শ্বাসপ্রশ্বাসের সময় শব্দ হওয়া (Wheezing)

শেয়ার করুন

বর্ণনা

কখনো কখনো  শ্বাস-প্রশ্বাসের সময় কর্কশ ও বাঁশির ন্যায় আওয়াজ হয়। চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় এটি সিবিল্যান্ট রঙ্কাই (sibilant rhonchi) নামে পরিচিত। শ্বাসনালী সরু হয়ে গেলে, শ্বাসনালীতে কোনো কারণে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হলে অথবা শ্বাস-প্রশ্বাসের সময় শ্বাসনালীতে বাতাসের বেগ বেড়ে গেলে এই ধরনের আওয়াজের সৃষ্টি হয়। সাধারণত ফুসফুসের রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির এই সমস্যা বেশি হয়ে থাকে। শ্বাস-প্রশ্বাসের সময় শব্দ হওয়ার প্রধান কারণ অ্যাজমা অ্যাটাক। তবে এটি ফুসফুসের ক্যান্সারেরও একটি লক্ষণ হতে পারে।

কারণ

বিভিন্ন কারণে এই লক্ষণ দেখা যেতে পারেঃ যেমন-

সংশ্লিষ্ট লক্ষণসমূহ

এই লক্ষণের সাথে অন্যান্য যেসকল লক্ষণ দেখা যেতে পারে সেগুলো হলোঃ

ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়

যেকোনো ব্যক্তির শ্বাস-প্রশ্বাসের সময় শিসের মত আওয়াজ হতে পারে। তবে কয়েকটি বিষয়ের প্রভাবে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার ঝুঁকি বৃদ্ধি পেতে পারে। যেমন- অ্যালার্জি, ক্যান্সার বা অ্যাজমায় আক্রান্ত ব্যক্তির এ লক্ষণ দেখা দেওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। এছাড়াও, ডে-কেয়ার বা চাইল্ড কেয়ারে থাকে এমন শিশু ও ধূমপায়ীদের ক্ষেত্রে এ লক্ষণ দেখা দেওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে।

যারা ঝুঁকির মধ্যে আছে

লিঙ্গঃ পুরুষদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে। মহিলাদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ১ গুণ কম।

জাতিঃ শ্বেতাঙ্গদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ‌১ গুণ কম। কৃষ্ণাঙ্গ, হিস্প্যানিক ও অন্যান্য জাতির মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে।

হেলথ টিপস্‌

শ্বাস-প্রশ্বাসের সময় শব্দ হলে তা নিয়ন্ত্রণ করতে নিম্নলিখিত বিষয়গুলি অনুসরল করুন-

  • ইনফ্লুয়েঞ্জা, সর্দি-কাশি বা ফুসফুসের ইনফেকশনে আক্রান্ত ব্যক্তির থেকে দূরে থাকতে হবে। কেননা এই ইনফেকশন ছোঁয়াছে হয়ে থাকে।
  • সিগারেটের ধোঁয়া, ধূলাবালি ও ফুলের রেণুর মতো যেসব পদার্থের সংস্পর্শে আসলে  এ সমস্যার আরো অবনতি হতে পারে, সেগুলি থেকে দূরে থাকতে হবে।
  • ধূমপান ত্যাগ করতে হবে।
  • ইনফ্লুয়েঞ্জা ও নিউমোনিয়া প্রতিরোধের জন্য ভ্যাকসিনেশন বা প্রতিষেধক নিতে হবে।
  • শিশুদের প্রয়োজনীয় টিকা ও প্রতিষেধক দিতে হবে।
  • চিকিৎসকের নির্দেশ অনুযায়ী ঔষধ সেবন করতে হবে।