পিঠের ব্যথা (Back pain)

শেয়ার করুন

বর্ণনা

পিঠের ব্যথা একটি সাধারণ সমস্যা। প্রায় সকল ব্যক্তিই জীবনের কোনো না কোনো পর্যায়ে পিঠে ব্যথা অনুভব করে থাকে। এই সমস্যার কারণে অনেকেরই চিকিৎসকের কাছে যেতে হয়। তবে পিঠের ব্যথা কমানো বা প্রতিরোধ করা সম্ভব। আপনি যদি এই ব্যথা প্রতিরোধ করতে না পারেন, তাহলে কিছু সাধারণ ঘরোয়া চিকিৎসা ও শরীরের ক্রিয়াশীলতা স্বাভাবিক রাখার মাধ্যমে পিঠের ব্যথা থেকে কয়েক সপ্তাহের মধ্যে মুক্ত হতে পারেন, এবং দীর্ঘ সময় ধরে পিঠকে স্বাভাবিক অবস্থায় রাখতে পারেন। পিঠের ব্যথার চিকিৎসার জন্য খুব কম ক্ষেত্রে সার্জরির প্রয়োজন হয়।

কারণ

বিভিন্ন কারণে এই লক্ষণ দেখা যেতে পারেঃ যেমন-

যোনিদ্বারের ক্যান্সার (Vulvar cancer) ক্রনিক প্যানক্রিয়াটাইটিস (Chronic pancreatitis)
ভ্যালে ফিভার (Valley fever) ক্রনিক ব্যাকপেইন (Chronic back pain)
ম্যালেরিয়া (Malaria) মেনিনজাইটিস (Meningitis)
মাংসপেশীর খিঁচুনি বা টান (Muscle spasm) টেস্টিকুলার টরশন/মোচড়ানো অণ্ডকোষ (Testicular torsion)
অস্টিওআর্থ্রাইটিস (Osteoarthritis) অস্টিওপরোসিস/অস্থি ক্ষয় (Osteoporosis)
পিত্তথলির পাথর (Gallstone) কিডনিতে পাথর (Kidney stone)
জুভেনাইল রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস (Juvenile rheumatoid arthritis) পেল্ভিক ইনফ্লামেটোরি ডিজিজ (Pelvic inflammatory disease (PID))
পেরিটোনাইটিস (Peritonitis) ফুসফুসের অ্যাবসেস/পূঁজ (Abscess of the lung)
অ্যানকাইলোজিং স্পন্ডিলাইটিস (Ankylosing spondylitis) প্রিয়াপিজম (Priapism)
গর্ভকালীন সমস্যা (Problem during pregnancy) বিনাইন কিডনি সিস্ট (Benign kidney cyst)
পেরিফেরাল নার্ভ ডিজঅর্ডার (Peripheral nerve disorder) ব্রুইস (Bruise)
পলিসিস্টিক কিডনি ডিজিজ (Polycystic kidney disease) বোন ক্যান্সার (Bone cancer)
সায়াটিকা (Sciatica) সিকেল সেল অ্যানিমিয়া (Sickle cell anemia)
ডিজলোকেশন অফ ভার্টিব্রা (Dislocation of vertebra) স্পন্ডাইলোসিস (Spondylosis)
ফ্র্যাকচার অফ ভার্টিব্রা (Fracture of vertebra) ট্রাইকাসপিড ভাল্ভ ডিজিজ (Tricuspid valve disease)
কোলিডোকোলিথায়াসিস (Choledocholithiasis) অ্যাড্রেনাল অ্যাডেনোমা (Adrenal adenoma)
রেনোড ডিজিজ (Raynaud disease) হার্ণিয়েটেড ডিস্ক (Herniated disk)
রিঅ্যাক্টিভ আর্থ্রাইটিস (Reactive arthritis) ইডিওপ্যাথিক অ্যাবসেন্স অফ মেন্সট্রুয়েশন (Idiopathic absence of menstruation)
ব্র্যাকিয়াল নিউরাইটিস (Brachial neuritis) রেস্টলেস লেগ সিন্ড্রোম (Restless leg syndrome)
হান্টিংটন ডিজিজ (Huntington disease) ডিজেনারেটিভ ডিস্ক ডিজিজ (Degenerative disc disease)
ক্রনিক নী পেইন (Chronic knee pain) ইনজুরি টু দি অ্যাবডোমেন (Injury to the abdomen)
কনকাশন (Concussion) প্লুরাল ইফিউশন (Pleural effusion)
এমফাইসিমা (Emphysema) নিউমোথোরাক্স (Pneumothorax)
এমপায়েমা (Empyema) ডিজলোকেশন অফ দি হিপ (Dislocation of the hip)
ইনজুরি টু দি স্পাইনাল কর্ড (Injury to the spinal cord) ডিজলোকেশন অফ দি ভার্টিব্রা (Dislocation of the vertebra)
ডিজহাইড্রোসিস (Dyshidrosis) পালমোনারী এমবলিজম (Pulmonary embolism)
এপিডুরাল হেমারেজ (Epidural hemorrhage) পায়েলোনেফ্রাইটিস (Pyelonephritis)
স্পাইনা বিফিডা (Spina bifida) ভলভুলাস (Volvulus)
অ্যাবডোমিনাল অ্যাওর্টিক অ্যানিউরিজম (Abdominal aortic aneurysm) লাং কনটিউশন (Lung contusion)
অ্যাকালাসিয়া (Achalasia) হায়াটাল হার্ণিয়া (Hiatal hernia)
মায়োসাইটিস (Myositis) ফাইব্রোমায়ালজিয়া (Fibromyalgia)
নিউরালজিয়া (Neuralgia) অ্যামাইওট্রোফিক ল্যাটেরাল স্ক্লেরোসিস (Amyotrophic lateral sclerosis (ALS))
স্পন্ডিলাইটিস (Spondylitis) স্প্রেইন অর স্ট্রেইন (Sprain or strain)
হাইপোনেট্রেমিয়া (Hyponatremia) প্যাজেট ডিজিজ (Paget disease)
সেরিঙ্গোমায়েলিয়া (Syringomyelia) টরটিকোলিস (Torticollis)
ভালভোডাইনিয়া (Vulvodynia) ফ্র্যাকচার অফ দি পেলভিস (Fracture of the pelvis)
ফ্র্যাকচার অফ দি রিব (Fracture of the rib) ক্রনিক পেইন ডিজঅর্ডার (Chronic pain disorder)
স্কোলিওসিস (Scoliosis) পেলভিক ফিস্টুলা (Pelvic fistula)
ইনজুরি টু ইন্টারনাল অরগান (Injury to internal organ) ইনজুরি টু দি ট্রাঙ্ক (Injury to the trunk)

