কানে বদ্ধতা অনুভব করা (Plugged feeling in ear)

শেয়ার করুন

বর্ণনা

ইনফেকশন, অ্যালার্জি বা কানে ময়লা জমার ফলে কানে চাপ বা আবদ্ধতা অনুভূত হয় এবং শ্রবণক্ষমতা হ্রাস পায়। আবার কানে বাতাসের চাপ সমান না থাকার কারণেও এ লক্ষণ দেখা দিতে পারে। এটি কনজেশন ইন এয়ার (Congestion in ear) বা এয়ারস পপিং (Ears popping) নামেও পরিচিত।

কারণ

বিভিন্ন কারণে এই লক্ষণ দেখা যেতে পারে, যেমন-

সংশ্লিষ্ট লক্ষণসমূহ

এই লক্ষণের সাথে অন্যান্য যেসকল লক্ষণ দেখা যেতে পারে সেগুলো হলোঃ

ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়

নিম্নলিখিত বিষয়গুলো এ লক্ষণ দেখা দেওয়ার ঝুঁকি বৃদ্ধি করে:

  • কানে অতিরিক্ত ময়লা জমা।
  • সরু এয়ার ক্যানেল।
  • অতিরিক্ত লোমযুক্ত এয়ার ক্যানেল।
  • কটন বাড বা আঙুলের সাহায্যে বারবার কান পরিষ্কার করার প্রবণতা।
  • অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ বা ধূলাবালিতে কাজ করা।
  • ত্বক বা স্কাল্পে প্রদাহ হওয়া।

যারা ঝুঁকির মধ্যে আছে

লিঙ্গঃ পুরুষদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে। অপরদিকে, মহিলাদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা একগুণ কম।

জাতিঃ শ্বেতাঙ্গদের ক্ষেত্রে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে। অপরদিকে, কৃষ্ণাঙ্গ, হিপানিক ও অন্যান্য জাতির ক্ষেত্রে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা একগুণ কম।

সাধারণ জিজ্ঞাসা

উত্তরঃ এক্ষেত্রে অবশ্যই কটন বাড, আঙ্গুল বা ম্যাচের কাঠি জাতীয় কোনো কিছু দিয়ে কান পরিষ্কার করার চেষ্টা করা উচিৎ নয়। এতে কানের পর্দা নামে পরিচিত টিম্পেনিক মেমব্রেন ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে শ্রবণ ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যেতে পারে। নির্দেশনা অনুযায়ী ওয়াক্স সফটনার ড্রপ বা তেল এর সাহায্যে কানে জমা অতিরিক্ত ময়লা পরিষ্কার করা সম্ভব। তবে এই পদ্ধতি কাজ না করলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। 

উত্তরঃ এক বছর বয়সী প্রায় ৬০-৮০% শিশুর কানের ইনফেকশন হয়ে থাকে। তিন বছর বয়সী ৮০-৯০% শিশুর এ সমস্যা হয়ে থাকে। 

হেলথ টিপস্‌

কানে আবদ্ধতা অনুভূত হলে নিম্নলিখিত বিষয়গুলি অনুসরণ করুন:

  • কানে খোঁচা লাগতে পারে এমন কোনো কিছু দিয়ে কান পরিষ্কার করা উচিত নয়। এতে আপনার কানের ক্ষতি হতে পারে এবং জমে থাকা ময়লা কানের ভেতরের অংশে চলে যেতে পারে।
  • নির্দেশনা অনুযায়ী ওয়াক্স সফট্যানার ড্রপ বা তেল সপ্তাহে ২ বার ব্যবহার করা যেতে পারে।
  • কানের খুব ভেতরের অংশ পরিষ্কার করা থেকে বিরত থাকুন।
  • ত্বকে প্রদাহ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা নিন।