গলা বা শ্বাসনালীতে ক্ষতিকর/উত্তেজক কোনো পদার্থের (Irritant) উপস্থিতির কারণে কাশি হয়ে থাকে। এই ক্ষতিকর/উত্তেজক পদার্থের (Irritant) উপস্থিতির কারণে মস্তিষ্ক থেকে তলপেট ও বুকের পেশীতে সংকেত পৌঁছায় যাতে ফুসফুস থেকে প্রবল বাতাস বা নিঃশ্বাসের সাহায্যে উত্তেজক পদার্থটি বের হয়ে আসে।
কাশি হলো এমন একটি শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া যা আকস্মিকভাবে হয়ে থাকে ও যে প্রক্রিয়ার সাহায্যে শ্বাসনালী থেকে যেকোনো দূষিত পদার্থ ও জীবাণু বাইরে বেরিয়ে আসে। কাশির এই প্রক্রিয়াটি সাধারণত তিনটি পর্যায়ে হয়ে থাকে। প্রথম পর্যায়ে আমরা শ্বাস গ্রহণ করি, দ্বিতীয় পর্যায়ে বাতাস আবদ্ধ শ্বাসরন্ধ্রে চাপ সৃষ্টি করে এবং তৃতীয় ও শেষ পর্যায়ে ফুসফুস থেকে আবদ্ধ শ্বাসরন্ধ্রের ভেতর দিয়ে জোরপূর্বক সশব্দে বাতাস বেরিয়ে আসে, যাকে আমরা কাশি বলে থাকি। কাশি ইচ্ছাকৃত বা স্বতঃস্ফূর্ত হতে পারে। কাশি বা কফ স্বল্পদিনের জন্য হলে তা দেহের তেমন কোনো ক্ষতি করে না। তবে এটি কয়েক সপ্তাহ বা এর বেশিদিন স্থায়ী হলে ও কফের সাথে রক্ত গেলে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। কাশি দীর্ঘদিন স্থায়ী হলে তা বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সৃষ্টি করে, যেমন- নিদ্রাহীনতা, মাথাব্যথা, মূত্র নিয়ন্ত্রণে রাখতে অসামর্থ্য হওয়া ও পাঁজরের ক্ষতি।
ধূমপায়ীদের কাশি হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। এমনকি সিগারেটের ধোঁয়ার কারণেও কাশি ও ফুসফুসের ক্ষতি হতে পারে।
যারা ঝুঁকির মধ্যে আছে
লিঙ্গ: পুরুষদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে। মহিলাদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ১ গুণ কম।
জাতি: শ্বেতাঙ্গদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ১ গুণ কম। কৃষ্ণাঙ্গ, হিস্প্যানিক ও অন্যান্য জাতির মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে।
হেলথ টিপস্
নিম্নলিখিত উপায়ে কাশি/কফ প্রতিরোধ করা সম্ভব:
অ্যালার্জেন বা যেসকল পদার্থের সংস্পর্শে অ্যালার্জি হতে পারে সেগুলো থেকে দূরে থাকতে হবে।
ধূমপান পরিহার করতে হবে। কেননা ধূমপানের কারণে ক্রনিক ব্রঙ্কাইটিস হতে পারে ও কাশি আরও মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে।
এসিড রিফ্লাক্সের কারণেও কাশি হতে পারে। তাই এক্ষেত্রে খাদ্যাভাসে বিভিন্ন পরিবর্তন আনতে হবে। যেমন- একেবারে অনেক বেশি খাওয়া যাবে না। স্বল্প পরিমাণে কিছুক্ষণ পর পর খেতে হবে। ঘুমানোর কমপক্ষে তিন থেকে চার ঘন্টা আগে খেতে হবে এবং ঘুমানোর সময় মাথা শরীর থেকে উপরে রাখতে হবে।