সংশ্লিষ্ট লক্ষণসমূহ

এই লক্ষণের সাথে অন্যান্য যেসকল লক্ষণ দেখা যেতে পারে সেগুলো হলোঃ

ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়

যে কোনো ব্যক্তিরই পিঠে ব্যথা হতে পারে। এমনকি শিশু-কিশোররাও এই সমস্যায় ভুগতে পারে। ধারণা করা হয় যে, শরীরের অতিরিক্ত ওজন, ব্যায়ামের অভাব এবং সঠিকভাবে ভারী বস্তু উত্তোলন না করার কারণে পিঠে ব্যথা হয়ে থাকে। তবে গবেষণায় এই বিষয়গুলির নিশ্চয়তা প্রমাণিত হয়নি। এছাড়া বিষণ্নতা এবং উদ্বিগ্নতার মতো মানসিক রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের পিঠে ব্যথা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তবে ঠিক কি কারণে মানসিক রোগ পিঠে ব্যথার ঝুঁকি বৃদ্ধি করে, সে ব্যাপারে এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

  

যারা ঝুঁকির মধ্যে আছে

লিঙ্গ: পুরুষ ও নারী উভয়ের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পরতা সম্ভাবনা থাকে

জাত:  শ্বেতাঙ্গ ও কৃষ্ণাঙ্গদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পরতা সম্ভাবনা থাকে। হিস্প্যানিক এবং অন্যান্য জাতির মানুষের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ১ গুণ কম।

সাধারণ জিজ্ঞাসা

উত্তরঃ  একজন ব্যক্তির বয়স বৃদ্ধি পেলে তার স্নায়ু শক্ত হয়ে যেতে পারে বা অন্ত্রের অন্যান্য  সমস্যা হতে পারে। এছাড়া কোষ্টকাঠিন্যের সাথে তার পিঠে ব্যথা সৃষ্টি হতে পারে। আপনার এ ধরনের  কোনো সমস্যা থাকলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত। আপনার কোনো চিকিৎসা নেওয়া প্রয়োজন কীনা, তা চিকিৎসক আপনার লক্ষণগুলি দেখার পর নির্ধারণ করবেন।

উত্তরঃ  পিঠের ব্যথার কারণের উপর ভিত্তি করে এর চিকিৎসা বিভিন্ন ধরনের হতে পারে, যেমন- ব্যায়াম, থেরাপি, ঔষধ, কায়রোপ্র্যাকটিক থেরাপি (chiropractic therapy), ইনজেকশন এবং সার্জারি। সবচেয়ে সহজ উপায় হলো ব্যায়াম এবং থেরাপি। আপনার এ ধরনের সমস্যা থাকলে সেটির সঠিক চিকিৎসার জন্য সাধারণ চিকিৎসক বা মেরুদণ্ড-বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

হেলথ টিপস্‌

আপনার শারীরিক অবস্থার উন্নতি ঘটিয়ে এবং শরীরের স্বাভাবিক ক্রিয়াশীলতা বজায় রেখে আপনি পিঠের ব্যথা রোধ করতে পারেন।

আপনার পিঠ স্বাভাবিক ও সুস্থ রাখতে নিম্নোক্ত বিষয়গুলি অনুসরণ করুন:

  • ব্যায়াম: নিয়মিত সাধারণ কিছু ব্যায়াম(যেগুলি পিঠের উপর চাপ ফেলে না) করলে পিঠ সুস্থ ও স্বাভাবিক থাকে, এবং মাংসপেশীর সক্রিয়তা বাড়ে। হাঁটা ও সাঁতার কাটা পিঠের জন্য খুব উপকারী। আপনার কোন ধরনের ব্যায়াম করা উচিৎ, সে ব্যাপারে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
  • মাংসপেশীর শক্তি ও নমনীয়তা বৃদ্ধি: পেট এবং পিঠের ব্যায়াম এই স্থানের মাংসপেশীগুলিকে সঠিকভাব একত্রে কাজ করতে সাহায্য করে। নিতম্ব এবং পায়ের উপরের অংশের নমনীয়তা শ্রোণীর/হিপের হাড়গুলিকে সঠিকভাবে একত্রে বিন্যস্ত হতে সাহায্য করে। আপনার পিঠে কেমন অনুভূতি হচ্ছে, তা এই বিষয়টির উপর নির্ভর করে।
  • শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণ: শরীরের ওজন বৃদ্ধি পেলে পিঠের মাংসপেশীর উপর চাপ বৃদ্ধি পায়। তাই পিঠের ব্যথার ঝুঁকি কমাতে শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা উচিঁৎ।