নাক বদ্ধ হয়ে যাওয়া (Nasal congestion)

শেয়ার করুন

বর্ণনা

লক্ষণটি অতিরিক্ত শ্লেষ্মা ও নাক আটকে যাওয়া হিসেবেও পরিচিত।

নাক বদ্ধ হয়ে যাওয়া বলতে নাকের ভিতরের অংশ বদ্ধ হয়ে যাওয়াকে বোঝায়। সাধারণত রক্তনালীর ইনফ্লামেশনের জন্য নাকের ভিতরের আবরণ সৃষ্টিকারী ঝিল্লির ফুলে ওঠার কারণে এই সমস্যা হয়ে থাকে। এই সমস্যার সাথে সর্দি দেখা দিতে পারে, নাও দিতে পারে।

নাক বদ্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে প্রাপ্তবয়স্ক ও বেশি বয়সের শিশুদের কিছুটা বিরক্তির সৃষ্টি হয়। তবে অল্পবয়স্ক শিশুদের জন্য এই সমস্যা গুরুতর হতে পারে। সমস্যাটির জন্য শিশুদের শ্বাসকষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

কারণ

বিভিন্ন কারণে এই লক্ষণ দেখা যেতে পারেঃ যেমন-           

অ্যাকিউট সাইনোসাইটিস (Acute sinusitis) অ্যালার্জি জনিত কনজাঙ্কটিভাইটিস (Allergic Conjunctivitis)
অ্যাজমা (Asthma) উকুন সমস্যা (Lice)
সাধারণ সর্দি-কাশি (Common cold) কনজাঙ্কটিভাইটিস (Conjunctivitis)
ক্রনিক অবস্ট্রাক্টিভ পালমোনারি ডিজিজ (Chronic obstructive pulmonary disease, COPD) টনসিল ইনফেকশন (Tonsillitis)
নাকের পলিপ (Nasal polyp) ডায়পার র‍্যাশ/ফুসকুড়ি (Diaper rash)
গলার ইনফেকশন (Strep throat) কান পাকা/কানের প্রদাহ (Otitis media)
ফ্লু (Flu) আবহাওয়ার পরিবর্তনজনিত এ্যালার্জি (Seasonal allergies)
খাবারে অ্যালার্জি (Food allergy) ল্যারিঞ্জাইটিস/বাকযন্ত্রের প্রদাহ (Laryngitis)
ল্যাক্টোজ ইনটলারেন্স/ দুগ্ধজাত খাবারের প্রতি অসহিষ্ণুতা (Lactose intolerance) ফ্যারিঞ্জাইটিস (Pharyngitis)
অ্যাকিউট অটাইটিস মিডিয়া (Acute otitis media) ব্রঙ্কিয়েক্টেসিস (Bronchiectasis)
পা্লমোনারী কঞ্জেশন (Pulmonary congestion) পালমোনারী ইওসিনোফিলিয়া (Pulmonary eosinophilia)
ক্রনিক সাইনোসাইটিস (Chronic sinusitis) ইনটেস্টাইনাল ম্যালঅ্যাবজর্পশন (Intestinal malabsorption)
জি-৬-পি-ডি এনজাইম ডেফিসিয়েন্সি (G6PD enzyme deficiency) কোলেস্টিয়াটোমা (Cholesteatoma)
ব্যাকটেরিয়া জনিত কনঞ্জাংটিভাইটিস (Conjunctivitis due to bacteria) ভাইরাসজনিত কনজাঙ্কটিভাইটিস (Conjunctivitis due to virus)
ক্রুপ (Croup) পয়জনিং ডিউ টু গ্যাস (Poisoning due to gas)
ইয়ার ড্রাম ড্যামেজ (Ear drum damage) ইন্টারস্টিশিয়াল লাং ডিজিজ (Interstitial lung disease)
ইউস্টেশিয়ান টিউব ডিজফাংশন (Eustachian tube dysfunction (ear disorder)) নাকে বাহ্যিক বস্তু (Foreign body in the nose)
অ্যাবসেস অফ নোজ / নাকের ফোঁড়া (Abscess of nose) অ্যাবসেস অফ দি ফ্যারিংস / গলবিলের ফোঁড়া (Abscess of the pharynx)
অ্যাকিউট ব্রঙ্কাইটিস (Acute bronchitis) মোনোনিউরাইটিস (Mononeuritis)
ম্যাস্টোয়ডাইটিস (Mastoiditis) মাস্কুলার ডিসট্রফি (Muscular dystrophy)
টনসিলার হাইপারট্রফি (Tonsillar hypertrophy) অ্যাটেলেকটেসিস (Atelectasis)
নিউমোকোনিওসিস (Pneumoconiosis) অ্যালার্জি টু অ্যানিমেলস (Allergy to animals)
নিউমোনিয়া (Pneumonia)

সংশ্লিষ্ট লক্ষণসমূহ

এই লক্ষণের সাথে অন্যান্য যেসকল লক্ষণ দেখা যেতে পারে সেগুলো হলোঃ

যারা ঝুঁকির মধ্যে আছে

লিঙ্গ:  পুরুষদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা থাকে। নারীদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ১ গুণ কম।

জাত:  শ্বেতাঙ্গ, হিস্প্যানিক, কৃষ্ণাঙ্গ ও অন্যান্য জাতির মানুষের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা থাকে।

সাধারণ জিজ্ঞাসা

উত্তরঃ সমস্যাটি তীব্র রূপ ধারণ করলে অ্যালার্জির ঔষধ ও চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নাকের স্প্রে ব্যবহার করতে হতে পারে।

উত্তরঃ এই সমস্যা দূর করার জন্য বেশ কিছু ঔষধ পাওয়া যায়, যেগুলি চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াও গ্রহণ করা যেতে পারে। এগুলি সমস্যাটির উদ্রেককারী কারণকে প্রশমিত করে। কাশির সাথে শ্লেষ্মা হলে এক্সপেক্টোরান্ট ও ডেক্সট্রোমেথরফ্যান (expectorant & dextromethorphan) গ্রহণ করা যেতে পারে। এক্সপেক্টোরান্ট সর্দির নিঃসরণ করতে এবং ডেক্সট্রোমেথরফ্যান (dextromethorphan) কাশি সারাতে সাহায্য করে।

হেলথ টিপস্‌

নিম্নলিখিত বিষয়গুলি অনুসরণ করে নাক বদ্ধ হয়ে যাওয়ার সমস্যা প্রতিরোধ করা যেতে পারে-

  • ঘরে বা গাড়িতে ধূমপান না করা। কারণ এর ফলে আপনার শিশুর অ্যালার্জির সমস্যা হতে পারে।
  • যেসব গৃহপালিত পশুর সংস্পর্শে গেলে অ্যালার্জিজনিত প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে, সেগুলির সংস্পর্শে না যাওয়া।
  • শিশুদের বেশি পরিমাণে পানীয় পান করতে বলা।
  • হিউমিডিফায়ার দিয়ে বাতাসের আর্দ্রতা বৃদ্ধি করা। তবে ঘরে যেনো স্যাঁতসেতে ভাব সৃষ্টি না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখা প্রয়োজন।
  • বাষ্প স্নান (Steam bath) শিশুদের জন্য উপকারী হতে পারে, কারণ এর ফলে নাকের মধ্যে জমে থাকা শ্লেষ্মা দূর  হয়।
  • পারফিউম ব্যবহার না করা, কারণ এর ফলে অ্যালার্জিজনিক প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে।