ফুসফুসের আবরণ সৃষ্টিকারী টিস্যুর দুই স্তরের মধ্যবর্তী স্থানকে প্লুরাল স্পেস (pleural space) বলে। এই স্থানে তরল জমা হওয়াকে প্লুরাল ইফিউশন বলা হয়। রোগটি পালমোনারি ইফিউশন (pulmonary effusion) হিসেবেও পরিচিত।
এই রোগ সৃষ্টিকারী তরলকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়- ১. ট্রান্সুডেট ( Transudate) ও ২. এক্সুডেট (exudate)। ট্রান্সুডেট সাধারণত প্লাজমার আলট্রাফিলট্রেট (ultrafiltrate) দ্বারা সৃষ্টি হয়। ভাসকুলার হাইড্রোসট্যাটিক ফোর্স (vascular hydrostatic force) এবং অনকটিক ফোর্সের মধ্যে (oncotic force) ভারসাম্যহীনতার কারণে এমন হয়ে থাকে। অপরদিকে এক্সুডেট সাধারণত ইনফ্লামেশনজনিত সমস্যার কারণে উৎপন্ন হয়, যেমন- ফুসফুসের ইনফেকশন বা ক্যান্সার। এক্সুডেট দ্বারা সৃষ্ট প্লুরাল ইফিউশন সাধারণত বেশি গুরুতর হয়ে থাকে, এবং এর চিকিৎসা করাও কঠিন।
কারণ
বিভিন্ন শারীরিক সমস্যার কারণে প্লিউরাল ইফিউশন হতে পারে, যেমন-
কনজেস্টিভ হার্ট ফেইলিওর
নিউমোনিয়া
লিভারের রোগ [সিরোসিস]
কিডনি রোগের শেষ পর্যায়
নেফ্রোটিক সিনড্রোম
ক্যানসার
পালমোনারি এমবলিজম
লুপাস ও অন্যান্য অটোইমিউন রোগ
লক্ষণ
এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে চিকিৎসকেরা নিম্নলিখিত লক্ষণগুলি চিহ্নিত করে থাকেন: