শ্বাসনালীতে ইনফেকশন হওয়ার সাধারণ একটি লক্ষণ হলো বুকে ভার অনুভব করা।
শ্বাসনালীর গাত্রে যে শ্লৈষ্মিক ঝিল্লী থাকে তাতে বাইরের ধূলাবালি,
ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাস আটকা পড়লে মিউকাস বা শ্লেষ্মায় প্রদাহ দেখা দেয় এবং
এই জীবাণু বাইরে বের করার জন্যে ঘন ও অতিরিক্ত মিউকাস তৈরী হয়। যার ফলে
মিউকাস বা শ্লৈষ্মিক ঝিল্লী আকস্মিকভাবে অধিক ক্রিয়াশীল হয়ে পড়ে এবং বুকে
ভার অনুভূত হয়।
আমাদের নিশ্বাসের সাথে বাতাসে ভেসে থাকা বিভিন্ন
জীবাণু যেমনঃ ধূলিকণা, ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস দেহের ভেতর প্রবেশ করে যা
নাসিকা ও শ্বাসনালীর শ্লৈষ্মিক ঝিল্লীতে আটকা পড়ে। সিলিয়ার (ক্ষুদ্র
চুল/লোম বিশেষ) সাহায্যে এই জীবাণু ও শ্লেষ্মা গলায় গিয়ে আটকা পড়ে, যেখান
থেকে এগুলো কাশির সাহায্যে বাইরে বেরিয়ে আসে বা নীচের দিকে চলে যায়। এই
জীবাণু দ্বারা ইনফেকশনের সৃষ্টি হয়। যার ফলে শ্বাসনালীতে প্রদাহজনিত সমস্যা
দেখা দেয় এবং অতিরিক্ত মিউকাস তৈরী হয় ও কাশির পরিমাণ বেরে যায়। কেননা
মিউকাসের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় জীবাণু স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় শরীরে থেকে বের
হতে পারে না। কাশির মাধ্যমে ফুসফুসে আটকা পড়া জীবাণু ও মিউকাস বাইরে বেরিয়ে
আসে।
লিঙ্গঃ পুরুষ ও মহিলা উভয়ের ক্ষেত্রে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে।
জাতিঃ শ্বেতাঙ্গদের ক্ষেত্রে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে।
অপরদিকে , কৃষ্ণাঙ্গ, হিস্প্যানিক ও অন্যান্য জাতির ক্ষেত্রে এই লক্ষণ
দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা একগুণ কম।
উত্তরঃ ভাইরাল সিন্ড্রোমের জন্য এমন হতে পারে, বা এটি কোনো গুরুতর অটোইমিউন
ডিজিজের লক্ষণও হতে পারে। এক্ষেত্রে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
হেলথ টিপস্
ঘরোয়া কিছু পদ্ধতিতে এই সমস্যার চিকিৎসা করা হয়ে থাকে। যেমনঃ
কফের কারণে বুকে ভার অনুভূত হলে চিনির সাথে কাঁচা পেঁয়াজ মিশিয়ে খেলে (বিশেষ করে রাতে ঘুমানোর আগে) কফ হালকা হয় ও আরাম অনুভূত হয়।
এ
অবস্থায় গরম পানি পান করলে তা কফ হালকা করতে সাহায্য করে। ফলে কাশির সাথে
সহজে কফ বেরিয়ে আসে। একই সাথে লবণমিশ্রিত গরম পানি দিয়ে দিনে তিন থেকে চার
বার গড়গরা করতে হবে। বুকের ব্যথা ও কফ কমাতে গরম পানির ব্যাগের সাহায্যে
বুকের উপর স্যাক দিতে হবে।
এ অবস্থায় গরম চিকেন স্যুপ পান করলেও আরাম পাওয়া যায়। গরম চিকেন স্যুপ ফুসফুসে ইনফ্লামেশন বা প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।
হালকা
গরম পানিতে লবণ ও লেবু মিশিয়ে খেতে হবে। ভিটামিন সি দেহের রোগ প্রতিরধ
ক্ষমতা বৃদ্ধি করে ও ভাইরাস প্রতিরোধে সাহায্য করে। লেবুতে যে এসিড রয়েছে
তা কফের ঘনত্ব কমাতেও সাহায্য করে।
আদা, রসুন, মরিচ, গোল মরিচ
ইত্যাদি মশলা শরীরে ব্যাকটেরিয়া প্রতিরধে সাহায্য করে এবং কফের ঘনত্ব কমায়।
এই জন্য ঠান্ডা-সর্দির ক্ষেত্রে মশলাযুক্ত খাবার খেতে বলা হয়।