লক্ষণটি গলায় কোনো কোনো কিছুর উপস্থিতি অনুভব করা, গ্লোবাস ফ্যারিংস
(Globus pharyngis) ও গ্লোবাস হিসটেরিকাস (globus hystericus) হিসেবেও
পরিচিত।
গ্লোবাস ফ্যারিংস (Globus
pharyngis) বলতে গলায় শ্লেষ্মা, পিণ্ড বা অন্য কোনো বাধাপ্রদানকারী বস্তু
না থাকা সত্ত্বেও সেগুলির উপস্থিতি স্থায়ীভাবে অনুভূত হওয়াকে বোঝায়। এই
সমস্যা দেখা দিলে খাদ্য স্বাভাবিকভাবে গিলতে সমস্যা হয় না, তাই এটিকে
ডিসফ্যাজিয়া (dysphagia) বলা হয় না। তবে এই সমস্যার কারণে আক্রান্ত
ব্যক্তির বিরক্তিবোধ হতে পারে। এছাড়া এই সমস্যা থাকলে খাদ্য গেলার সময়
শব্দসহ বুকে মাঝারি বা তীব্র ব্যথা হওয়ারও সম্ভাবনা থাকে।
নিম্নলিখিত বিষয়গুলি গলায় পিণ্ড অনুভূত হওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি করে:
কিছু
কিছু খাবার গলা থেকে স্বাভাবিকভাবে না নেমে সেখানে বেধে যেতে পারে, যেমন-
কাঁচা গাজর ও মুরগীর মাংস। এই ধরনের শুষ্ক খাদ্য গলায় ঘর্ষণ সৃষ্টি করে।
তবে এই ধরনের খাদ্যের সাথে কিছুটা তেল যোগ করলে, বা এগুলি খাওয়ার সময়
কিছুটা পানি পান করলে গিলতে সুবিধা হয়।
একবারে মুখে অল্প খাদ্য না নিয়ে বেশি খাদ্য নেওয়া।
খাদ্য দ্রুত ও যথেষ্ট চিবিয়ে না খাওয়া। কারণ খাদ্য গিলতে বেশ কিছুটা লালার সাহায্যের প্রয়োজন।
যারা ঝুঁকির মধ্যে আছে
লিঙ্গ: নারীদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা থাকে। পুরুষদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ১ গুণ কম।
জাত: হিস্প্যানিক
ও শ্বেতাঙ্গদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা থাকে।
কৃষ্ণাঙ্গ ও অন্যান্য জাতির মানুষের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ১
গুণ কম।
উত্তর: ডিসফ্যাজিয়া বলতে খাদ্য গিলতে সমস্যা হওয়াকে বোঝায়। গ্লোবাস বলতে গলায় আটকে যাওয়া বা পিণ্ড থাকার অনুভূতিকে বোঝায়। এই দুটি সমস্যা একই সাথে হতে পারে। তবে সাধারণত এগুলি পৃথক পৃথক ভাবে দেখা দেয়।
হেলথ টিপস্
গ্লোবাস ফ্যারিংস প্রতিরোধ করার কার্যকর উপায় হলো শারীরিক ও মানসিক চাপ
নিয়ন্ত্রণ করা। শরীর শিথিল করে মানসিক চাপ কমানো গেলে গলায় পিণ্ড থাকার
অনুভূতি হ্রাস পায়। গ্লোবাস ফ্যারিংস একটি সাধারণ সমস্যা। গ্লোবাসের সাথে
সম্পর্কযুক্ত লক্ষণগুলি কোনো গুরুতর শারীরিক সমস্যা সৃষ্টি করে না- এই
বিষয়টি বুঝতে পারলে গ্লোবাসের কারণে সৃষ্ট উদ্বিগ্নতা কমে আসে, এবং এর
ফলস্বরূপ গলায় পিণ্ডের উপস্থিতি বোধ হওয়ায় কমে যায়।
পাকস্থলীর এসিডের খাদ্যনালীর দিকে ফিরে আসা নিয়ন্ত্রণ করেও পরবর্তীতে এই সমস্যা হওয়ার ঝুঁকি কমানো যায়।