢেকে রাখতে হবে।

বিশেষজ্ঞ ডাক্তার

জেঃ অধ্যাপক ডাঃ মোঃ আজিজুল ইসলাম

মেডিসিন ( Medicine), অঙ্কোলজি ( ক্যান্সার) ( Oncology)

এমবিবিএ(ঢাকা),, এফসিপিএস(মেডিসিন) , ওজেটি(মেডিসিন অনকোলজী)

ডাঃ মোঃ মোতাহার হোসেন

মেডিসিন ( Medicine)

এমবিবিএস, বিসিএস(স্বাস্থ্য), এফসিপিএস(মেডিসিন)

অধ্যাপক ডাঃ মোঃ রওশন আলী

মেডিসিন ( Medicine), কার্ডিওলজি ( হার্ট) ( Cardiology)

এমবিবিএস, এমসিপিএস, ডিটিসিডি, এফসিপিএস(মেড), এমডি(কার্ড), এফআর সিপি(এডিন), এফএসিপি(ইউএসএ), এফএসিসি(ইউএসএ)

ডাঃ আতিয়া সাঈদ

মেডিসিন ( Medicine), গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজি ( খাদ্যনালী, পরিপাকতন্ত্র) ( Gastroenterology)

এমবিবিএস, এফসিপিএস(মেডিসিন), এমডি(গ্যাস্ট্রো)

ডাঃ মোহাম্মদ উল্লাহ্‌ ফিরোজ

মেডিসিন ( Medicine), কার্ডিওলজি ( হার্ট) ( Cardiology)

এমবিবিএস, এমডি(কার্ডিওলজী), এফসিপিএস(মেডিসিন)

অধ্যাপক ব্রিঃ জেনাঃ ডাঃ আবদুল্লাহ আল ফারুক

মেডিসিন ( Medicine), পালমোনোলজি ( ফুসফুস) ( Pulmonology)

এমবিবিএস , এফসিপিএস(মেডিসিন), এফআরসিপি(গ্লাসগো), ফেলো পালমনোলজি(চীন)

ডাঃ মোঃ শাহীদুর রহমান খাঁন

মেডিসিন ( Medicine), পালমোনোলজি ( ফুসফুস) ( Pulmonology)

এমবিবিএস, এমসিপিএস(মেডিসিন), এফসিপিএস(মেডিসিন), এমডি(চেষ্ট), এফসিসিপি(ইউএসএ)

ডাঃ সুভাষ চন্দ্র ভাদুড়ী

মেডিসিন ( Medicine)

এমবিবিএস, , এফসিপিএস(মেডিসিন), বিসিএস(স্বাস্থ্য)