টন্সিলাইটিস হলো টনসিলের এক ধরনের ইনফ্লামেশন (প্রদাহ বা জ্বালাপোড়া)।
টনসিল হচ্ছে টিস্যু দিয়ে তৈরি ডিম্বাকৃতির দুটি পিণ্ড। এগুলির অবস্থান গলার
পিছনে। টনসিল ইনফেকশনের লক্ষণগুলো হল- টনসিল ফুলে যাওয়া, গলার
স্বর ভেঙ্গে যাওয়া, খাবার গিলতে অসুবিধা এবং ঘাড়ের পাশে লিম্ফ নোড ফুলে যা
হওয়া ইত্যাদি। ভাইরাসের কারণেই বেশিরভাগ ক্ষেত্রে টনসিল ইনফেকশন হয়, তবে
কখনও কখনও ব্যাকটেরিয়ার কারণেও হতে পারে।
টন্সিলাইটিসের চিকিৎসা এর
কারণের উপর নির্ভর করে। যদি
টনসিলে ইনফেকশন খুব ঘন ঘন হয় এবং কোনো প্রকার ঔষধে এটি ভাল না হয়, তবে এর
জন্য অপারেশন করাতে হতে পারে।
কারণ
সাধারণত ভাইরাসের কারনেই টনসিল ইনফেকশন বেশি হয়, তবে ব্যাকটেরিয়ার কারনেও
এটি হতে পারে। Streptococcus pyogenes ব্যাকটেরিয়ার কারনে এটি বেশি হয়, এই
ব্যাকটেরিয়ার কারনে গলার স্বর ভেঙ্গে যায়।
লক্ষণ
এই রোগে
আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে চিকিৎসকেরা নিম্নলিখিত লক্ষণগুলি চিহ্নিত করে থাকেন:
নিম্নলিখিত বিষয়গুলি টনসিল ইনফেকশনের ঝুঁকি বৃদ্ধি করে-
শিশু-কিশোরদের এটি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
ভাইরাসের সংস্পর্শে বেশি থাকলে টনসিল ইনফেকশন হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
যারা ঝুঁকির মধ্যে আছে
লিঙ্গঃ পুরুষ এবং মহিলা উভয়ের মধ্যেই এই রোগ নির্ণয়ের গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে।
জাতিঃ কৃষ্ণাঙ্গদের মধ্যে এই রোগ নির্ণয়ের সম্ভাবনা ২ গুণ কম। শ্বেতাঙ্গ এবং হিস্প্যানিকদের
মধ্যে এই রোগ নির্ণয়ের গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যান্য জাতির
মধ্যে এই রোগ নির্ণয়ের সম্ভাবনা ১ গুণ কম।
উত্তরঃ অনেক
ব্যক্তিদের টনসিল ইনফেকশনের তীব্রতা কম থাকে এবং তা তিন-চার দিনের মধ্যে
ভাল হয়ে যায়। তবে গলার ইনফেকশনের চিকিৎসা করাতে হবে যাতে কোনো জটিলতার
সৃষ্টি না হয়। খুব কম ক্ষেত্রে মারাত্নক ইনফেকশন কারনে টনসিল ইনফেকশন হয়,
সেক্ষেত্রে চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করে চিকিৎসা গ্রহন করতে হবে এবং
সম্পূর্ন সুস্থ্য হবার পড়েই কর্মক্ষেত্রে ফি্রতে হবে।
উত্তরঃ এটি শিশুদের মধ্যে বেশি দেখা যায় তবে এটি প্রাপ্তবয়স্কদেরও হতে
পারে। রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা দূর্বল হলে ব্যক্তি এই রোগে বেশি আক্রান্ত হয়।
এটি ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার উভয়ের কারনেই হতে পারে, এর সাথে ফোঁড়াও দেখা
দিতে পারে।
হেলথ টিপস্
যেসকল জীবাণুর কারণে ভাইরাল ও ব্যাকটেরিয়াল টনসিল ইনফেকশন হয়ে থাকে তা
বেশ সংক্রামক। সেজন্য সবচেয়ে ভাল প্রতিরোধ ব্যবস্থা হলো পরিষ্কার
পরিচ্ছন্নতার অভ্যাস গড়ে তোলা।
শিশুদের শিখাতে হবে যে,
মলমুত্র ত্যাগের পর এবং খাওয়ার পূর্বে হাত ধুতে হবে।
এক জনের খাবার অন্যজন খাওয়া যাবে না। পানি পান করার গ্লাস ও খাবার প্লেট আলাদা রাখতে হবে।
এছাড়াও এ রোগ যেন অন্যদের মাঝে না ছড়ায় সেজন্য সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।
অসুস্থ শিশুকে বেশি বাইরে যেতে দেওয়া উচিৎ নয়।
চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করে শিশুকে স্কুলে পাঠাতে হবে।
শিশুকে হাঁচি বা কাশির সময় টিস্যুর ব্যবহার শিখাতে হবে।
শিশুর হাঁচি বা কাশি দেওয়ার পর হাত ধোয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।